বিলাসবন্ধু। অনুতপ্তা পতিতাদের সত্বর কোন উপায় না করলে সমাজ ক্রমেই দুর্বল হয়ে আসবে না কি?
খুড়ো। সে দুর্ভাবনায় মগজ মাটি কোরোনা বাবাজি। জমা খরচ ঠিক রাখবার উপায় জবর জবর জোয়ানেরা ইতিমধ্যেই আরম্ভ করে দিয়েছেন। কাজ খালি থাকে কি বাবাজি, বেণী মরবার আগেই ফণি হরির-লুট মানো একদিক ভাঙ্গে অন্যদিক গড়ে, রামের টাকা বিধুর সিন্ধুকে ঢ়োকে,—তফাৎ এই। যেমন reclaim (পুনর্জন) কল্পে পতিতা ‘প্রোপেগেণ্ডার’ করুণ রস সহৃদয়দের বিবশ করছে, অন্যদিকে সদাশয়েরা অন্তঃপুরের ভদ্র মহিলাদের প্রাণে বীর-রসের আমদানীও করচেন, balance ঠিক থাকবে বাবাজি, ভেবনা। উভয়েরি উদ্দেশ্য সাধু সিদ্ধি সম্বন্ধে আমি অভয় দিচ্ছি,—পুজোর বাজারে হাজার কাপি কেটেই যাবো
এই সময় টং করে একটা বাজলো! খুড়ো চমকে বলে উঠলেন—“ইস তোমরা আজ করলে কি! বাড়ীতে ত’ উপন্যাস নয়—সে যে জ্যান্তো জিনিস!”
সতীপতি বললে—“তাতে কি হয়েছে!” খুড়ো কাছাটা ফিট করতে করতে বললেন—“এমন কিছু না, তবে আমারও সেই দুর্বোধভাষায় দুটো মোন্তোর-পড়া জিনিস কি না, তার ওপর চারদিকেই বীরবাতাস বইছে! শোবার ঘরের জানলার আবার একখানা কপাট ভাঙ্গা, কখন একটু ফস করে লেগে কি সর্বনাশ করে দেবে, তাই ভয় হয় বাবাজি!”
পরে চটি পায়ে দিতে দিতে বিলাসবন্ধুকে বললেন—“দেখো বাবা জামাই,—এখন ঘর ঘরকরনা সবই তোমাদের হাতে”—বলেই দুর্গা দুর্গা বলতে বলতে খদ্দরের চাদরখানা বগলে গুঁজে বেরিয়ে পড়লেন।
সেদিনকার সনডে-সভা ভঙ্গ হল।