১০২ বিগত বিএনপি জামাত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার জঙ্গিবাদের সেই ‘সুবর্ণ সময়গুলোতে ফরহাদ মজহার আর বদরুদ্দিন উমরেরা প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। সেপ্টেম্বর ৯, ২০০৫ তারিখে আমাদের সময’ পত্রিকার একটি খবরে প্রকাশিত হয় যে, ফরহাদ মজহার সাহেব প্রেসক্লাবে একটি আলোচনা সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন এই বলে- ১৭ই আগস্টের জেএমবি’র বোমাহামলাকারীদের যদি সন্ত্রাসী বলা হয়, তবে নাকি ৭১ এর মুক্তিযোদ্ধারাও সন্ত্রাসী। শুধু তাই নয়, ‘বোমাবাজি সন্ত্রাস-জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই সমাবেশটিতে সোচ্চারে ঘোষণা করেছেন বোমাবাজদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড যদি ‘অবৈধ’ হয় তবে নাকি ৫২, ৬৬, ৬৯, ৭১ এর সকল আন্দোলনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। মজহার সাহেব। জিহাদ ও শ্রেণী সংগ্রামকে এক করে দেখেন, আর মার্ক্সীয় তত্ব আউরে সেটাকে সময় সময় বৈধতা দিতে চেষ্টা করেন। এই প্রেসক্লাবের আলোচনা সভাতে মজহার সাহেব পরিষ্কার করেই বলেছেন, ১৭ই আগস্টের হামলাকারীরা নাকি তাদের মতো করে সমাজটাকে বদলাতে চায়। এতে নাকি দোষের কিছু নেই। প্রসঙ্গত, বিন লাদেনের প্রতি মজহার সাহেব একটা সময় এতই গুণমুগ্ধ ছিলেন যে, তিনি ‘চিন্তা’ নামক একটা পত্রিকায় ‘ক্রুসেড, জেহাদ ও শ্রেণীসংগ্রাম’ নামের প্রবন্ধের (ডিসেম্বর, ২০০১) সমাপ্তি টেনেছেন করাচির ‘উম্মত’ নামক পত্রিকায় লাদেনের সাক্ষাৎকার থেকে উদ্ধৃতি দিযেচে গুয়েভারা, লেলিন, স্ট্যালিনের মতো বিন-লাদেনকেও একই কাতারে ফেলে পুঁজিবাদী শোষণের বিরুদ্ধে ‘বিপ্লবী কমরেড’ বানিয়ে ছেড়েছিলেন লাদেনকে! প্রগতিশীল’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ মজহার বিশ্বাস করতেন না ৯/১১ এর বিধ্বংসী ঘটনায় লাদেন জড়িত থাকতে পারে। কারণ তার ধারণা হয়েছিল, ‘মুসলমান হিসেবে তিনি মিথ্যা কথা বলেন না। ফরহাদ মজহারকে নিয়ে অভিজিৎ রায়ের একটি লেখা ‘ফরহাদ মজহারের বিভ্রান্তি’ শিরোনামে দৈনিক ভোরের কাগজে ছাপা হয়েছিল। প্রবন্ধটি মুক্তমনা ওয়েবসাইটেও রাখা আছে।
১০৩ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা, বৃহস্পতিবার, ০৮ এপ্রিল ২০১০, নিউজ বাংলা)
১০৪ মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে পড়ুন The Clash of Fundamentalisms: Crusades, Jihads and Modernity, by Tariq Ali, Verso; Pbk edition (April, 2003); Rogue State: A Guide to the World’s Only Superpower by William Blum, Common Courage Press (May, 2000); ইত্যাদি।
