–তোমাকে খুব উদ্বিঘ্ন দেখাচ্ছে জেন কাকিমা।
–সত্যিই কি আমাকে বিপদজনক দেখাচ্ছে। তুমি কি পুলিশের সম্বন্ধে কিছু শুনেছ?
–লু-কে খুব বিভ্রান্ত লাগছিল, এবং বলল, আমি পুলিশে সম্বন্ধে কিছু জানি না।
–এই মন্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সেখানে নিশ্চয়ই কিছু গুপ্ত অবস্থায় রয়েছে, মিস মার্পল বললেন।
লু পরের দিন মনের আনন্দে কাজে যোগ দিল। সে প্রথম দরজা পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করল যেখানে দরজা এবং জানালাগুলি সবসময় ভোলা ছিল, মিস গ্রিনস-এর কোনও ভয় ছিল না, তাই সে এগিয়ে আসল। এবং সে সত্যিই সঠিক ছিল এই মহুর্তে যা করা উচিত। যেহেতু ঘরের প্রত্যেকটা জিনিসের অনেক ওজন ছিল কিন্তু সেখানে কোন বাজার মূল্য ছিল না।
গাড়ি চালানোর সময় লু আলফ্রেডকে অতিক্রম করে চলে গেল। যখন লু আলফ্রেডকে দেখতে পেল, তখন আলফ্রেড একটা গাছে হেলান দিয়ে ধূমপান করছিল। কিন্তু যেই মুহূর্তে আলফ্রেড লুকে দেখতে পেল। আলফ্রেড একটা ঝাটা নিল এবং পাতা আঁটাতে শুরু করল, না ভাবল, একজন অলস লোক, কিন্তু সুন্দর দেখতে। লোকটার লক্ষণগুলো লু-কে একজনের কথা মনে করিয়ে দিল। যখন সে হলঘরের মধ্যে দিয়ে সিঁড়িতে উঠে পাঠাগারে যাচ্ছিল, লু একবার ন্যাথানিয়াল গ্রিনসর ছবির দিকে দৃষ্টিপাত করল। ছবিটা ম্যান্টলপিস-এর উপর ছিল। ছবিটা ভিক্টোরিযান প্রাচুর্যের চূড়া হিসাবে পরিগণিত হচ্ছিল। পিছনে একটা আরামকেদারা ছিল। এই ছবিটার হাতগুলো ধারণ ক্ষমতা যুক্ত পাকস্থলীতে ছিল। যখন লু-সেই ছবিটার পাকস্থলী থেকে মুখের দিকে তাকাল, তখন সে ছবিটার সুন্দর ভ্রু এবং কালো গোঁফ দেখল। সে ভাবল ন্যাথানিয়াল গ্রিনসকে খুব সুন্দর দেখতে ছিল। যাকে খানিকটা আলফ্রেড-এর মত দেখতে।
সে তারপরে পাঠাগারে গেল। দরজা বন্ধ করে দিল, তারপর টাইপরাইটার খুলল, তারপর পাশের ড্রয়ার থেকে ডায়েরিটা বার করল। খোলা জানলা দিয়ে সে মিস গ্রিনসকে দেখতে পেল যে একটা রঙীন পোশাক পরে আগাছাগুলো তুলছিল। সেখানে দুদিন ভেজা দিন ছিল তাই আগাছাগুলো খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠেছে।
লু যেহেতু একটা শহরের মেয়ে, সে স্থির করল যদি তার একটা বাগান হয় তাহলে সেখানে শিলাপ রাখবে না। কারণ এতে প্রচুর আগাছা জন্মে। এবং সেগুলোকে হাত দিয়ে পরিষ্কার করতে হয়, তারপর লু আবার তার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল।
যখন মিসেস ক্রসওয়েল পাঠাগারে সাড়ে এগারটার সময় কফি নিয়ে প্রবেশ করল। সে খুব রেগে ছিল। সে দুম করে চায়ের ট্রেটা টেবিলে রেখে দিল, এবং তারপর অন্যদিকে তাকাতে লাগল।
