.
অতিরিক্ত তথ্যসূচি
প্রথম অধ্যায়
আকবর ১৫৪২ সালের ১৫ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬০৫ সালের ১৫ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
১৫৬৯ সালের ৩০ আগস্ট জাহাঙ্গীর জন্মগ্রহণ করেন এবং আকবরের মৃত্যুর পরে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন।
১৫৮৭ সালে আগস্টের কোনো একদিন খসরু ভূমিষ্ট হয় এবং জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে ১৬৬০ সালের এপ্রিলে সে প্রথমবারের মত বিদ্রোহ ঘোষণা করে। পারভেজের জন্ম ১৫৮৯ সালে।
১৫৯২ সালের ৫ জানুয়ারি খুররম জন্মগ্রহণ করে।
শাহরিয়ারের, এক উপপত্নীর সন্তান, জন্ম তারিখ সঠিকভাবে জানা যায় না কিন্তু অনুমান করা হয় আকবরের মৃত্যুর কাছাকাছি সময়েই তার জন্ম।
তৈমূর, যাযাবর বারলাস তূর্কীদের একজন গোত্রপতি, পশ্চিমে ‘তৈমূর দি লেম’ এর বিকৃত ট্যাম্বারলেন নামেই বেশি পরিচিত। ক্রিস্টোফার মারলোর নাটকে তাকে ‘ঈশ্বরের চাবুক’ হিসাবে দেখানো হয়েছে।
জাহাঙ্গীর হয়ত মুসলিম চন্দ্র মাসের দিনপঞ্জি ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু আমি দিনগুলো পশ্চিমে আমাদের ব্যবহৃত প্রচলিত সৌর, খ্রিস্টান, দিনপঞ্জি অনুসারে পরিবর্তন করেছি।
খসরুর দু’জন ঘনিষ্ট সেনাপতিকে বাস্তবিকই যেভাবে বর্ণিত হয়েছে সেভাবে পশুর চামড়া দিয়ে মুড়ে লাহোরের রাস্তায় প্রদক্ষিণ করানো হয়েছিল এবং আরো অনেককে সূক্ষ প্রান্তযুক্ত লাঠির অগ্রভাগে শূলবিদ্ধ করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় অধ্যায়
জাহাঙ্গীরের নির্দেশে বলা হয়ে থাকে মেহেরুন্নিসার স্বামী শের আফগানকে হত্যা করা হয়েছিল, যদিও কোনো ইউরোপীয় এই কাজ করে নি।
তৃতীয় অধ্যায়
মেহেরুন্নিসাকে শিশু অবস্থায় তাঁর পরিবার কর্তৃক পরিত্যাগ করার বিষয়টা কিছু দিনপঞ্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন জাহাঙ্গীরের সামনে তাঁর নেকাব ফেলে দেয়ার ঘটনা।
চতুর্থ অধ্যায়
হেরেমে যৌনতার সীমা লঙ্ঘনের জন্য চরম শাস্তি দেয়া হতো। যেমন একবার এক মহিলাকে গলা পর্যন্ত বালিতে কবর দিয়ে সূর্যের আলোয় ধুকে ধুকে মারা যাবার জন্য ফেলে রাখা হয়েছিল।
পঞ্চম অধ্যায়
শাহী মিনা বাজারের বাস্তবিকই খুররম প্রথম আরজুমান্দকে দেখে। তাঁর জন্ম ১৫৯৩ সালে।
ষষ্ঠ অধ্যায়
খসরুর দ্বিতীয় বিদ্রোহ এবং তাকে অন্ধ করার ঘটনা ১৬০৭ সালের গ্রীষ্মকালের কথা। গিয়াস বেগকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মুক্তি দেয়া হয় এবং তাঁর ছেলে মীর খানকে ষড়যন্ত্র করার কারণে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
অষ্টম অধ্যায়
মেহেরুন্নিসা আর জাহাঙ্গীর ১৬১১ সালে বিয়ে করে এবং খুররম আর আরজুমান্দের বিয়ে হয় ১৬১২ সালে।
নবম অধ্যায়