১০৫ Ibn Ishaq, The Life of Muhammad, trs. A Guillaume, Oxford University Press, Karachi, 2004 imprint, p545
১০৬ Tabari, Abu Ja’far Muhammad b. Jarir, “The Victory of Islam’, vol viii, pp.35-36
১০৭ K. Armstrong Muhammad: A Western Attempt to Understand Islam, Gollanz, 1991, London, p. 207.
১০৮ আকাশ মালিক, যে সত্য বলা হয়নি, মুক্তমনা ইবুক।
১০৯ Noam Chomsky, 9-11, Open Media/Seven Stories Press; 2001
১১০ Fareed Zakaria, The Future of Freedom: Illiberal Democracy at Home and Abroad, W. W. Norton & Company; Revised Edition edition, 2007
১১১ Sam Harris, The End of Faith: Religion, Terror, and the Future of Reason, W. W. Norton, 2005
১১২ কোরআন শরীফ (বঙ্গানুবাদ) পূর্বোক্ত।
১১৩ কোরআন শরীফ (বঙ্গানুবাদ) পূর্বোক্ত।
১১৪ কোরআন শরীফ (বঙ্গানুবাদ) পূর্বোক্ত।
১১৫ Terrorist and Insurgent Organizations, Air University Library Publications.
১১৬ সাদ কামালী এবং অভিজিৎ রায় (সম্পাদনা), স্বতন্ত্র ভাবনা, চারদিক, ২০০৮
১১৭ বাল্মীকি রামায়ন, হেমচন্দ্র অনুদিত, রিফেকট পাবলিকেশন, কলিকাতা ১৯৮৪, পৃঃ ১০৬৭-৭১
১১৮ মহাকাব্যগুলোতে মনুর প্রভাব বিষয়ে আলোচনার জন্য দেখুনঃ মহাকাব্য ও মৌলবাদ, জয়ন্তানুজ বন্দোপাধ্যায়, এলাইড পাবলিশার্স লিমিটেড, কলিকাতা। এবং_Laws of Manu, translated with extracts from seven commentaries by G. Buhler, ed. F. Max Muller, Clarendon Press, Oxford, 1886.
১১৯ সুকুমারী ভট্টাচার্য, হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা, দীপ প্রকাশন, ২০০০।
১২০ মহাকাব্য ও মৌলবাদ, জয়ন্তানুজ বন্দোপাধ্যায়, এলাইড পাবলিশার্স লিমিটেড, কলিকাতা।
১২১ পবিত্র বাইবেল, পুরতন ও নূতন নিয়ম, বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি, ঢাকা, ২০০০
১২২ The Dark Bible, Compiled by Jim Walker, http://www.nobeliefs.com/DarkBible/DarkBibleContents.htm
১২৩ পবিত্র বাইবেল, পূর্বোক্ত
১২৪ পবিত্র বাইবেল, পূর্বোক্ত
১২৫ ভাস্বতী চক্রবর্তী, সতী: একের আনলে বহুরে আহুতি, দেশ ৪ জানুয়ারি, ২০০৩
১২৬ সত্যি কথা বলতে কি আমরা নতুন দিনের নাস্তিকেরা আসলে বিন-লাদেন, মুফতি হান্নান, বাংলা ভাই, মোল্লা ওমর, খোমেনি বা মৌলানা মান্নানের মতো লোকদের তেমন একটা দোষ দেই না; অন্ততঃ তারা কথায় আর কাজে এক। আল্লাহ কোরআনে যেভাবে বলেছেন, ঠিক সেভাবেই কোরআনের আদর্শকে সামনে রেখে তারা কাজ করে চলেছেন। আমরা আসলে দোষ দেই ‘শিক্ষিত এবং “মডারেট’ তকমাধারী ধার্মিকদের যারা কোরআনের মধ্যে সহিষ্ণুতা খুঁজে পান আর চারিদিকে এত অশান্তি দেখেও ‘ইসলাম শান্তির ধর্ম বলতে বলতে চুপ হয়ে যান। ঠিক একই ব্যাপার সংখ্যাগরিষ্ট হিন্দুদের জন্যও খাটে। যারা রামের শাসনামলে শূদ্র তাপস, শম্বুক কিংবা রামপত্নী সীতার কি করুণ অবস্থা হয়েছিল তা না জেনেই ‘রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন, অথবা বেদ, গীতা, উপনিষদ, মনুসংহিতায় কি আছে তা না জেনেই হিন্দু ধর্মকে সহিষ্ণুতম ধর্ম হিসেবে আখ্যা দিয়ে বসেন, আর মারামারি, হানাহানি আর সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টির জন্য দায়ী করেন কেবল গুটিকয় আদভানী আর লালু প্রসাদকে।