- সূরার নাম: সূরা আবাসা
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা আবাসা
আয়াতঃ 080.001
তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
(The Prophet (Peace be upon him)) frowned and turned away,
عَبَسَ وَتَوَلَّى
AAabasa watawalla
YUSUFALI: (The Prophet) frowned and turned away,
PICKTHAL: He frowned and turned away
SHAKIR: He frowned and turned (his) back,
KHALIFA: He (Muhammad) frowned and turned away.
============
সূরা আবাসা বা ভ্রুকুটি করা -৮০
৪২ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
ভূমিকা ও সারসংক্ষেপ : এটি একটি প্রাথমিক মক্কী সূরা। আল্লাহ্র প্রত্যাদেশের প্রতি রাসুলের (সা) আন্তরিক আনুগত্যের সাথে এ সূরাটি সম্পৃক্ত। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ছিলেন হযরত মুহম্মদ মুস্তফা (সা)। তবুও সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক অনুভূতির বাইরে ছিলেন না। আল্লাহ্র প্রতি আনুগত্যের গভীর আবেগ ও উদ্দীপনা থেকে ক্ষণ কালের জন্য তিনি সাময়িক ভুল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, যা তাঁর ন্যায় সর্বোচ্চ মুল্যবোধ সম্পন্ন মানুষের জন্য স্বাভাবিক ছিলো না। এই ভুলকে তিনি সানন্দে, সাগ্রহে সংশোধনে আগ্রহী ছিলেন।
একদিন রাসুল (সা) গভীর আন্তরিকতা নিয়ে কতিপয় ধনী মোশরেক কোরাইশ সরদারদের সাথে কোরাণের বাণী আলোচনা করছিলেন। তিনি যখন কোরাণের প্রত্যাদেশ সমূহ তাদের নিকট ব্যাখ্যা করছিলেন সে সময়ে আব্দুল্লা-ইবন- উমাই -ই মুকতাম নামক এক গরীব অন্ধ ব্যক্তি তাঁর নিকট ধর্মীয় উপদেশ যাঞা করেন। সম্ভ্রান্ত কোরাইশদের মজলিশের মাঝপথে এরূপ বাঁধা রাসুল (সা) পছন্দ করলেন না। সম্ভবত : রাসুলের (সা ) বিরক্ত মনোভাব অন্ধ বেচারীর অনুভূতিকে আহত করে। যে মহামানবের হৃদয় গরীব ও হতাভাগ্যদের জন্য সর্বদা সহানুভূতিতে আপ্লুত থাকতো, ক্ষণকালের এই বিভ্রান্তিতে আল্লাহ্ তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ নাজেল করেন। প্রত্যাদেশের আলোয় তার বিভ্রান্তি দূর হয়ে যায়, তিনি সাথে সাথে ইতঃস্তত না করে তা সর্ব সমক্ষে প্রকাশ করে দেন। আর এই প্রত্যাদেশ পবিত্র ধর্মীয় পুস্তকের অংশ হয়ে যায়, যার উল্লেখ আছে আয়াত [ ১৩ – ১৬ ]। এর পর থেকে রাসুল (সা) সর্বদা উক্ত ব্যক্তিকে উচ্চ সম্মান ও মর্যদা প্রদর্শন করতেন।
চলমান পৃথিবীতে এরূপ ঘটনা অহরহই ঘটে থাকে। রাসুলের (সা ) জীবনের মাধ্যমে এরূপ ঘটনার শাশ্বত সত্য নীতি সমূহের প্রত্যাদেশ পৃথিবীর মানুষের জন্য প্রেরণ করা হয়। এই সূরা পুণরায় স্মরণ করিয়ে দেয় মানুষের প্রতি আল্লাহ্র করুণা, ইহকাল ও পরকালে ভালো ও মন্দ কাজের শেষ পরিণতি।
সূরা আবাসা বা ভ্রুকুটি করা -৮০
৪২ আয়াত, ১ রুকু, মক্কী
[ দয়াময়, পরম করুণাময় আল্লাহ্র নামে ]
১। সে [ রসুল ] ভ্রুকুটি করলো এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, ৫৯৫০
২। কারণ তাঁর নিকট একটি অন্ধ লোক এসেছিলো।
