বাঞ্ছারাম তাঁর জাদু চেয়ারে বসে একটা স্বস্তির শ্বাস ছেড়ে সেই দশ-বারো বছর আগেকার মতো হাঁক দিলেন, “রঘু! রসগোল্লা।”
হ্যাঁ, তখনো তাঁর মিষ্টি খাওয়া বারণ ছিল। কিন্তু গভীর রাতে রঘু তাঁকে রসগোল্লা সাপ্লাই করত।
হাঁক দিতে না দিতেই রঘু মস্ত টেবিলের তলা থেকে বিরক্ত মুখে বেরিয়ে এসে আলমারি খুলে দশ বারো বছর আগেকার মতোই এক ভাঁড় রসগোল্লা বের করে দিল। তারপর বলল,
“রসগোল্লা আবার একটা খাবার! জিনিস হল চাপড়ঘন্ট।”
“তোকে বলেছে!” গম্ভীর স্বরে ধমকে ওঠেন বাঞ্ছারাম।
রঘু সমান তেজে বলে, “খাচ্ছেন খান, কিন্তু ছিবড়ে ফেলবেন। আমার মেজো পিসেমশাইও রসগোল্লার ছিবড়ে ফেলতেন।”
বাঞ্ছারাম অনেকদিন পর খুব হোঃ হোঃ করে হাসলেন।
Page 23 of 23