৩৩. মিনস্কি: মারভিন,। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তত্ত্বের দিকপাল। ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকননালজির (এম আই টি) নিউরোফিজিওলজি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ল্যাবরেটরির সাবেক শিক্ষক। শত শত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশারদের দীক্ষাগুরু এবং বাস্তব গবেষক। তিনি এজন্য প্রচুর কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্র তৈরি ও উদ্ভাবন করেন।
৩৪. নিউরাল নেটওয়ার্ক: ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন নিউরন কোষ জটিলভাবে পরস্পরের সাথে যুক্ত না হয়ে মানুষের মস্তিষ্ক গঠন করে। তাই এই জটিলতার বিশালত্ব ও কাজের ব্যাপকতাকে বোঝাতে কথাটা ব্যবহৃত হয় ভবিষ্যৎ কম্পিউটারের ক্ষেত্রে। অনেকে এ দিয়ে মানবীয় গুণের কম্পিউটারের কথাও বোঝান।
৩৫. পাইথিয়াস: প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম হ্যাঁলিকারনাসাসের সমাধিমন্দির নির্মিত হয় যীশুর জন্মের সাড়ে তিনশো বছর আগে। তিনি স্থপতি।
৩৬. গ্যালিয়ন: বিশাল স্প্যানিশ শিপ। মূলত সাঁজোয়া যুদ্ধে ব্যবহার হতো পনের থেকে আঠারো শতকে।
৩৭. কুক: রবিন.। বিখ্যাত জীববিজ্ঞানী।
৩৮. রজার: গ্রহণ করা হয়েছে, শুনতে পেয়েছি। শব্দটা শুধু রেডিও যোগাযোগের ক্ষেত্রে সব দেশে ব্যবহার করা হয়।
৩৯. হাইপোকন্দ্রিয়া: স্বাস্থ্য বা রোগ নিয়ে মনে ভয় পুষে রাখার রোগ। আবার পুরো পেটের উপরদিকের অংশকেও বোঝায়।
৪০. বিস্ফোরণ: মানুষের শরীরে গ্যাসীয় অনুগুলো তরল আছে কিছুটা চাপ ও তাপের কারণে। সব সময় বায়ুমণ্ডল আমাদের উপর অত্যন্ত বেশি চাপ দেয় এবং পৃথিবী আকর্ষণ করে বলে শরীরের দ্রবীভূত অক্সিজেন, কার্বনডাইঅক্সাইডসহ আরো শত গ্যাস তরল হয়ে থাকে। কিম্বা গ্যাসীয় থাকলেও কম স্থান দখল করে। কিন্তু যেখানে এক বিন্দুও বায়ুমণ্ডলীয় চাপ নেই সেখানে সাথে সাথে সেসব তরল ও সংকুচিত বায়বীয় গ্যাস তাদের গ্যাসীয় রূপ পাবার জন্য বিস্তৃত হয়, ফলে মহাকাশে কোনো স্পেসস্যুট পরা না থাকলে প্রাণীদেহ একেবারে ফেটে যায়।
৪১. নিউরোসিস: নিউরনে গণ্ডগোল। আসলে হাল্কা মানসিক রোগকে বোঝায় যার ফলে বাহ্যিক কথাবার্তায় এবং আচরণে বোঝা যায় না। অপ্রকাশ্য পাগলামি।
৪২. এইচ জি ওয়েলস: হার্বার্ট জর্জ,। ভার্ন, আসিমভ, ক্লার্কের পর সবচে দামী এবং সাড়া জাগানো সায়েন্স ফিকশন লেখক। প্রথম জীবনে অর্থাভাবে নানা কাজ করেছেন অথচ পরে তাঁর লেখা কোটি কোটি মানুষ পড়ে। ‘দি টাইম মেশিন’, ‘দ্য ইনভিজিবল ম্যান’ তাঁর অমর কীর্তি।
