বাংলাদেশি কাজের মেয়ে এবং পুরুষ ড্রাইভার সমাচার
বিশেষ করে আমাদের দেশের নারী পাচারকারীরা চাকরির কথা বলে বাংলাদেশের বোকা অশিক্ষিত মেয়েদের পাঠায় বর্বর আরবদের রান্নাঘরে। রান্নার লোকের কথা বলে আরবের পুরুষেরা ভিসার জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজ দিয়ে, নিয়ে আসে ওদের সম্ভোগের নারী। পরবর্তীকালে, আরব প্রভুদের গণধর্ষণ অস্বীকারের ক্ষমতা নারীর থাকে না। তাহলে সমূহ বিপদ। যেমন জানাজানি হলে তার মুণ্ডপাত। না দিলে, ভিসা বানচাল। পালিয়ে যাওয়ার কোনও জায়গা নেই।
সুতরাং সৌদি মালিকদের দেয়া কাগজপত্র ভিসা নিয়ে যে মেয়েই সেদেশের রান্নাঘরে যাবে তারই একই পরিণতি। দেশের নারী পাচারকারীদের জন্য এটা ১০০ কোটি টাকার কল-কারখানা। আরবের ঘরে ঘরে চলে পর্দার আড়ালে তাই এই বেশ্যাবৃত্তি। বেশ্যাবৃত্তি, কি নারী, কি পুরুষ! আর যে বিরোধিতা করে, তাকে মূল্য দিতে হয়, জীবন দিয়ে।
কি বীভৎস! পুরুষ বঞ্চিত, অবরুদ্ধ, হতাশাগ্রস্ত সৌদির মেয়েগুলো পুরুষের একটু স্পর্শ পেতে গোপনে শরণাপন্ন হয় পুরুষ ডাক্তারের। আশা, ডাক্তাররা ওদের বুকে, পেটে, হাতে পুরুষের আঙুল বোলাবে। তাই ওরা মিথ্যে অসুখের ভান করে ছোটে ডাক্তারের চেম্বারে। টাকা দিয়ে একটু স্পর্শ নিতে যায় পুরুষের কাছে আর যা মেলে না কিছুতেই।
সৌদি মেয়েদের যৌনজীবন দরিদ্র এবং সংরক্ষিত। একেক পুরুষের কয়েকজন নারী। তারা স্বামীর সঙ্গ, সঙ্গম যথেষ্ট পায় না। এই অবস্থায় পবিত্র দেশে বাংলাদেশি ড্রাইভারদের দুরবস্থার একটি কারণ হলো, স্বামীর পর তারা ড্রাইভারকেই বেশি দেখে। দেখার সুযোগও পায়। সেক্ষেত্রে গোপনে একটি পুরুষ ড্রাইভারকে প্রতিদিন ৪/৫ জন নারীকে তৃপ্ত করতে হয়।
দল বেঁধে ক্ষুধার্ত মেয়েরা আসে। মালিকের বৌ, মেয়ে, বান্ধবী। না হলে চাকরি থাকবে না। জানালে, মুণ্ড ঘ্যাচাং। আর পালালে যাবে কোথায়। ভগ্ন স্বাস্থ্য, দুর্বল ধাতু, আগা মোটা-গোড়া চিকন হয়ে ওরা ফিরে আসে দেশে। কান মলে দিয়ে বলে আর যাবে না পবিত্র দেশে। অমন জন্তুর মতো ক্ষুধার্ত মেয়ে, আর নয়! প্রতিদিন ৪/৫ জনের ক্ষুধা মেটানো অসম্ভব! তার চেয়ে বরং না খেয়ে দেশে থাকবো। এরকম দুস্থ ড্রাইভারের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কথায় আছে, প্রায় প্রতিটি সৌদি গৃহই একেকটি ছোটখাট পর্নো হাউজ।
ধর্ম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যৌন সঙ্কট
ধর্ম ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছায়ার তলে রয় বিকারগ্রস্ত পুরুষ। ধর্মান্ধ মানুষ। চার্চ, মন্দির, মাদ্রাসায়, বাবা-মায়ের চোখের বাইরে কিশোর-কিশোরীদের যৌন শিক্ষার প্রথম হাতেখড়ি এসব প্রতিষ্ঠানে। সমকামী উভকামিতার শিক্ষাও, এখানেই! শিক্ষক বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের গণ্যমান্য পুরোহিত, যাজক এবং মাদ্রাসার মৌলবী এখানেই ধর্ম শিক্ষার সাথে ওদেরকে হাতেকলমে যৌন শিক্ষা দিতে একটুও ভুল করে না।
বাড়িতে প্রাইভেট পড়াতে আসা ধর্ম, নাচ, গান বা পড়ার শিক্ষক, পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে মেয়েদের প্যান্টের ফুটোয় আঙুল পেন্সিল ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকে এবং সুযোগ পেলেই ঢুকিয়ে দেয় ওদের পুরুষাঙ্গ। বাবা-মা জানেন, সন্তানেরা পড়ছে। সন্তানেরা ভয়ে, ওসব কথা কাউকে বলে না। কারণ ওরা মাস্টার। ওদের কথাই চূড়ান্ত। তাছাড়া বাবার বয়সী, ভাইয়ের বয়সী, কাকার বয়সী শিক্ষকদের কথা অবিশ্বাস করবে! এমন সাধ্য কার?
