তার দিকে চেয়ে সামান্য মাথা নুইয়ে, হেসে বেরিয়ে গেল শোঁপা।
.
২১.
চেঁচানো ঘড়ির কেসের বিবরণ লিখে শেষ করেছে রবিন। উপসংহারে লিখলোঃ
দক্ষিণ আমেরিকায় খোঁজ নিয়েছে পুলিশ। সত্যিই মারা গেছে হ্যারিসন ক্লক।
সেই গ্যারেজ থেকে ধরা হয়েছে ডিংগো, মারকো, আর লারমারকে। তেমনি। হাতকড়া পরা অবস্থায়ই ছিলো ওরা, ছুটতে পারেনি। নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে। ব্লকই ছবিগুলো রান্নাঘরে লুকিয়েছিলো টিমের বাবাকে ফাঁসানোর জন্যে, এই জবানবন্দীও দিয়েছে আদালতে। জেল থেকে মুক্তি পেয়েছে বেকার ডেলটন।
আ স্ক্রীম অ্যাট মিডনাইট নাটকে চিৎকার করেছে ক্লক, সেই চিৎকারই ডিস্কে রেকর্ড করে ঘড়িতে ঢুকিয়েছে। নাটকটিতে একটা দৃশ্য ছিলো, চিকারের শব্দে চুরচুর হয়ে ভেঙে গেছে একটা আয়না। ছবি লুকানোর ক্ষেত্রে ওই কায়দাটাকেই কাজে লাগিয়েছে ধড়িবাজ ক্লক। তার জানা ছিলো, বিশেষ পরিবেশে, বিশেষ শব্দ তরঙ্গের জোরালো ধাক্কা সইতে পারে না পাতলা কাঁচ, ভেঙে যায়।
সেদিন রাতে, নাটকের ওই দৃশ্যটার কথাই বলেছিলেন মিস্টার রাফাত আমান। শুনে, মুসার মনে হয়, তথ্যটা জরুরী, কিশোরকে জানানো দরকার।
.
থুতনিতে কলমের মাথা ঠেকিয়ে কিছুক্ষণ ভাবলো রবিন। আর কোনো পয়েন্ট আছে? না, সবই লেখা হয়েছে। কিছু বাকি নেই। ফাইলটা বন্ধ করে, ফিতে বেঁধে, সযত্নে রেখে দিলো ফাইলিং কেবিনেটে। আগামী দিন এটা নিয়ে যাবে বিখ্যাত চিত্রপরিচালক মিস্টার ডেভিস ক্রিস্টোফারের অফিসে দেখা করার জন্যে।