- বইয়ের নামঃ সহিহ বুখারী ০৮ম খণ্ড (ইফা)
- লেখকের নামঃ ইমাম বুখারী
- প্রকাশনাঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
- বিভাগসমূহঃ ইসলামিক বই, হাদীস শরীফ
সহিহ বুখারী ০৮ম খণ্ড (ইফা)
বুখারি হাদিস নং ৪৩০১-৪৪০০
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৩১ | 4331 | ٤۳۳۱
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ সে (ইউসুফ (আঃ) যে স্ত্রী লোকের ঘরে ছিল সে তার থেকে অসৎ কর্ম কামনা করল এবং দরজা গুলো বন্ধ করে দিল ও বলল, এসো। ইকরিমা বলেন, هيت আইস হুরানের ভাষা, ইবন জুবায়র বলেন, تعاله এসো।
৪৩৩১। আহমাদ ইবনু সাইদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন, هَيْتَ لَكَ আমরা সেভাবেই পড়তাম যেভাবে আমাদের শিখানো হয়েছে। مَثْوَاهُ অর্থ স্থান এবং أَلْفَيَا অর্থ সে পেয়েছে। এ থেকে أَلْفَوْا آبَاءَهُمْ হয়েছে। এমনিভাবে ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে بَلْ عَجِبْتَ وَيَسْخَرُونَ এর মধ্যে ت কে পেশ যুক্ত করে বর্ণনা করা হয়েছে। তিনি এভাবে পড়তেন।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৩২ | 4332 | ٤۳۳۲
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ সে (ইউসুফ (আঃ) যে স্ত্রী লোকের ঘরে ছিল সে তার থেকে অসৎ কর্ম কামনা করল এবং দরজা গুলো বন্ধ করে দিল ও বলল, এসো। ইকরিমা বলেন, هيت আইস হুরানের ভাষা, ইবন জুবায়র বলেন, تعاله এসো।
৪৩৩২। হুমায়দি (রহঃ) … আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত, যখন কুরাইশগন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইসলাম এর দাওয়াত অস্বীকার করল, তখন তিনি আল্লাহর নিকটে আরজ করলেন, ইয়া আল্লাহ! যেমনি ভাবে আপনি ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর সময় সাত বছর ধরে দুর্ভিক্ষ দিয়েছিলেন, তেমনি ভাবে ওদের উপর দুর্ভিক্ষ নাযিল করুন। তারপর কুরাইশগন এক বছর পর্যন্ত এমন দুর্ভিক্ষের মধ্যে আপতিত হল যে সব কিছু ধ্বংস হয়ে গেল। এমনকি তারা হাড় পর্যন্ত খেতে শুরু করল; যখন কোন ব্যাক্তি আকাশের দিকে নজর করত, তখন আকাশ ও তার মধ্যে শুধু ধোঁয়া দেখত।
আল্লাহ বলেন فَارْتَقِبْ يَوْمَ تَأْتِي السَّمَاءُ بِدُخَانٍ مُبِينٍ “সেদিনের অপেক্ষায় থাক যেদিন আকাশ স্পষ্ট ধোঁয়া নিয়ে আশবে”।
আল্লাহ আরও বলেন, إِنَّا كَاشِفُو الْعَذَابِ قَلِيلاً إِنَّكُمْ عَائِدُونَ “আমি শাস্তি কিছুটা সরিয়ে নিব; নিশ্চয়ই তোমরা (পূর্বাবস্থায়) প্রত্যাবর্তন করবে”। কিয়ামত এর দিন তাদের থেকে আযাব দূর করা হবে কি? এবং دخَان ও بَطْشَةُ এর ব্যাখ্যা আগে বলা হয়েছে।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৩৩ | 4333 | ٤۳۳۳
