যদিও সে একজন লম্বা মহিলা নয়, তার একটা খুব উন্নত এবং মহার্ঘ্য বক্ষ ছিল, তার গলার স্বরটা খুব গম্ভীর ছিল, কিন্তু কিছু শব্দ বলার ক্ষেত্রে তাঁর ইতস্ততা আসত, যেমন যে সমস্ত শব্দগুলো দিয়ে শুরু হয়েছে। এবং তার উচ্চারণে অতিরঞ্জিত করার জন্য সন্দেহের উদ্রেক হত। এবং এটা মনে হত যে অনেক আগে তার যৌবনকালে সেই এইরকম সমস্যায় পড়েছিল এক উচ্চারণ করা নিয়ে।
–মাছ, ম্যাডামস–মিসেস ক্রসওয়েল বলল, কড মাছের টুকরো। এটা এখনও পৌঁছায়নি। আমি আলফ্রেডকে বলেছি এটা খোঁজ করার জন্য যেতে। কিন্তু সে এটা করতে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বরং অপ্রত্যাশিতভাবে, মিস গ্রিনস হাসিতে ফেটে পড়ল।
–প্রত্যাখ্যান। সত্যিই সে কথাটা প্রত্যাখ্যান করেছে?
–আলফ্রেড হচ্ছে সবথেকে অলস এবং অবাধ্য লোক। মিস গ্রিনস তার দুটো আঙ্গুল ঠোঁটে তুলল এবং একটা কান কেটে যাওয়ার মত হুইসেল বাজাল এবং তারপরেই তারস্বরে চিৎকার করতে লাগল :
–আলফ্রেড, আলফ্রেড, এখানে এস।
কর্ণারে ঘোরার মুখে একজন যুবক এই ডাকে এগিয়ে আসল। তার হাতে একটা ঝটা ছিল। সে খুব সাহসী এবং দেখতে সুন্দর ছিল। এবং সে যখন মিসেস ক্রসওয়েলের কাছে আসল তার মুখটা ভীষণ ক্ষতিকর বলে মনে হচ্ছিল এবং মিসেস ক্রসওয়েলের দিকে এক পলকে তাকাল।
–তুমি আমাকে চাইছিলে, মিস? সে বলল।
–হ্যাঁ, আলফ্রেড, তুমি নাকি মাছের খোঁজ নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছ। এটা কি সত্যি?
আলফ্রেড বলল–যে সে এটা অবশ্যই করবে।
–আমি আপনার জন্য মাছের খোঁজে যেতে পারি, যদি তুমি চাও মিস, তুমি যেহেতু আমাকে বলেছ।
–আমি এটা চেয়েছিলাম–আমি রাত্রিরের খাবার জন্য এটা চাই।
তুমি ঠিক বলেছ মিস, আমি এক্ষুনি যাব।
সে তারপর মিসেস ক্রসওয়েলের দিকে উদ্ধত দৃষ্টি নিয়ে তাকাল, কিন্তু ক্রসওয়েল বিড়বিড় করে কিছু বলতে লাগল।
-সত্যি! এটা মানা যায় না।
–এখন সে আমি ভাবি-মিস গ্রিনস বলল, এক স্বামী-স্ত্রী যারা অদ্ভুত পরিদর্শনকারী। তাদেরকে মনে হয়, তারা আমার ইচ্ছার মত নয়, মিসেস ক্রসওয়েল।
মিসেস ক্রসওয়েলকে বিভ্রান্ত লাগছিল।
–আমি সত্যিই দুঃখিত, ম্যাডাম–তুমি জান কি, মিস গ্রিনস বলল তার মাথা নাড়িয়ে। একটা উইলের সুবিধা নিশ্চয়ই উইল প্রত্যক্ষ করবে না, এটা ঠিক, তাই নয় কি? সে তারপর রেমন্ড ওয়েস্টকে আবেদন করল।
স্পষ্টতই ঠিক। রেমন্ড বলল : আমি অনেক আইনকানুন জানি, মিস গ্রিনস বলল, এবং তোমরা দুজন যুবক ছেলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে।
তারপর সে তার কর্নিককে বিয়ের ঝুড়িতে ছুঁড়ে ফেলে দিল।
–তুমি কি কিছু মনে করবে যদি তুমি আমার সঙ্গে পাঠাগারে আসো।
