একজন মহাকাশ বিজ্ঞানী, সামরিক অফিসার, স্কুবা ডাইভার, স্পেস মিশনের ধারাভাষ্যকার-উপদেষ্টা, চলচ্চিত্র নির্মাতা, এবং শ্রেষ্ঠ কল্প বিজ্ঞানবিদের চেয়েও তার বড় পরিচয়, তিনি এস এফ জগতের এক প্রধান দিকনির্দেশক। প্রতিটি রচনা নির্দিষ্ট দিকনির্দেশ করে। কোনো শখ হিসেবে কিংবা জাদুর মতো করে বিজ্ঞান কল্পকাহিনী প্রচারের ব্যাপারে তিনি একমত নন। মানুষ এবং মানুষের সবটুকুর সাথে ভবিষ্যৎ আর মহাকাশের মেলবন্ধন রচনায়, সে সময়ের ভাবনা, মূল্যবোধ, চিরায়ত মানবিকতা নিয়েই তাঁর কাজ। একজন ভবিষ্যৎ নির্দেশক হিসেবে পোপের দাওয়াতও পেয়েছেন।
মোটা দাগে তিন চারটি বৈশিষ্ট্য বলে দিলে প্রথমেই বলা যায়, মহাকাশ, ভয়, জাতিগত অভেদ, রাজনীতি আর রসিকতা তাঁর রচনায় থাকবেই।
অনেক বয়েস হয়ে গেছে, চলাফেরা করতে পারেন না তেমন। তাও লেখা ছাড়েননি। শেষ পর্যন্ত আর্থার ক্লার্ক হার মানবেন না।
তথ্যসূত্র :
১. রুডেঙ্কো: দ্র. চরিত্র-২০১০: ওডিসি টু। মহাকাশ চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞ। স্পেসশিপ লিওনভের ক্রু।
২. পাস্তুর: লুইস বা লুই। ১৮২২-৯৫। ফরাসি রসায়নবিদ ও জীববিদ। জীবাণু যে আছে সে তত্ত্ব প্রমাণ করেন, মাইক্রোবায়োলজির জন্ম দেন। পাস্তুরায়ন পদ্ধতির জনক, গাজনের পথপ্রদর্শক। রেশম পোকা নিয়ে গবেষণা করেন। এ্যানথ্রাক্স নিয়ে গবেষণা করেন ও জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার করেন।
৩. গদার: রবার্ট হাচিন্স। ১৮৮২-১৯৪৫। আমেরিকান রকেট ইঞ্জিনিয়ার, পদার্থের শিক্ষক। ১৯২৩ সালে তরল রকেট ফুয়েল ব্যবহার, ২৬ এ গ্যাসোলিন-অক্সিজেন ফুয়েল, ২৯ এ যন্ত্রবাহী রকেট, ৮৮০ কি.মি. গতি অর্জন সহ ২০০ টি রকেট বিষয়ক নতুন আবিষ্কার করেন। নিঃসীম উচ্চতায় যাবার উপায় নামে বই লেখেন।
৪. ভন ব্রাউন: ড, ওয়ার্নার। ১৯১২-৭৭। জার্মান (পোলিশ)-আমেরিকান ইঞ্জিনিয়ার। রকেট ফুয়েলের বিবর্তক। জগৎ কাঁপানো ভি-২ রকেটের জনক। ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানি জিতে যেতে পারত এ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য। পরে আমেরিকায় আসেন।
৫. ক্যালটেক: ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি। পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ, আমেরিকার এক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ১৮৯১ থেকে। বিজ্ঞানের সব শাখা আছে। এত কীর্তিমান যে, এখানকার ৩০ জন শিক্ষক কর্মরত অবস্থায় নোবেল পেয়েছেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল এখানকার ছাত্র ছিলেন।
৬. গ্যাগারিন: মেজর ইউরি এ্যলেক্সোভিচ.। মহাকাশচারী প্রথম মানব, ভস্টক-১ এ, ৬১ তে। রাশিয়ান। সয়ুজ-১ এর কু, প্রত্যাশিত সোভিয়েত চন্দ্র অভিযানের সম্ভাব্য যাত্রী। বিমান দুর্ঘটনায় নিহত।