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ فلما جاءه الرسول قال ارجع إلى ربك “যখন দূত ইয়ুসুফ (আ) এর নিকট উপস্থিত হল তখন সে বলল, তুমি তোমার প্রভুর নিকট ফিরে যাও এবং তাকে জিজ্ঞেস কর, যে সকল নারী হাত কেটে ফেলেছিল তাদের অবস্থা কি! আমার প্রতিপালক তো তাদের অবস্থা সম্যক অবগত। বাদশাহ নারীদের বলল, যখন তোমরা ইয়ুসুফ থেকে অসৎ কর্ম কামনা করেছিলে তখন তোমাদের কি অবস্থা হয়েছিল? তারা বলল, অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য! আমাদের ও তার মধ্যে কোন দোষ দেখিনি। حاش وحاشى এটা تنزيه এবং استثناء এর জন্য। حصحص অর্থ প্রকাশ হয়ে গেল।
৪৩৩৩। সাইদ ইবনু তালিদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা লুত (আলাইহিস সালাম) এর উপর রহম করুন। তিনি তার সম্প্রদায়ের চরম শত্রুতায় বাধ্য হয়ে, নিজের নিরাপত্তার জন্য আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করেছিলেন। যতদিন পর্যন্ত ইয়ুসুফ (আলাইহিস সালাম) বন্দীখানায় ছিলেন, আমি যদি তদ্রূপ (বন্দীখানায়) থাকতাম, তবে পরিত্রানের জন্য অবশ্যই সাড়া দিতাম। আমরা ইব্রাহিম (আলাইহিস সালাম) থেকে সর্বাগ্রে থাকতাম যখন আল্লাহ তাকে বললেন, তুমি কি বিশ্বাস করনা? জবাবে তিনি বললেন, হ্যাঁ। তবে আমার মনের প্রশান্তির জন্য।
হাদিস নম্বরঃ ৪৩৩৪ | 4334 | ٤۳۳٤
পরিচ্ছদঃ আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ حتى إذا استيأس الرسل “এমনকি যখন রাসুলগন নিরাশ হয়ে গেলেন”।
৪৩৩৪। আবদুল আযিয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) উরওয়া ইবনু যুবাইর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়শা (রাঃ) কে আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ حَتَّى إِذَا اسْتَيْأَسَ الرُّسُلُ এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম যে এই আয়াতে শব্দটা أَكُذِبُوا না كُذِّبُوا আয়শা (রাঃ) বললেন, أَكُذِبُوا আমি জিজ্ঞেস করলাম, যখন আম্বিয়ায়ে কিরাম পূর্ণ বিশ্বাস করে নিলেন, এখন তাদের সম্প্রদায় তাদের প্রতি মিথ্যা আরোপ করবে, তখন الظَّن ব্যাবহারের উদ্দেশ্য কি? আয়শা (রাঃ) বললেন, হ্যাঁ আমার জীবনের কসম! তারা পূর্ণ বিশ্বাস করেই নিয়েছিলেন। আমি তাঁকে বললাম, ظَنُّوا أَنَّهُمْ قَدْ كُذِبُوا অর্থ কি দাঁড়ায়? আয়শা (রাঃ) বললেন, মা’আযাল্লাহ! রাসুলগন কখনও আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা ধারনা করতে পারেন না। আমি বললাম, তবে আয়াতের অর্থ কি হবে? তিনি বললেন, তারা রাসুলদের অনুসারী যারা তাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান এনেছে। এবং রাসুলদের সত্য বলে স্বীকার করেছে। তারপর তাদের প্রতি দীর্ঘকাল ধরে (কাফেরদের) নির্যাতন চলেছে এবং আল্লাহর সাহায্য আসতেও অনেক বিলম্ব হয়েছে, এমনকি যখন রাসুলগন তাদের সম্প্রদায়ের মধ্য থেকে তাদের প্রতি মিথ্যরোপ কারীদের ঈমান আনা সম্পর্কে নিরাশ হয়ে গেছেন এবং রাসুলদের এ ধারনা হল যে এখন তাদের অনুসারীরাও তাদের প্রতি মিথ্যরোপ করতে শুরু করবে, এমতাবস্থায় তাদের কাছে আল্লাহর সাহায্য এল।