- সূরার নাম: সূরা ওয়াকিআ
- বিভাগসমূহ: ইসলামিক বই, কোরআন শরীফ
সূরা ওয়াকিআ
আয়াতঃ 056.001
যখন কিয়ামতের ঘটনা ঘটবে,
When the Event (i.e. the Day of Resurrection) befalls.
إِذَا وَقَعَتِ الْوَاقِعَةُ
Itha waqaAAati alwaqiAAatu
YUSUFALI: When the Event inevitable cometh to pass,
PICKTHAL: When the event befalleth –
SHAKIR: When the great event comes to pass,
KHALIFA: When the inevitable comes to pass.
০১। যখন অপরিহার্য মহা ঘটনা [ কেয়ামত ] ঘটবে ৫২২২।
০২। অতঃপর এর সংঘটনের অস্বীকার করার কোন [ আত্মা ] থাকবে না
৫২২২। কেয়ামত অবশ্যাম্ভবী ঘটনা। পার্থিব জীবন নিয়ে যারা সর্বদা ব্যস্ত থাকে, তারা এই ঘটনার আগমন সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে থাকে। কিন্তু কেয়ামত ঘটবেই, এবং যখন তা সংঘটিত হবে, তখন তা হবে আকস্মিক ভাবে। এই ঘটনার আকস্মিকতায় প্রতিটি আত্মা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে। তা হবে এত বাস্তব সত্য যে তার প্রচন্ডতা প্রতিটি আত্মার অন্তঃস্থলকে দহন করবে। ফলে কারও পক্ষে মিথ্যা ধারণা বা ভান করা সম্ভব হবে না। “তখন ইহার সংঘটন অস্বীকার করবার কেহ থাকবে না।”
আয়াতঃ 056.002
যার বাস্তবতায় কোন সংশয় নেই।
And there can be no denying of its befalling.
لَيْسَ لِوَقْعَتِهَا كَاذِبَةٌ
Laysa liwaqAAatiha kathibatun
YUSUFALI: Then will no (soul) entertain falsehood concerning its coming.
PICKTHAL: There is no denying that it will befall –
SHAKIR: There is no belying its coming to pass–
KHALIFA: Nothing can stop it from happening.
০১। যখন অপরিহার্য মহা ঘটনা [ কেয়ামত ] ঘটবে ৫২২২।
০২। অতঃপর এর সংঘটনের অস্বীকার করার কোন [ আত্মা ] থাকবে না
৫২২২। কেয়ামত অবশ্যাম্ভবী ঘটনা। পার্থিব জীবন নিয়ে যারা সর্বদা ব্যস্ত থাকে, তারা এই ঘটনার আগমন সম্বন্ধে সন্দেহ পোষণ করে থাকে। কিন্তু কেয়ামত ঘটবেই, এবং যখন তা সংঘটিত হবে, তখন তা হবে আকস্মিক ভাবে। এই ঘটনার আকস্মিকতায় প্রতিটি আত্মা হতবুদ্ধি হয়ে পড়বে। তা হবে এত বাস্তব সত্য যে তার প্রচন্ডতা প্রতিটি আত্মার অন্তঃস্থলকে দহন করবে। ফলে কারও পক্ষে মিথ্যা ধারণা বা ভান করা সম্ভব হবে না। “তখন ইহার সংঘটন অস্বীকার করবার কেহ থাকবে না।”
আয়াতঃ 056.003
এটা নীচু করে দেবে, সমুন্নত করে দেবে।
It will bring low (some); (and others) it will exalt;
خَافِضَةٌ رَّافِعَةٌ
Khafidatun rafiAAatun
YUSUFALI: (Many) will it bring low; (many) will it exalt;
PICKTHAL: Abasing (some), exalting (others);
SHAKIR: Abasing (one party), exalting (the other),
KHALIFA: It will lower some, and raise others.
০৩। ইহা [একদলকে ] করবে বিনীত ৫২২৩, আবার [ অনেককেই ] করবে উল্লাসিত ;
৫২২৩। সেই ভয়াবহ দিনে পৃথিবীর মানুষের সকল শ্রেণী বিভাগ বিলুপ্ত হয়ে নূতন মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং মানুষকে নূতনভাবে নূতন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হবে। যেমন ৭নং আয়াতে বলা হয়েছে সেদিন মানুষকে তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হবে। প্রথমতঃ সর্বোচ্চ শ্রেণী যারা সর্বোচ্চ সম্মানিত, আল্লাহ্র সর্বাপেক্ষা নিকটস্থ [ Muqarrabun] [ ৫৬ : ১১ – ২৯ ] ; পূণ্যাত্মা ব্যক্তিগণ যাদের বলা হয়েছে “ডানদিকের দল” [ Ashab-ul- maimana ] [ ৫৬ : ২৭- ৪০ ]। আর একদল থাকবে যারা থাকবে উদ্বেগ ও দুঃশ্চিন্তার মধ্যে, এদের বলা হয়েছে, “বাম দিকের দল” [ Ashabul-mash-ama ] [ ৫৬ : ৪১ – ৫৬ ]। সেদিন এমন হবে যেমনঃ পার্থিব জীবনে ক্ষমতাধর ব্যক্তিগণ যারা ছিলেন বহুলোকের দন্ডমুন্ডের কর্তা কিন্তু পাপিষ্ঠ ; কেয়ামতের দিনে তাদের মান সম্মান ধূলায় লুণ্ঠিত করে তাদের অবদমিত করা হবে তাদের পাপের দরুণ। আবার যারা পৃথিবীতে ছিলেন পূণ্যাত্মা ও গুণবান কিন্তু ক্ষমতাধর বা খুব সম্মানীয় নয়। সেদিন তারা তাদের পূণ্য ও গুণরাজির জন্য তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিভিন্ন সম্মানে ভূষিত হবেন। পৃথিবীর জীবনের মান -সম্মান ও ক্ষমতার সীমানা হয়ে যাবে বিলুপ্ত। সেদিন নূতন পৃথিবীতে গুণরাজি ও পূণ্যের ভিত্তিতে নূতন মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠিত হবে।
আয়াতঃ 056.004
যখন প্রবলভাবে প্রকম্পিত হবে পৃথিবী।
When the earth will be shaken with a terrible shake.
إِذَا رُجَّتِ الْأَرْضُ رَجًّا
Itha rujjati al-ardu rajjan
YUSUFALI: When the earth shall be shaken to its depths,
PICKTHAL: When the earth is shaken with a shock
SHAKIR: When the earth shall be shaken with a (severe) shaking,
KHALIFA: The earth will be shaken up.
০৪। যখন পৃথিবী তার গভীর থেকে প্রকম্পিত হবে,
০৫। এবং পবর্তসমূহ অণু-পরমাণুতে চূর্ণ হয়ে যাবে ৫২২৪,
০৬। পরিণত হবে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণাতে
৫২২৪। আয়াতে [ ৪ – ৬ ] বর্ণনা করা হয়েছে কেয়ামত দিবসে পৃথিবীর অবস্থা। অল্প কয়েকটি বাক্যে যে চিত্র আঁকা হয়েছে তা অতি ভয়াবহ। আমাদের এই চেনা পৃথিবী অর্ন্তহিত হয়ে যাবে এবং নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি হবে।
আয়াতঃ 056.005