১৪. গোল্ড কোস্ট: গিনি উপসাগরের উপকূলীয় এলাকা, স্বর্ণ পাওয়া যেত, ব্রিটিশ শাসনে গোল্ড কোস্ট কলোনি নামে যে এলাকা ছিল পরে তা ঘানা নামে স্বাধীন হয়।
১৫. রেডিও অবজার্ভেটরি: প্রাকৃতিক ব্যাপার নিরীক্ষণের বিল্ডিং বা প্রতিষ্ঠান, যা দূরের ব্যাপার ও তরঙ্গ যোগাযোগ পরীক্ষা করে।
১৬. কক্সটন: উইলিয়াম। প্রথম ইংরেজ ছাপাকর্মি, প্রকাশক, অনুবাদক। গুটেনবার্গের সমসাময়িক। এক হিসাবে প্রকাশনা শিল্পের সার্থক সর্বচারী জনক।
১৭. গুটেনবার্গ: জোহান্স,। ১৪৩৬ সালে ছাপাখানার আবিষ্কারক / উন্নয়নকারী। বিয়াল্লিশ লাইন বা মাজারিন বাইবেলের অপর নাম তাঁর নামে, গুটেনবার্গ বাইবেল।
১৮. ইথার: আগে ধরা হত মহাশূন্যে ইথার একটি অতি স্থিতিস্থাপক মাধ্যম। কারণ ধরা হতো যে আলো একটি তরঙ্গ। বাস্তবে কোনো তরঙ্গই মাধ্যম ছাড়া চলতে পারে না। তাই ইথারের কল্পনা। কিন্তু কোয়ান্টাম তত্ত্ব আসার পর ধারণা পাল্টে যায়। বর্তমানে শব্দটিকে সম্মান করার জন্য এক যৌগকে এ নাম দেয়া হয়েছে।
১৯. বালি: জাভার এক মাইল দূরের ইন্দোনেশীয় পাথুরে পর্যটন দ্বীপ। সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নামও বালি। প্রকৃতি অনিন্দ্যসুন্দর। দানবীয় সব বটগাছ, বাঘ (এর মধ্যে বালি বাঘ, রয়েল বেঙ্গলের মতো দেখতে, বিলুপ্ত), হাজারও হরিণ আর বুনো শুয়োর আছে। অবকাশ যাপন কেন্দ্র ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার পর ক্লার্কের স্বপ্নের বালি দ্বীপ আসলেই কলুষিত হয়েছে,তারপর সেখানে অস্ট্রেলিয় পর্যটকদের উপর বোমাও বিস্ফোরিত হয় এবং ইমাম সমুদ্র অভিযুক্ত হন।
২০. এ্যালগিঃ এক ইঞ্চির আড়াই হাজার ভাগের একভাগ থেকে শুরু করে দু’শ ফুট পর্যন্ত দৈর্ঘের বিচিত্র সব জলজ আলো-খাদক শৈবাল-শ্যাওলার দল। এরা আমাদের অক্সিজেনের এক বিরাট অংশ দেয় এবং সব জলজ প্রাণীর প্রাথমিক খাদ্য।
২১. ক্ল্যাস্ট্রোফোবিয়া: এক ধরনের মনস্তাত্ত্বিক অসুস্থতা। আবদ্ধ স্থানে অস্বস্তি বোধ বা ভয়/ আতঙ্ক বোধ।
২২. কোর (কর্প): সৈন্যদলের সম্পূর্ণ আলাদা ও স্বয়ংসম্পূর্ণ অংশ যা সাধারণত একই কাজ করে। সাধরণত আশি হাজার সেনার ইউনিট, এর প্রধান একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল। যেমন: ক্যাডেট কোর, পদাতিক কোর। তবে বেসামরিক ক্ষেত্রে এক অভিন্ন ও বিশাল কাজে অংশ নেয়া লোকবলকে কোর বলা যায়।
২৩. লক্স: লিকুইড অক্সিজেন। উনিশশো তেইশ সালে এই সংক্ষিপ্ত নাম দেয়া হয়।
২৪. পোব: ছোট কিন্তু তথ্য সংগ্রহকারী বা অভিযান চালনাকারী যন্ত্র। আবার পরীক্ষা করলেও এ শব্দ ব্যবহৃত হয়। সনিক প্রোব মানে শব্দের তরঙ্গ দিয়ে চেষ্টা করা।
