***
কীর্তিনারায়ণের বোধহয় খুবই শখ ছিল যে কন্দৰ্পনারায়ণের একটা জীবনী লেখা হোক। না হলে আর লালমোহনবাবুকে তিনি অফারটা করেন?
আপনি তো লিখিয়ে মানুষ–রহস্য রোমাঞ্চ ঔপন্যাসিক-তা কন্দৰ্পনরায়ণের চেয়ে বড় রহস্য আর রোমাঞ্চ একই লোকের জীবনে কিন্তু আর পাবেন না।
লালমোহনবাবু অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে ঘাড় কাত করে বললেন, আমাকে আর লজ্জা দেবেন। না, আমি অতি নগণ্য ব্যক্তি, আমার লেখার কোনও মূল্যই নেই।
পরে অবিশ্যি উনি ফেলুদাকে বলেছিলেন, রূক্ষে করুন মশাই-ওই খুন হওয়া বাড়িতে বসে। আমি কন্দৰ্পনারায়ণের জীবনী নিয়ে রিসার্চ করব!—বেঁচে থাকুক আমার রহস্য-রোমাঞ্চ, বেঁচে থাকুক প্রখর রুদ্র-অ্যান্ড লং লিভ দ্য থ্রি মাস্কেটিয়ারস!
Page 18 of 18