জ্যোতিষীগণ মনে করেন এইসব গ্রহদের রশ্মিও আছে। তবে এই রশ্মি নাকি দেখা যায় না। দেখা যায় না, কিন্তু আছে –আধ্যাত্মিক বা Spiritual রশ্মি বলে কথা! দেখা যায় না বটে, কিন্তু জ্যোতিষীরা সেই রশ্মি আবার গুণেও ফেলেছেন। যেমন– রবির ২০টি রশ্মি, মেষের ৮টি, মঙ্গলের ১০টি, বুধের ১০টি, বৃহস্পতির ১২টি, শুক্রের ১৪টি, শনির ১৬টি ইত্যাদি। এমন রশ্মির কথা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন না। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন আলফা, বিটা, গামা, কসমিক ইত্যাদি মহাজাগতিক রশ্মির কথা। আরও আছে জ্যোতিষীদের ব্যাপার স্যাপার। যেমন গ্রহদের স্বক্ষেত্র বা বাসস্থান বা জন্মভূমিও আছে। যেমন ধরুন–(১) সূর্য বা রবির স্বক্ষেত্ৰ কলিঙ্গ (বর্তমানে ওডিশা), (২) চন্দ্রের যবন দেশ (গ্রিস?), (৩) মঙ্গলের অবন্তী, (৪) বুধের মগধ (পাটনা ও গয়া), (৫) বৃহস্পতির সিন্ধুদেশে, (৬) শুক্রের ভোজকটকে, (৭) শনির সৌরাষ্ট্রে (বর্তমানে গুজরাট), (৮) রাহুর অম্বর অথবা সিংহল (বর্তমানে শ্রীলঙ্কা) এবং (৯) কেতুর (না, জন্মভূমির খোঁজ পাওয়া যায়নি)। মহাকাশের বেশির ভাগ গ্রহদের জন্মস্থান ভারতেই? মহাকাশের বাকি অংশে শূন্য কেন?
জ্যোতিষীয় ব্যাবসার ক্ষেত্রে মূল যে চারটি বিষয় জ্যোতিষীরা মাথায় রাখেন, সেগুলি হল– (১) গ্রহ, (২) নক্ষত্র, (৩) গণ (৪) রাশি এবং (৫) লগ্ন। একটু দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব এগুলি কী বস্তু। জ্যোতিষীদের জন্য খুবই প্রয়োজন জন্মরাশি, জন্মলগ্ন, জন্মনক্ষত্র। এতেই জাকতের আমৃত্যু হালহকিকৎ বলে দেওয়া সম্ভব– এটা জ্যোতিষীদের দাবি এবং মানুষের প্রশ্নহীন বিশ্বাস। জন্মরাশি, জন্মলগ্ন, জন্মনক্ষত্র –এগুলি কী? নবজাতকের জন্মক্ষণে চন্দ্র যে রাশিতে থাকে তাকে জন্মরাশি বলে। নবজাতকের জন্মক্ষণে পূর্ব আকাশে যে রাশি দেখা যায় তাকে জন্মলগ্ন বলে। নবজাতকের জন্মক্ষণে চন্দ্রের সবচেয়ে কাছাকাছি উজ্জ্বলতম নক্ষত্রকে জন্মনক্ষত্র বলে।
আগেই উল্লেখ করেছি জ্যোতিষীদের গ্রহের কথা। রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র। শনি, রাহুও গ্রহ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। আবার ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো মায় পৃথিবী গ্রহ নয়। রইল এখন নক্ষত্র– যে বারটি রাশির কথা আগে বলা হয়েছে, সেগুলি বেষ্টন করে ২৭ টি নক্ষত্র রয়েছে। ৩৬০ ডিগ্রিতে যদি ২৭ টি নক্ষত্র থাকে তবে এক-একটি নক্ষত্রের ব্যপ্তি ১৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট করে অর্থাৎ মেষরাশির শুরু থেকে ১৩ ডিগ্রি ২০ মিনিট অন্তর পর পর একটি করে নক্ষত্র রয়েছে। ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞান অনুসারে নক্ষত্র হল চন্দ্রপথের ২৭টি ভাগের প্রতিটির নাম। নক্ষত্রগুলির নাম ও সংখ্যা হল– (১) অশ্বিনী, (২) ভরণী, (৩) কৃত্তিকা, (৪) রোহিণী, (৫) মৃগশিরা, (৬) আদ্রা, (৭) পুনর্বসু, (৮) পুষ্যা, (৯) অশ্লেষা, (১০) মঘা, (১১) পূর্বফাল্গুনী, (১২) উত্তরফাল্গুনী, (১৩) হস্তা, (১৪) চিত্রা, (১৫) স্বাতী, (১৬) বিশাখা, (১৭) অনুরাধা, (১৮) জ্যেষ্ঠা, (১৯) মূলা, (২০) পূর্বাষাঢ়া, (২১) উত্তরাষাঢ়া, (২২) শ্ৰবণা, (২৩) ধনিষ্ঠা, (২৪) শতভিষা, (২৫) পূৰ্ব্বভাদ্রপদ, (২৬) উত্তরভাদ্রপদ এবং (২৭) রেবতী। এই ২৭টি নক্ষত্রের প্রত্যেকটির একটি করে অধিপতি গ্রহ আছে। এই গ্রহগুলির ক্রম হল– কেতু, শুক্র, রবি, চন্দ্র, মঙ্গল, রাহু, বৃহস্পতি, শনি ও বুধ। অর্থাৎ অশ্বিনীর অধিপতি গ্রহ কেতু, ভরণী নক্ষত্রের অধিপতি গ্রহ শুক্র, কৃত্তিকার অধিপতি গ্রহ রবি ইত্যাদি।
বিয়ের ব্যাপারে একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়। পাত্র বা পাত্রীর কী গণ। বস্তুত এই গণ তিন রকমের হয়– (১) দেবগণ, (২) নরগণ, (৩) দেবারিগণ বা রাক্ষসগণ। কী গণ সেটা নির্ভর করবে পাত্র বা পাত্রীর কোষ্ঠীতে চন্দ্র কোন্ নক্ষত্রে আছে তার উপরে। চন্দ্র যে যে নক্ষত্রে থাকলে ঐ তিন গণ হয় সেটা নীচে দেওয়া হল–
(১) দেবগণ : অশ্বিনী, মৃগশিরা, পুনর্বসু, পুষ্যা, হস্তা, স্বাতী, অনুরাধা, শ্রবণা ও রেবতী।
(২) নরগণ : ভরণী, রোহিণী, আদ্রা, পূর্বফাল্গুনী, উত্তরফাল্গুনী, পূৰ্বাষাঢ়া, উত্তরাষাঢ়া, পূর্বভাদ্রপদ ও উত্তরভাদ্রপদ।
(৩) রাক্ষসগণ : কৃত্তিকা, অশ্লেষা, মঘা, চিত্রা, বিশাখা, জ্যেষ্ঠা, মূলা, ধনিষ্ঠা ও শতভিষা।
সূর্যের গতিপথকে যেমন ১২ ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগের নাম রাখা হয়েছে রাশি, তেমনই চন্দ্রপথকে ২৭ ভাগে ভাগ করে প্রতি ভাগের নাম রাখা হয়েছে। নক্ষত্র। বিভিন্ন দেশে এই চন্দ্রনিবাসসমূহের নাম বিভিন্ন। যেমন গ্রিসে এই ধরনের কোনো চন্দ্রনিবাসের কল্পনাও করা হয়নি। সাধারণত দেখা যায় ২.২৫ নক্ষত্রে এক রাশি হয়। আগেই বলা হয়েছে যে ১২টি রাশি ২৪ ঘণ্টায় ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে আসছে। অর্থাৎ একটি রাশি সরে গিয়ে পরের রশিটি উদয় হতে সময় লাগে ২ ঘণ্টা। এই রাশিগুলি মেষ থেকে শুরু হয় এবং এক-একটি রাশির ব্যাপ্তি ৩০ ডিগ্রি করে। সাধারণত পূর্ব ভারতে যে পদ্ধতি অনুসরণ করে এই রাশিগুলিকে সাজানো হয় মেষ থেকে শুরু করে বামাবর্তে (anti clockwise) পরপর এগিয়ে যেতে হবে। রাশিগুলি হল– মেষ (Aries), বৃষ (Taurus), মিথুন (Gemini), কর্কট (Cancer), সিংহ (Leo), কন্যা (Virgo), তুলা (Libra), বৃশ্চিক (Scorpio), ধনু (Sagittarius), মকর (Capricorn), কুম্ভ (Aquarius) ও মীন (Pisces)। এই রাশিগুলির প্রত্যেকটির একটি করে অধিপতি গ্রহ বা lord আছে। যেমন– মেষ ও বৃশ্চিকের অধিপতি মঙ্গল, বৃষ। ও তুলার অধিপতি শুক্র, মিথুন ও কন্যার অধিপতি বুধ, কর্কটের অধিপতি চন্দ্র, সিংহের অধিপতি রবি, ধনু ও মীনের অধিপতি বৃহস্পতি এবং মকর ও কুম্ভের অধিপতি শনি। যেটা দাঁড়াল তা হল মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি– এদের প্রত্যেকটির দুটি রাশির উপর আধিপত্য আছে। কিন্তু