২৫. নিউট্রন বীম: হাইড্রোজেন ছাড়া আর সব পরমাণুর নিউক্লিয়াসে নিউট্রন আছে, ভর প্রায় প্রোটনের সমান। আবিস্কৃত হয় উনিশশো বত্রিশে। এর কোনো চার্জ নেই, তাই আকৃষ্ট বা বিকর্ষিত হয় না। বেশি ভর ও চার্জহীনতার কারণে নিউট্রনের সরল প্রবাহ বা বিম চালানো শক্তিশালী কিন্তু নিরাপদ ও নিশ্চিত।
২৬. প্যানডোরার বাক্স: গ্রিক পুরাণ অনুসারে প্রথম নারী, তাকে সব দেবতা তাদের পছন্দের রূপ দিয়ে গড়ে পৃথিবীতে পাঠান একটা বাক্স দিয়ে যেটা খোলা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু অনেক পেয়ে প্যানডোরা লোভী হয়ে বাক্সটা খুলে ফেলেই সর্বনাশ ডেকে আনে। প্রাকৃতিক-অতিপ্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘনিয়ে আসে।
২৭. প্যাস্কেল: ব্লেইজ.। প্রখ্যাত কিশোর গণিতজ্ঞ। ১৯ বছর বয়সেই ‘প্যাস্কেলের চাকা’ বানান। কম্পিউটার বিজ্ঞান ও গণিতে এর অনেক অবদান। অন্য কীর্তিও রয়েছে।
২৮. ক্যানবেরা: সিডনির দেড়শো মাইল দূরে, মলোঙ্গো নদী তীরে অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী।
২৯. অ্যামনেসিয়া: চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্মৃতিভ্রষ্টতা।
৩০. কম্পিউটার প্রজন্ম: ক্লার্ক তিনটি প্রজন্ম দেখিয়েছিলেন কারণ চৌষট্টি পর্যন্ত বিশ বছর অঙর কম্পিউটারের প্রজন্ম এগিয়ে আসত। কিন্তু একাত্তরে মাইক্রো প্রসেসর আবিষ্কারের পর ধারাটা পাল্টে যায়। আমরা কম্পিউটারের পঞ্চম প্রজন্মের দ্বারপ্রান্তে আছি।
৩১. এনিয়াক: ইলেক্ট্রনিক নিউমেরিক্যাল ইন্টিগ্রেটর অ্যান্ড কম্পিউটার। এটিই প্রথম প্রোগ্রাম ঢোকানোর মতো ডিজিটাল কম্পিউটার। এ থেকেই প্রজন্ম শুরু। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের তালে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনী একটি পুরোপুরি ইলেক্ট্রনিক কম্পিউটার নির্মাণের পরিকল্পনা নিলে আধুনিক কম্পিউটারের জনক জন ভন নিউম্যান, প্রেসপার একটি জুনিয়র এবং হারম্যান গোল্ডস্টেইনের মতো কম্পিউটার মহারথী ও মুর স্কুল অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেয়। পঞ্চাশ ফুট বাই ত্রিশ ফুটের ভূ-গর্ভস্থ কক্ষে চল্লিশজন বিজ্ঞানী তিন দেয়ালজুড়ে থাকা এ কম্পিউটার চালাতেন। অনেকেই জানেন না, মানবজাতির উপর আশীর্বাদ কম্পিউটারের শুরু এনিয়াক আসলে তৈরি করা হচ্ছিল হাইড্রোজেন বোমা বানানোর হিসাব করার জন্যে। কিন্তু সৌভাগ্যবশত তিন বছরের চেষ্টায় চার লাখ ডলার ব্যয়ে উনিশশো চল্লিশের ফেব্রুয়ারীতে যখন এ জিনিস তৈরি হয় তখন যুদ্ধই শেষ।
৩২. সলিড স্টেট মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্স: একেবারে আণবিক স্তরে নেমে গিয়ে কঠিন পদার্থের ইলেক্ট্রিক যন্ত্র তৈরির প্রচেষ্টার বিজ্ঞান।