কি ভেবে হেলেনা ব্যাপারটা চেপে গেল এখানেই।
দুদিন পরের ঘটনা।
হেলেনা রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলো একা একা। মুখে তৃপ্তির হাসি। সোফিয়ার গোপন ইচ্ছেটা সে অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দিতে পেরেছে। সে আর কোন দিন কাটাতে পারবে না কোন আনন্দিত, বিননাদিত সন্ধ্যা অবসর।
সোফিয়া এখন আর তার কাছে ভয়ের কারণ নয়। সব ভয়ের ইতি টেনে দিয়েছে সে জিমকে সরিয়ে দিয়ে। কিন্ত এসব সত্ত্বেও পরিপূর্ণ একটা তৃপ্তির আমেজ উপভোগ করতে পারছিলো কৈ?
আরো একটা আকাঙ্খা তাকে কেবলই তাগিদ দিচ্ছিল সেই শুরু থেকে। যেদিন থেকে ঘটনার সূত্রপাত সেদিন থেকে। তার এখন ভীষণ ইচ্ছে মেয়েটিকে দেখার জন্য। কে সেই নারী? যে নারী জিমকে তার কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। আচ্ছা সেই মেয়েটি কি তার থেকেও বেশী সুন্দরী?…ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ সে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লো একটা জায়গায় এসে। তার পা দুটো কে যেন মাটির সঙ্গে পেরেক দিয়ে গেঁথে দিয়েছে। মুহূর্তে চলার শক্তি হারিয়ে ফেললো সে। তার বুকটা হাহাকার করে উঠলো। কথা বলতে পারছিল না। তখন দেহটা অবশ হয়ে আসছিল। হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে আসছিল। হেলেনা ভালো করে তাকালো ল্যাম্পপোস্টের দিকে। সেই ল্যাম্পপোস্টে সিনেমার বিজ্ঞাপন আর তলায় লেখা রয়েছে সোফিয়ার নাম!