রবীন্দ্ৰনাথ থেকে ধার করা যাক কয়েকটি লাইন :
সৃষ্টির সেই প্রথম পরম বাণী : ‘মাতা, দ্বার খোলো!’
দ্বার খুলে গেল।
মা বসে আছেন তৃণশয্যায়, কোলে তাঁর শিশু।
উষার কোলে যেন শুকতারা।
দ্বারপ্রান্তে প্রতীক্ষাপরায়ণ সূর্যরশ্মি শিশুর মাথায় এসে পড়ল।
কবি দিল আপনি বীণার তারে ঝংকার, গান উঠল আকাশে
‘জয় হোক মানুষের ওই নবজাতকের, ওই চিরজীবিতের!’
বিশ্বাসযোগ্য মানুষ, বিশ্বাসযোগ্য পিতা মাতার বড়ই অভাব। একালে সবাই কমরেড। কণ্ঠে কণ্ঠে লড়াইয়ের রণদামামা।
অতীত বিসর্জনের বাজনা বাজিয়ে চলে গেল। পড়ে রইল। খড়ের পুতুল। পদ্মপুকুরে আবর্জনা। ভরাট করে বাসা বাঁধবে তৎক্ষণিকের দল! যৌথ জীবনসাধনায় স্বার্থের দানব। পরিবার ছেড়া কাপড়ের ফালি। প্রোমেটারের মেশিন কর্কশ শব্দে অশান্তির মসলা মাখিছে।
বহুতলের খুপরিতে খুপরিতে মানুষ চড়াইয়ের বাসা। দিবস রজনী অবিরল কিচির মিচির। সুখে আছ ভাইসব? উত্তরে শব্দ নেই, গলকম্বল ঠেলে উঠল। মুখের হাসিতে বোধের নির্বোধ ভাঁজ।