ঝিকু-সদার তার সাদা ঘোড়াটা স্কুলেই নিয়ে এল। বলল, “এটা চড়েই আজ বাড়ি ফিরবে। এটা তোমাকে উপহার দিলুম।”
ঝুমরি বিকেলবেলায় আজ এত বড় একটা ছাতুর তাল মেখে আনল যে, বেড়াল ডিঙোতে পারে না। আর বলল, “রাতে তোমার জন্য ভোজবাড়ির রান্না হচ্ছে। বন্ধুদের ডাকো আজ নেমন্তন্নে। সবাইকে খাওয়াব।”
তা রাতে নেমন্তন্নে হুল্লোড় হল মন্দ নয়। শুধু পেটপুরে খেয়ে বিদায় নেওয়ার সময় পটল দাস একটু খিঁচিয়ে উঠে বলল, “এ-ছেলেটা লেখাপড়ায় ভাল হয়ে গোল্লায় গেল। বলি সেইসব কায়দাকানুন, বায়ুবন্ধন, প্যাঁচপয়জার শিখবে না?”
“শিখব পটলদা। তোমাকেও পড়াশুনো শেখাব।”
তার রেজাল্টের কথা জেনে বাবা খুশি হয়ে লিখলেন, “এবার তা হলে তোমাকে পুরনো স্কুলেই ফিরিয়ে আনব। আর কষ্ট করে মোতিগঞ্জে থাকতে হবে না।”
হরিবন্ধু তৎক্ষণাৎ জবাব লিখল, “পাশ না করে আমি মোতিগঞ্জ ছেড়ে কোথাও যাব না।”