৫৯৫০। এখানে ‘সে’ দ্বারা রাসুলুল্লাহকে (সা) বুঝানো হয়েছে। রাসুলের (সা) ভ্রুকুঞ্চানো এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়ার প্রেক্ষাপট সূরাটির ভূমিকাতে বর্ণনা করা হয়েছে। এই সূরার আয়াতগুলির দ্বারা রাসুলের (সা) জীবনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ বিশ্ব মানবকে এই উপদেশ দিয়েছেন যে নৈতিক উৎকর্ষতা বা আধ্যাত্মিক পথের সাফল্য জাগতিক বিষয় বৈভব বা মান -সম্মান ও প্রভাব প্রতিপত্তির উপরে নির্ভরশীল নয়। দরিদ্র বা অন্ধ বা পঙ্গু বা সমাজে প্রতিপত্তিহীন ব্যক্তিও আল্লাহ্র উপদেশ গ্রহণে অধিক মনোযোগী হতে পারে ; বুদ্ধিমান, প্রতিভাবান, মানসিক দক্ষতাতে সমৃদ্ধ, সমাজে উচ্চস্থানে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ অপেক্ষা। কারণ যারা আল্লাহ্র এ সব নেয়ামতে ধন্য হন বিশেষতঃ তাদের মাঝে অহংকার, গর্ব দেখা যায়। তাদের নিজস্ব ক্ষমতার উপরে আত্মবিশ্বাস আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীলতা নষ্ট করে দেয়। ফলে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো ও তাদের আত্মার মাঝে এক পর্দা বা অন্তরালের সৃষ্টি হয়, যে দুর্ভেদ্দ দেয়াল ভেদ করে তাদের হৃদয়ে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো পৌঁছায় না।
আয়াতঃ 080.002
কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল।
Because there came to him the blind man (i.e. ’Abdullâh bin Umm-Maktûm, who came to the Prophet (Peace be upon him) while he was preaching to one or some of the Quraish chiefs).
أَن جَاءهُ الْأَعْمَى
An jaahu al-aAAma
YUSUFALI: Because there came to him the blind man (interrupting).
PICKTHAL: Because the blind man came unto him.
SHAKIR: Because there came to him the blind man.
KHALIFA: When the blind man came to him.
১। সে [ রসুল ] ভ্রুকুটি করলো এবং মুখ ফিরিয়ে নিল, ৫৯৫০
২। কারণ তাঁর নিকট একটি অন্ধ লোক এসেছিলো।
৫৯৫০। এখানে ‘সে’ দ্বারা রাসুলুল্লাহকে (সা) বুঝানো হয়েছে। রাসুলের (সা) ভ্রুকুঞ্চানো এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়ার প্রেক্ষাপট সূরাটির ভূমিকাতে বর্ণনা করা হয়েছে। এই সূরার আয়াতগুলির দ্বারা রাসুলের (সা) জীবনের মাধ্যমে মহান আল্লাহ্ বিশ্ব মানবকে এই উপদেশ দিয়েছেন যে নৈতিক উৎকর্ষতা বা আধ্যাত্মিক পথের সাফল্য জাগতিক বিষয় বৈভব বা মান -সম্মান ও প্রভাব প্রতিপত্তির উপরে নির্ভরশীল নয়। দরিদ্র বা অন্ধ বা পঙ্গু বা সমাজে প্রতিপত্তিহীন ব্যক্তিও আল্লাহ্র উপদেশ গ্রহণে অধিক মনোযোগী হতে পারে ; বুদ্ধিমান, প্রতিভাবান, মানসিক দক্ষতাতে সমৃদ্ধ, সমাজে উচ্চস্থানে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিবর্গ অপেক্ষা। কারণ যারা আল্লাহ্র এ সব নেয়ামতে ধন্য হন বিশেষতঃ তাদের মাঝে অহংকার, গর্ব দেখা যায়। তাদের নিজস্ব ক্ষমতার উপরে আত্মবিশ্বাস আল্লাহ্র উপরে নির্ভরশীলতা নষ্ট করে দেয়। ফলে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো ও তাদের আত্মার মাঝে এক পর্দা বা অন্তরালের সৃষ্টি হয়, যে দুর্ভেদ্দ দেয়াল ভেদ করে তাদের হৃদয়ে আল্লাহ্র হেদায়েতের আলো পৌঁছায় না।