বাড়িতে কিছুই নেই। আমার এখন কি করা উচিত। আমাকে অবশ্যই জানতে হবে, আলফ্রেড-এর কোনও পাত্তা নেই।
–সে রাস্তায় ঝাঁট দিচ্ছিল, যখন আমি এখানে আসলাম, তাকে রাস্তায় দেখলাম। লু বলল।
আমি হলফ করে বলতে পারি, এটা সত্যিই একটা ভালো কাজ।
-মিসেস ক্রসওয়েল সজোরে ঘর থেকে বেরিয়ে আসল এবং দরজায় দুম করে আওয়াজ করে বেরিয়ে গেল। লু…নিজের প্রতি ভেঙ্গচি কাটল। সে বিস্মিত হয়ে গেল, ভাইপো কেমন হবে।
সে কফিটা শেষ করল। এবং তারপর আবার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। এটা এতটা ব্যস্ত কাজ যে দ্রুত সময় অতিবাহিত হতে লাগল। ন্যাথানিয়াল গ্রিনস যখন তার দিনলিপি রাখত, সে এই খোলমেলা স্বভাবের আনন্দে সামিল হয়েছিল, লু বলল, একটা দ্রুত সম্পাদনার কাজ খুব জরুরি।
যেহেতু সে এটা শুনছিল। সে বাগান থেকে একটা আর্তনাদ শুনতে পেল, লাফিয়ে উঠে সে খোলা জানালার দিকে তাকাল। মিস গ্রিনস তার প্রস্তরময় বাগান থেকে টলতে টলতে বাড়ির দিকে আসছিল, সে তার হাতগুলো তার বুকের কাছে জড়িয়ে ধরে আসছিল। তার বুকের মধ্যে একটা শর গেঁথে গিয়েছিল, লু চিনতে পেরেছিল এটা নিশ্চয়ই শর বা তীর হবে।
মিস গ্রিনসর মাথা তার নিজের বুকে ঝুঁকে যাচ্ছিল, সে লুকে খুব নিম্নস্বরে বলেছিল, …হত্যা …সে আমাকে হত্যা করেছে একটা শর দিয়ে…আমি সাহায্য চাই…।
লু দরজার দিকে ছুটে গেল। সে হাতলটা ঘোরাল, কিন্তু দরজাটা খুলছিল না, সে এক কিংবা দু মিনিট ধরে এই ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছিল, কিন্তু সে জানত না যে তাকে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে, সে আবার জানলার দিকে ছুটে গেল।
–আমি বন্দী হয়ে গেছি।
মিস গ্রিনস যে লুর দিকে পেছন ফিরে ছিল, এবং কঁপছিল সে ঘরের রক্ষণাবেক্ষণকারীকে জানালা দিয়ে ডাকছিল।
–পুলিশকে ফোন কর, টেলিফোন…তারপর মাতালের মত এদিক-ওদিক দুলতে দুলতে সে অদৃশ্য হয়ে গেল তারপরে দেখা গেল মিস গ্রিনস বসার ঘরে রয়েছে, কিছুক্ষণ পর লু-চায়না মাটির কিছু আসবাবপত্র ভাঙ্গার আওয়াজ পেল। একটা খুব জোরে শব্দ এবং তারপর সবকিছু নিস্তব্ধ হয়ে গেল। তার মনের কল্পমান সে আবার দৃশ্যটাকে পূর্ণগঠিত করল, মিস গ্রিনস অন্ধের মত টলছিল। তার পাশে একটা টেবিল ছিল এবং সেখানে চায়ের সেটগুলো ছিল।
বেপরোয়াভাবে লু দরজায় লাফিয়ে পড়ল। তারপর ডাকতে এবং চেঁচাতে লাগল, সেখানে কোনও লতাপাতা পাইপ ছিল না। সেগুলো তাকে হয়ত সাহায্য করত এখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য।
দরজায় ধাক্কা দিতে দিতে সে ক্লান্ত হয়ে গেল, সে জানলার দিকে ফিরে তাকাল। তার ঘরে বসার ঘরের জানালা থেকে রক্ষণাবেক্ষণকারীর মাথাটা দেখা গেল।