৪৩. আতঙ্ক: আমেরিকার মানুষ মঙ্গল নিয়ে ফ্যান্টাসিতে ভোগার সময় এক হ্যালোইন উৎসবের রাতে (যে রাতে ছোটরা ছদ্মবেশে মানুষের বাড়ি বেড়াতে যায়) ওয়েলসের এক সায়েন্স ফিকশনের নাট্যরূপ রেডিওতে প্রচারের সময় নাটকের মধ্যে খবরে বলা হচ্ছিল যে মঙ্গলের প্রাণীরা মানুষের উপর আক্রমণ করেছে। কিন্তু অনেকে সে সময় রেডিও খোলে এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অর্থ শতাব্দী আগেও মানুষ এত বিজ্ঞান সচেতন এবং এস এফে বিশ্বাসী ছিল যে সাথে সাথে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাঁচার তাগিদে পথে নেমে পড়ে, অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত হয়, লুকিয়ে পড়ে পথেঘাটে, কেননা হ্যালোইনে আসলেই ছদ্মবেশে আসা খুব সহজ কাজ। সেই রাতের মতো আতঙ্ক মানুষের মনে খুব কমই নেমেছে।
৪৪. মিল্কি ওয়ে: আমাদের গ্যালাক্সি হলেও আমরা এর প্রান্তে পড়ে আছি বলে একে দেখতে পাই। দশ হাজার কোটির উপর নক্ষত্র সর্পিল পথে পানির ঘূর্ণির মতো একত্র হয়ে এ নীহারিকা সৃষ্টি করেছে।
৪৫. আলফা সেন্টোরি: সৌরজগতের সবচে কাছের জগৎ, ত্রি-সূর্য। সবচে কাছেরটার নাম প্রক্সিমা সেন্টোরি। আলো যেতে ৪.৩ বছর সময় প্রয়োজন। সেঞ্চুরি (শতক) বলা হয় মাঝে মাঝে, সেটা ভুল। সেন্টোরি বা সেন্টাউরি অর্থ পুরনো পৃথিবীর গাছ।
৪৬. নিলস বোর: অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী। ডেনিশ পদার্থবিদ নিলস হেনরিক ডেভিড বোর প্রথম কোয়ান্টাম তত্ত্বের প্রয়োগকারী, পরমাণুর শক্তির ব্যাখ্যাদানকারী। আসলে পরমাণু কেমন-তা নিয়েই গণ্ডগোল চলছিল, সেটার আংশিক সমাধান দিয়ে বোরের পরমাণু মডেল গড়েন একেবারে তরুণ থাকাকালে। আণবিক নিউক্লিয়াসের তরল মডেল তৈরি করেন। উনিশশো বাইশে পদার্থে নোবেল পান। তিনি নাৎসী বিরোধী আন্দোলনেও ছিলেন। পারমাণবিক বোমাবিরোধী প্রচারণার জন্য উনিশশো সাতান্নতে শান্তি পুরস্কারও পান। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অবদান ছিল।
৪৭. সিমবায়োসিস: দুই ভিন্ন সত্তা বা প্রাণীর একত্রে বসবাস। মনের স্ববিরোধিতা।
৪৮. শ’: দরিদ্র মায়ের উপর নির্ভরশীল হতে না চাওয়া এক তরুণ ব্রিটিশ মিউজিয়ামে পড়ে সময় কাটায় এবং লেখে। উপন্যাসগুলি চরমভাবে ব্যর্থ হয়, প্রকাশই করে না কেউ। পরে সে হয় সমাজবাদী একজন নাট্যকার এবং সমালোচক। তার নাটক জনপ্রিয় হতে সময় লাগে, অথচ তিনি নোবেল নেননি, জীবন্ত কিংবদন্তী হয়ে ছিলেন। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক, ম্যান অ্যান্ড সুপারম্যান’ এর স্রষ্টা খুব রসিকও ছিলেন। একবার এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার সময় এক মহিলা অন্যজনকে বলছিলেন যে জর্জ বার্নার্ড শয়ের মতো লোকের প্যান্ট টেনে টেনে তোলা উচিত নয়। শ’ জবাবে বলেছিলেন যে প্যান্টটাকে নেমে পড়তে দেয়াও তাঁর উচিত মনে হচ্ছে না।