মালিক আম্বারের বিরুদ্ধে খুররমের প্রথম অভিযানের সময়কাল ১৬১৬। জাহানারা, যিনি বস্তুতপক্ষে খুররম আর আরজুমান্দের দ্বিতীয় সন্তান–হুঁর আল-নিসা নামে তার এক বড় বোন ভূমিষ্ট হবার কিছুদিন পরেই মারা যায়–১৬১৪ সালের এপ্রিলে জন্মগ্রহণ করেছিল।
একাদশ অধ্যায়
রো ১৬১৫ সালে ভারতবর্ষে আগমন করেন বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে যার ভিতরে ছিল শকট, মারকেটোর’র মানচিত্র আর চিত্রকর্ম।
দ্বাদশ অধ্যায়
বো’র চিঠিতে বাস্তবিকই জাহাঙ্গীরের গর্বের, তার ধর্মীয় সহনশীলতা, নিষ্ঠুরতা, অজ্ঞেয়বাদ আর মেহেরুন্নিসার প্রভাবের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। রো চিঠিতে বর্ণনা করেছেন কীভাবে তিনি সম্রাটকে পরিচালিত করেন এবং তাকে নিজের খেয়াল খুশিমত ব্যবহার করেন। জাহাঙ্গীরের প্রতিকৃতি যেখানে রাজা জেমস তাঁর পায়ের কাছে রয়েছে লন্ডনের বৃটিশ লাইব্রেরিতে রয়েছে।
ত্রয়োদশ অধ্যায়
মালিক আম্বারের বিরুদ্ধে খুররমের দ্বিতীয় অভিযান পরিচালিত হয় ১৬২০ সালে।
পঞ্চদশ অধ্যায়
১৬২২ সাল নাগাদ খুররমের সাথে তাঁর আব্বাজানের বিচ্ছেদের সূচনা হয় যদিও রো ভারতবর্ষ ত্যাগ করেন ১৬১৯ সালে।
একুশ অধ্যায়
মহবত খানের অভ্যুত্থান ১৬২৬ সালের ঘটনা–সেই বছরই পারভেজ মারা যায়। জাহাঙ্গীর ১৬২৭ সালের ২৮ অক্টোবর মারা যায়।
চব্বিশ অধ্যায়
অনেক লেখক যাঁদের ভিতরে কয়েকজন সমকালীন সময়ের ইউরোপীয় লেখক নিজের অগ্রসর হবার কথা গোপন রাখতে তাঁর শবাধারের অনুগমনের বিষয়টার উল্লেখ করেছেন, অনেকে এমন দাবিও করেছে যে তিনি নিজের মৃত্যুর একটা নকল দৃশ্যের অবতারণাও করেছিলেন। ইতিহাস হলো, খসরু বুরহানপুরে খুররমের অধীনে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৬২১ সালে মারা যায়। আধুনিক ইতিহাসবিদ আর সমসাময়িক পর্যবেক্ষকরা বিশ্বাস করে এর জন্য খুররম দায়ী। খসরুর স্ত্রী আসলেই আত্মহত্যা করেছিল। দাওয়ার বকস, খসরুর জ্যেষ্ঠ সন্তান যে জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর পরে সিংহাসন পাবার চেষ্টা করেছিল এবং পরাজিত হয়েছিল আর খুররমের আদেশে শাহরিয়ার এবং তার অন্য কয়েকজন পুরুষ আত্মীয়ের সাথে পরবর্তীতে তাকে হত্যা করা হয়।
ছাব্বিশ অধ্যায়
খুররম (শাহ জাহান) আনুষ্ঠানিকভাবে সিংহাসনে আরোহণ করে ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৬২৮ সালে–আকবরের সিংহাসন আরোহণের ৭২তম বার্ষিকীতে এবং বাবরের ১৪৫তম জন্মবার্ষিকীতে। শাহ জাহান যেসব অহঙ্কারী খেতাব নিজের বলে দাবি করে তার ভিতরে রয়েছে পৃথিবীর অধিশ্বর’ এবং মাঙ্গলিক সমাপাতনের দ্বিতীয় প্রভু’–একসময়ে তৈমূরের গর্বের সাথে ব্যবহৃত খেতাবের নির্লজ্জ আত্মসাৎকরণ। তাঁর সিংহাসনে আরোহনের সময়ে আরজুমান্দের গর্ভে খুররমের দশম সন্তান ভূমিষ্ট হয় যাদের ভিতরে ছয়জন–জাহানারা, দারা শুকোহ, শাহ্ সূজা, রোসন্নারা, আওরঙ্গজেব এবং মুরাদ বকস–জীবিত ছিল।