সুজনবাবু হিংস্র গলায় বললেন, বীরত্ব দেখাচ্ছো! বীরত্ব! দাঁড়াও বীরত্ব বের করছি।
সুজনবাবু পিস্তলটা গিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে ফিরে দাঁড়াতেই তিনটে আবছা মূর্তি হামাগুড়ি দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ল। সুজনবাবু পিস্তলটা তুলবার সময় পেলেন না। তার আগেই তাঁকে কোমর ধরে পেড়ে ফেলল জগা। নিতাই পালকে পাকড়াল রামু আর পাগলু।
.
আধঘণ্টা বাদে ঘরের মধ্যে জড়ো হলেন পরঞ্জয়, পবন এবং মহেন্দ্র। শূলপাণির বাঁধন খুলে সুজন আর নিতাইকে বাঁধা হয়েছে।
সাতকড়ি একখানা আসত কাঁচ দিয়ে মহেন্দ্রর পয়সা আর কড়িগুলো দেখছিলেন। তারপর বললেন, সব ঠিকই আছে বাবা, তোমার প্রপিতামহ দীর্ঘজীবী ছিলেন, রসিকও ছিলেন। আমাকে বেশ কিছু টাকা দিয়ে বলেছিলেন, ব্যবসায় খাটাতে। আর বলেছিলেন যদি তাঁর নাতি বা তস্যপুত্র কেউ সংকেত ভেদ করে দাবি করে তাহলেই এই টাকা শোধ দিতে হবে। নইলে নয়। তা আমার বাপু টাকা-পয়সার তেমন দরকার নেই। ভোগই বা করবে কে বলো! যক্ষের মতো লাখো লাখো টাকা আগলে আছি বলেই বোধহয় প্রাণটাও বেরোচ্ছে না। তুমি আমাকে এবার ভারমুক্ত করো।
সিন্দুক খুলে টাকার বান্ডিল বের করতে করতে সাতকড়িবাবু বললেন, তা সুদে আসলে বড় কমও হয়নি। ধরো প্রায় সাত লক্ষ টাকা।
সুজন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
ভোর হচ্ছিল,জানালা দিয়ে একটুকরো তেরছা লাল রোদ এসে দেয়ালে পড়ল।