ডাক্তারের পিণ্ডি চটকে বিনডন যন্ত্রণায় ককাতে ককাতে শহর চষে ফেলেছিল। বাঘা বাঘা ডাক্তারকে দেখিয়েছিল। কিন্তু সব শেয়ালেরই যে এক ডাক!
আয়ু ফুরিয়েছে বিনডনের। কুবের সম্পদ ঢেলেও আর তা টেনে লম্বা করা যাবে না।
গোল্লায় যাক বিজ্ঞান! নিজের নিভৃত ঘরে বসে বেশ কিছুক্ষণ ধরে বিজ্ঞানভিত্তিক সভ্যতাটার মুন্ডুপাত করেছিল বিনডন। এলিজাবেথিটা তার মনে দাগা দিয়ে যাওয়ার পর কিছুদিন মঠে-মন্দিরে ঘুরে শান্তি খুঁজতে গিয়ে যে কথাটা শুনেছিল, মনের মধ্যে বারবার প্রতিধ্বনিত হল সেই কথা। এ দুনিয়ায় নশ্বর সবই–জরা এসে একদিন গ্রাস করবেই এই দেহকে। সবই পড়ে থাকবে–অবিনশ্বর শুধু আত্মা–শুদ্ধ রাখ সেই আত্মাকে।
আস্তে আস্তে শান্ত হয়ে এল বিনডন। এলিজাবেথিটা তাকে ভুল বুঝেছে। তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে, বিনডন কী চরিত্রের মানুষ। তার মন জয় করা না গেলেও, মনে ছাপ ফেলে দেওয়া তো যাবে। এমন ছাপ এঁকে যাবে বিনডন, যার পরে অনুতপ্ত হবেই এলিজাবেথিটা –বিনডনের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্যে। চরম উদারতা দেখিয়ে যাবে বিনডন–রিক্তা এলিজাবেথিটাকে এনে বসাবে বিত্তের সিংহাসনে-পাশে থাকবে ডেনটন।
সেই হবে বিনডনের ভয়ানক প্রতিশোধ!
টেলিফোন করল আইনবিদকে তৎক্ষণাৎ। দশ মিনিটের মধ্যেই তৈরি হয়ে গেল ইষ্টিপত্র –টিপসই চলে গেল তিন মাইল দূরে আইনজ্ঞের দপ্তরে–যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে।
কিছুক্ষণ এলিয়ে বসে থাকার পর রিসিভার তুলে নিয়ে ডাক দিল ইউথ্যানাসিয়া কোম্পানিকে–এত জরুরি তলব কখনও আসেনি এই কোম্পানিতে।…
দিনকয়েক পরে দেখা গেল, তার ফ্ল্যাটে, তার চেয়ারে পাশাপাশি বসে এলিজাবেথিটা আর ডেনটন–দৃষ্টি প্রসারিত সুদূরের আকাশপানে।…