মেয়েটা ইতিমধ্যে অন্যদিকে চলে গেছে। ও কি রাস্তা পার হতে পারে। তখন পর্যন্ত পুতুলটাকে ছাড়ে নি। অ্যালিসিয়া কোম্বে বলে ওঠে তুমি কিন্তু পুতুলটাকে নেবে না। এটা আমাকে দিয়ে দাও।
বালিকা এবার মুখ ফিরিয়ে তাকায়। তাকে দেখে বোঝা যায় তার মধ্যে বিচ্ছিন্নভাব রয়েছে। বয়স আট বছরের বেশী হবে না। চোখ মুখে উদ্ধতের ছাপ। সে নালিশ করে-তোমরা পুতুলটাকে জানলা দিয়ে ছুঁড়ে দিয়েছিলে?
তোমরা যদি ওর সঙ্গে এমন ব্যবহার কর তাহলে তোমাদের কাছে ফিরে যাবে কেন? তোমরা তো ওকে চাও না, তাই ওই পুতুলটা এখন আমার।
অ্যালিসিয়া কোম্বে বলে ওঠে–আমি তোমাকে আর একটা পুতুল এনে দেব। আমাদের একটা খেলনার দোকান আছে। যে পুতুল তুমি চাইবে। সেটাই তোমাকে দেব।
আমি তোমাকে সবথেকে ভাল পুতুল দেব। তুমি আমাকে ওই পুতুলটা ফেরৎ দাও। মেয়েটি বলে ওঠে-না, ও তোমাদের কাছে যাবে না।
–ভেলভেটের পুতুলটাকে নিয়ে লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করল।
সাইবিল বলে ওঠে–কথা শোন, শেষ বারের মত বলছি, পুতুলটা আমাদের কাছে দিয়ে দাও। ওই পুতুলটা কখনই তোমার নয়।
সে খুব তাড়াতাড়ি, মেয়েটির কাছে পৌঁছে পুতুলটাকে ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করল। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটি তার ওপরে আঘাত করে অতি দ্রুত চিৎকার করে ওঠে। আঘাতের শব্দ শোনা যায়।
সে বলে ওঠে–কখনও না, কখনও না। আমার–আমার, আমার পুতুল, আমি এটাকে ভালোবাসি, তোমরা কেউ এটাকে ভালোবাসো না। তোমরা পুতুলটাকে ঘৃণা কর। বল ঠিক বলেছি কি না। তোমরা তাই পুতুলটাকে ছুঁড়ে বার করে দিয়েছ।
পুতুলটা আমাকে ভালবাসে। ও ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই চায় না। তারপর একদিন চলমান মোটরগাড়ি থেকে কোথায় যেন হারিয়ে গেল।
ধীরে ধীরে সে অনেকটা দূরত্বে চলে গেল। তাকে আর ধরা যাবে না। এই বিষয়টাকে বুঝতে পারল।
আলিসিয়া বলে ওঠে–ও চলে গেছে। ও কি বলে গেল যাবার আগে শুনেছ?
পুতুলটা ভালবাসা ছাড়া আর কিছু চায় না।
অ্যালিসিয়া মন্তব্য করে–হ্যাঁ, সেটা সঠিক কথা বলেছে পুতুলটা এমন এক জায়গায় পৌঁছে গেছে সেখানে অ্যালিসিয়ার মত মেয়ে বেঁচে আছে। এখানে অন্ধকার বলে কিছু নেই।
পুলিশটা অবাক হয়ে দেখল মাঝ বয়সী ভদ্র মহিলার চোখে অশ্রুর ঈশারা। সে বেচারি বুঝতেই পারছে না এখন তার কী করা উচিত!
–সমাপ্ত–