–হোরাস বলল এটা খুব আনন্দদায়ক ব্যাপার।
সে তারপর হোরাসকে ফ্রেঞ্চ-এর জানলা দিয়ে পথ নির্দেশ করল এবং তারা হলুদ এবং সোনালী রঙের বসবার ঘর অতিক্রম করল। সেখানে দেখা গেল সমস্ত আসবাবপত্র ধূলোয় ভরে গেছে। তারপরে তারা একটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরের মধ্যে দিয়ে গেল। তারপর সিঁড়িতে উঠল এবং তারপর প্রথম তলার একটি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করল।
–এটা আমার দাদুর পাঠাগার। সে সজোরে বলল।
হোরাস ঘরের চারদিকে ঘুরে ঘুরে দেখল এবং খুব আনন্দ পেল। এটা একটা ঘর সেটাতে আমার দাদুর মতামত বিরাজ করত। এবং এই ঘরটা মনস্ট্রিসিটিজ-এ ভর্তি ছিল। একটা দানবীয় মত আসবাব ছিল, সেটা একদম আলাদা, সেটা ব্রোঞ্জ দিয়ে মোড়ক দেওয়া ছিল। সে ভাবল, চাল এবং ভারজিনিয়া এবং একটা বড় ব্রোঞ্জের ঘড়ি যার একটা ফটোগ্রাফ সে নিতে চেয়েছিল। অনেক সুন্দর সুন্দর বই, মিস গ্রিনস বলল।
রেমন্ড তখন বইয়ের দিকে নজর দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে কোনও বইই আগ্রহসূচক ছিল না, এবং কোনও বইই মনে হচ্ছিল না যে পড়া হয়েছে। সেগুলি চমৎকারভাবে ক্লাসিকে পরিপূর্ণ। যেগুলো আনা হয়েছিল ৯০ বছর আগে একজন ভদ্রলোকের পাঠাগার সাজানোর জন্য। কিন্তু লুপ্তপ্রায় উপন্যাসগুলোও এখানে সংযযাজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো পড়া হয়েছে বলে মনে হল না।
মিস গ্রিনস একটা বড় ডেক্সের ড্রয়ারে কিছু হাতড়াচ্ছিল, তারপর সে একটা গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পেল।
আমার উইল–সে বলতে লাগল, যদি আমি উইল ছাড়া মারা যেতাম, তাহলে এই ঘোড়া নিয়ে আসা ছেলেটা এটা পেয়ে যেত। হ্যারি ফ্লেচার খুব সুন্দর দেখতে একটা লোক। কিন্তু তার মত ভবঘুরে কেউই নেই। তুমি দেখো না কেন তার ছেলে এই স্থানের উত্তরাধিকারী হয়েছে। না, সে বলেই চলল, এটা মনে হচ্ছিল যে সে কোন না বলা আপত্তিগুলো তুলছে। আমি মনস্থির করে নিয়েছি আমি এটা ক্রসওয়েলকে ছেড়ে দিচ্ছি।
তোমার রক্ষণাবেক্ষণকারীর কী হবে?
-হ্যাঁ, আমি তাকে সব কিছু বলেছি। আমি একটা উইল করেছি যাতে সে আমার সমস্ত কিছু পায় এবং আমি ভাবি তাকে আর কোন মজুরি দিতে হবে না, এখনকার খরচ থেকে এটা আমাকে রক্ষা করবে। সে খুব ভালো তাই নয় কি? কিন্তু তার বাবা একজন সীমার জিনিসপত্র বিক্রেতা, তার কিছুই নেই যাতে সে সুখে থাকতে পারে।
তারপর সে কাগজটা খুলল। তারপর একটা পেন নিয়ে কালিতে ডোবাল এবং তার সই করল, তার নাম হল ক্যাথরিন ডরথি গ্রিনস।
–এটাই ঠিক, সে বলল, তুমি এটা দেখছ সই করা আছে। এবং এতে তুমি একটা সই কর, তখন এটা আইনিমাফিক পরিণত হয়ে যাবে।