৭. থিওডোর গেরিক্যান্ট: জ লুই আঁন্দ্রে.। ১৭৯১-১৮২৪। ফরাসী এ চিত্রকর তার সময়ের শ্রেষ্ঠ, ইউরোপে রোমান্টিক বিপ্লব আনেন।
৮. লুইস আলভারেজঃ ওয়াল্টার,। তরল হাইড্রোজেন বুদ্বুদ চেম্বার প্রতিষ্ঠার জন্য এ আমেরিকান বিজ্ঞানী ৬৮ তে নোবেল পান। প্রোটন লাইনার এ্যাক্সিলেটর বা লাইন্যাকের জনক। ডায়নোসরের বিলুপ্তি হয়েছে বড় উল্কাপিন্ডের আঘাতে তত্ত্বের প্রবর্তক।
৯. মিউওন-ক্যাটালাইজড ফিউশন: মিউওন এক প্রকার নিউট্রিনো। এ্যান্ডারসন-নিডারমেয়ার আবিস্কৃত । অস্থায়ী কণা। এর প্রভাবে পরমাণু আকার বদলানোর পদ্ধতিই ।
১০.লর্ড রাদারফোর্ড ব্যারন আর্নেস্ট। দুনিয়া কাঁপানো সরল পরমাণু মডেলের জনক, যা একটু পরিবর্তিত হয়ে পরে প্রমাণিত হয়। নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ইংল্যান্ডে শিক্ষক। আলফা কণা যে হিলিয়ামের নিউক্লিয়াস তাও দেখান। রেডিয়েশনের মূল তিন দিক আবিষ্কার করে আলফা, বিটা, গামা নাম দেন। ১৯১৯ এ ইতিহাসে প্রথম কৃত্রিম পরমাণু-অন্তর করেন। নাইট্রোজেন হয় অক্সিজেন।
১১. সেলেনোলজিস্ট: স্বৰ্গতত্ত্ববিদ। এখানে মহাজগৎবিদ। কিন্তু বিশেষত চাঁদ বিষয়ক ব্যাপার বোঝানো হয়। চন্দ্রদেবীর নাম সেলেন।
১২. অ্যাস্ট্রোনমির জনক উইলিয়াম হার্শেল:
১৩. শুটনিক: ৫৭-৬১র মধ্যে তৈরি হওয়া প্রথম রাশিয়ান কৃত্রিম উপগ্রহ।
১৪.লয়েডস: লয়েডস অব লন্ডন। সবচে খ্যাতনামা জাহাজ ইনস্যুরেন্স কোম্পানি।
১৫. রঙধনুর সবগুলো রঙ: প্রিজমের মধ্য দিয়ে সূর্যের আলো এলে রঙের বিন্যাস বিভক্ত হয়ে পড়ে যার যার কম্পাঙ্ক অনুসারে। সাতটা রঙ দেখা দেয়।
১৬. বিগল: ১৮৩১ এর দিকে পাঁচ বছর ডারউইন এ জাহাজে করে পৃথিবীভ্রমণ করেন ও এর দ্বারাই বিবর্তনবাদ আসে।
১৭. গিলগামেশ: মিথোলজিক্যাল মহাকাব্য এবং প্রথম সায়েন্টিফিক ফিকশন এর মহানায়ক। চার হাজার বছর আগের ব্যাবিলনীয় রাজা। ইরাকের নাম এসেছে যে উরাক থেকে, সেখানকার রাজা।
১৮. ওসিরিস: মিশরীয় পুরাণের যৌবনদেবতা, সূর্যের প্রতীক।
১৯. পার্মাফ্রস্ট: বছরের সব সময় জমে থাকা উপমৃত্তিকা । যেমন মেরু বরফ স্তরের নিচে বরফ-মাটি।
২০.বিটল: সত্তর দশকে আমেরিকা কাঁপানো জর্জ হ্যারিসনের দল। তিনি একাত্তরে বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গান গেয়েছিলেন।
২১. স্ট্যাল্যাকলাইট: কোনো গুহার ছাদ থেকে ঝুলে থাকা চোখাচোখা ক্যালশিয়াম কার্বনেটের স্তম্ভ। লাখো বছরে বিন্দু বিন্দু পানি গুহার ছাদ থেকে চুঁইয়ে পড়ে, শুধু চুনগুলো ধীরে ধীরে জমে ওঠে, তারপর অনিন্দ্য সুন্দর উল্টো স্তম্ভের সৃষ্টি হয়। কিন্তু এগুলো খুবই ভঙ্গুর। এমনকি পদশব্দেও ভেঙে পড়তে পারে।