যাক—আমার যা বলবার ছিল বললাম। এবার আপনি কি করবেন না করবেন নিজেই ভেবে দেখবেন—তবে জানবেন—ভোর হওয়ার আগেই হয়ত পুলিস আপনার ওখানে হানা দেবে, কারণ আমি তো আগেই বলেছি-আপনাকে লেখা এই চিঠির আরো দুটো কপি একটি সুশীল নন্দীকে ও অন্যটি পুলিস কমিশনারকে একই সঙ্গে পাঠালাম।
আমার কাজ শেষ।
আপনাদের কিরীটী রায়।
তখনো ভাল করে প্রথম ভোরের আলো ফুটে ওঠেনি—শেষ রাতের আকাশে তখনও চাঁদের আলোর খানিকটা আভাস লেগে আছে।
পর পর দুখানা পুলিসের জীপ সেই বিরাট বাড়িটার সামনে এসে দাঁড়াল।
বাড়ির লোকজনদের জাগিয়ে পুলিস অফিসারদের ভিতরে ঢুকতে কিছুটা সময় লাগলো। বাড়ির লোক সকলে স্তম্ভিত বিমূঢ়।
দোতলার একটা ঘর বাড়ির লোকেরা অফিসারদের দেখিয়ে দিল দরজাটা বন্ধ ছিল—
ধাক্কা দেওয়া সত্ত্বেও যখন ভিতর থেকে কেউ খুললো না—দরজা ভেঙে ফেলল। এবং ঘরে পা দিয়েই ওরা থমকে দাঁড়াল।
মানুষটি বসে আছে চেয়ারে—হাতে ধরা তার কিরীটীর চিঠির শেষ পৃষ্ঠাটা ও বাকী দুটো পায়ের কাছে পড়ে আছে।
বিদ্যুৎবাবু—আমরা থানা থেকে আসছি!
কেমন যেন শূন্য বোবা দৃষ্টিতে বিদ্যুৎ তাকাল অফিসারের মুখের দিকে।