চন্দ্র ও রবি কেবল একটি করে রাশিরই অধিপতি। রাহু ও কেতু কোনো রাশির অধিপতি নয়। তবে তাদের বলাবল নির্ণয়ের জন্য কয়েকটি রাশিকে তাদের স্বক্ষেত্র, মূলত্রিকোণ ও তুঙ্গস্থান হিসাবে ধরা হয়। আকৃতি ও গুণ অনুযায়ী রাশিগুলিকে অগ্নি, পৃথ্বী, বায়ু, জল এই চারভাগে ভাগ করা হয়। আবার চর, স্থির ও দ্যাত্মক এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়। মেষ থেকে শুরু করে রাশিগুলিকে অগ্নি, পৃথ্বী, বায়ু, জল অথবা চর, স্থির, দ্যাত্মক হিসাবে পর পর ভাগ করে যেতে হবে। অর্থাৎ মেষ, সিংহ, ধনু হল অগ্নি রাশি (Fiery Signs); বৃষ, কন্যা, মকর পৃথ্বী রাশি (Earthly Signs); মিথুন, তুলা, কুম্ভ বায়ু রাশি (Airy Signs) এবং কর্কট, বৃশ্চিক ও মীন জল রাশি (Watery Signs)। অন্য রকম বিভাগে, মেষ, কর্কট, তুলা, মকর চর রাশি (Movable Signs); বৃষ, সিংহ, বৃশ্চিক, কুম্ভ স্থির রাশি (Fixed Signs) এবং মিথুন, কন্যা, ধনু ও মীন দ্যাত্মক রাশি (Common Signs)। ফলাফল বিচারে জ্যোতিষীরা রাশিগুলির এই বৈশিষ্ট্যগুলিকে অনেক সময় কাজে লাগায়। রাশিগুলির অন্য একটি শ্রেণিবিভাগ হল পুরুষ রাশি (Masculine Signs) ও স্ত্রী রাশি (Feminine Signs)। বিজোড় সংখ্যার যে রাশিগুলি অর্থাৎ মেষ, মিথুন, সিংহ, তুলা, ধনু, কুম্ভ– এই ছয়টি পুরুষ রাশি এবং বৃষ, কর্কট, কন্যা, বৃশ্চিক, মকর ও মীন– এই ছয়টি স্ত্রী রাশি। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী একজন জাতকের রাশি নির্নয় করা হয় তার জন্মমূহুর্তে সূর্য যে রাশিতে অবস্থান করে। তাদের মতে এই রাশি অনুযায়ী নাকি মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রিত হয়। তাহলে ভুলটা কোথায়! দৈনিক-সাপ্তাহিক পত্রিকায় রাশিফল বিভাগে প্রথম যে রাশিটি আমরা দেখি সেটি হল মেষ রাশি (২১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল সময়ে জন্মগ্রহণকারীরা এই রাশির জাতক)। বর্তমান শতকে তথা এই সময়ে সূর্য মেষ রাশিতে নয়, মীন রাশিতে অবস্থান করে। এই গোলমাল অবশ্যই অন্য রাশির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এই গোলমালের মূল কারণ হল পৃথিবীর ‘অয়নচলন’। বিষুববৃত্ত ও ক্রান্তিবৃত্ত ২৩.৫ ডিগ্রি কোণে পৃথক এবং এই বৃত্ত দুটি পরস্পরকে দুটি বিন্দুতে ছেদ করে। এই বিন্দু দুটিকে বলা হয় মহাবিষুব এবং জলবিষুব বিন্দু। আরও সহজ করে যদি বলি, তা হল ‘খ’ গোলকে এই দুটি বিন্দু হচ্ছে বছরে দু-দিন বিষুববৃত্তের উপর সূর্যের অবস্থান। এই দুই দিন হল ২১ মার্চ (দিন ও রাত্রি সমান) এবং ২৩ সেপ্টেম্বর। মহাবিষুব বিন্দুকে ক্রান্তিবৃত্তের শূন্য ডিগ্রি বিন্দু বা প্রারম্ভ বিন্দু ধরা হয়। এই কারণেই ২০০০ বছর আগে ২১ মার্চ এই মহাবিষুব বিন্দু হতে পরবর্তী ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত সূর্য মেষ রাশিতে অবস্থান করত বলেই মেষ রাশিকে রাশিচক্রের প্রথম রাশি ধরা হয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিবছর এই বিষুব বিন্দুদ্বয় তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। প্রতি ৭২ বছরে এই বিন্দু দুটির ১ ডিগ্রি করে অগ্রগমন ঘটে এবং বর্তমান অবস্থায় ফিরে আসতে তাদের লাগবে ঠিক ২৬ হাজার বছর। বিষুব বিন্দুদ্বয়ের এই চলনকেই বলে ‘অয়নচলন’ কেন এমনটি ঘটে? এর কারণ হল পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের স্বল্প গতির ঘূর্ণন। পৃথিবী যেমন নিজ অক্ষে ঘুরে চলছে, তেমনই এর ঘূর্ণন অক্ষটিও নিজ অবস্থান থেকে নিয়মমতোই সরে যাচ্ছে। এই ঘূর্ণন অক্ষটি প্রতি ২৬ হাজার বছরে একবার পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করে। পৃথিবীর ঘূর্ণন অক্ষের এই সরণের ফলে ক্রান্তিবৃত্তেরও সরণ ঘটছে এবং এর ফলেই বিষুব বিন্দুদ্বয়ের “অয়নচলন ঘটছে। ঘূর্ণন অক্ষের সরণের ফলে কিছু চমকপ্রদ ঘটনাও ঘটে। যেমন উত্তর আকাশে বর্তমানে যে স্থানে ধ্রুবতারা। দেখি ১৩ হাজার বছর পর সেখানে বীণা মণ্ডলের অভিজিৎ নক্ষত্রটিকে দেখা যাবে এবং এরও ১৩ হাজার বছর পর সেখানে পুনরায় ধ্রুবতারাকে দেখা যাবে। তাহলে এখন প্রশ্ন হল অয়নচলনের সঙ্গে রাশিচক্রের রাশির অবস্থান পরিবর্তনের সম্পর্কটা কী? আজ থেকে ২০০০ বছর আগের কোনো একসময় রাশিচক্র তৈরি হয় তখন সূর্য ২১ মার্চ তারিখে সূর্য মেষ রাশিতে প্রবেশ করত, যা টলেমির ‘টেট্রাবিবলস’ থেকে জানা যায়। টলেমে তাঁর ‘টেট্রাবিবলস’-এ। বলেছেন “সূর্য তখন ২১ মার্চ তারিখে মেষ রাশিতে প্রবেশ করে এবং ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করত। কিন্তু আজ ২০০০ বছর পর মহাবিষুব বিন্দুর প্রায় ২৭ ডিগ্রি সরণের ফলে সূর্য এখন ২১ মার্চ মীন রাশিতে (নক্ষত্রমণ্ডল) প্রবেশ করে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করে এবং ১৪ এপ্রিলে গিয়ে সূর্য মেষ রাশিতে প্রবেশ করে। রাশিচক্রের অন্যান্য রাশির ক্ষেত্রে একই অবস্থা এবং রাশিগুলিতে সূর্যের অবস্থানের সময় কালেরও ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। যেমন সূর্য কন্যা রাশিতে অবস্থান করে ৪৪ দিন, আবার বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করে মাত্র ৭ দিন। জ্যোতিষ মতে জন্মমুহূর্তে সূর্যের অবস্থানই মানুষের রাশি নির্ণয় করে। এই শাস্ত্র (?) মতে ১ আগস্ট জন্মগ্রহণকারী হবে সিংহ রাশির, তবে বর্তমানে এইদিন সূর্য অবস্থান করে কর্কট রাশিতে। জ্যোতিষের সব্বোনাশ এখান থেকেই, অর্থাৎ একই ব্যক্তি একই সঙ্গে আলাদা-আলাদাভাবে দু-ধরনের ভাগ্যর অধিকারী হবেন। এমনকি কারও জন্ম যদি ২৯ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে হয়, তাহলে তার জন্য বর্তমানে রাশিচক্রের কোনো রাশিই বরাদ্দ নেই। কারণ এইসময় সূর্য সর্পধারী নক্ষত্রমণ্ডলে (ophiucus) অবস্থান করে। তাই কারও সঙ্গে যদি পত্রিকার রাশিফল বা কোনো জ্যোতিষীর ভবিষৎবাণী কাকতালীয় ভাবে মিলেও যায়, তাহলে তৃপ্তির পাওয়ার কিছু নেই, কারণ আপনি নিজেকে যে রাশির জানেন আদতে আপনি মোটেও সেই রাশির নন।