বুদ্ধিজীবী লেখক, শিল্পীদের কথা
এরা অধিকাংশই কেন সেক্যুয়াল পারভার্ট হয়? অধিকাংশই হয় স্বেচ্ছাচারী। তার কারণ বিবিধ। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য যা তা হলো, জানি না আমার মতো সবাই অনুধাবন করেন কিনা যে, আমাদের অসাধারণ লোকদের দাম্পত্য জীবন হয়, অত্যন্ত বা মাঝারি, সাধারণ লিঙ্গের মানুষের সঙ্গে। যেমন একজন নামিদামি লেখকের স্ত্রী, কখনো কখনো একেবারেই–গো-মূর্খ। দেখা গেছে লেখকের স্ত্রী, স্বামীর সাথে লেখা নিয়ে একটি কথাও বলতে পারে না। এক কলম আলোচনাও করতে পারে না। তার জন্যে একটি বই খুঁজে একটি রেফারেন্স বের করে দিতে জানে না। কারণ সে নিজেই লেখাপড়া জানে না। ইংরেজিতো নয়ই। এমতাবস্থায়, শরীরের আকর্ষণ ক’দিনের? মন না বসলে, প্রেম হবে কি করে? প্রেম ছাড়া কি শরীর জাগে? লান্টু মার্কা চকচকে চেহারা, আর গোলাপি চামড়ার আকর্ষণ ক’দিন? সারল্য ক’দিন? নিষ্পাপ ক’দিন? সারল্যের তলে নির্বুদ্ধিতা এবং পাপহীনতা কি একদিন–বোঝা হয়ে উঠবে না যখন তাকে আর শরীরের জন্যেও ইচ্ছে করবে না! ঘরে না থাকলে বাইরে তো যাবেই। একজন নয়, রাস্তায় এক পা পড়লে, দেখা হবে বহুজনের সঙ্গে। আকর্ষণ হবে যৌন অত্যাচার, বিকার।
সমমনা স্ত্রী ডিঙিয়ে বেশ্যালয়ে যাবে এমন সাহসী পুরুষ কম। বা প্রয়োজনও হয়। সমমনা দু’জনের বেলাতেই তা সত্যি। শরীরের আকর্ষণ শেষ হতে পারে। কিন্তু সুন্দর মনের সঙ্গে জ্ঞানের সমুদ্র যখন এক হয়, তখন তার বিকল্প কিছুই থাকে না। কেন যে বুদ্ধিমানদের দাম্পত্য হয়, বুদ্ধিহীনদের সঙ্গে, যারা দৌড়ে কুলোতে না পেরে হোঁচট খেয়ে পড়ে পড়ে যায়, আমার বোধগম্য নয়। আমার দুঃখ হয়, ঘরে ঘরে অসুখী লেখক, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, শিল্পী নারী-পুরুষের পাহাড় দেখে। এবং তাদের দাম্পত্য জীবন যা, অত্যন্ত নিম্নমানের, রুচি এবং বোধের। শুধু শরীর নয়, দাম্পত্য চায় আরো অনেক কিছু। চায় মনের গভীরে, সমানে সমানে যেতে। দেখা গ্যাছে এদের অসুখী দাম্পত্য জীবনের সমাপ্তি ঘটে বিচ্ছেদ-পরকীয়া-বেশ্যালয় থেকে বিকারে। যেখানে গেলে তারা উজ্জীবিত হয়। প্রাণ পায়। সুন্দর হয়।