কম্পাউন্ড পেরিয়ে, গেট পেরিয়ে বাইরের রাস্তায় পড়ে পাপাডোপুলসকে প্রশ্ন করলাম, ব্যাপারটা কী? জানালা টপকে তো কানিশে নামলে, তারপর?
পাপাডোপুলস তার হাতের অস্ত্ৰটি মোটরচালকের দিক থেকে না নামিয়েই বলল, অত্যন্ত সহজ। কার্নিশে নেমে সোজা গিয়ে হাজির হলাম চিড়িয়াখানার ঘরের বাইরে। তারপর পাথরের খাঁজে হাত আর পা গুজে স্কাইলাইট পৌঁছাতে আর কতক্ষণ?
তারপর? আমি আর সামারভিল সমস্বরে প্রশ্ন করলাম।
তারপর আর কী-সঙ্গে শিশি ছিল। ছিপি খুলে স্কাইলাইটের মধ্যে দিয়ে হাত ঢুকিয়ে এইচ. মাইনাসের গুড়ো ছড়িয়ে দিলাম।
আমরা দুজনেই অবাক। বললাম, তোমার সঙ্গে শিশি ছিল কী রকম? কাল তো ওডিন সেটাকে পকেটে পুরল।
পাপাড়োপুলসের ঘন কালো গোঁফের নীচে দু পাটি সাদা দাঁত দেখা দিল।
এথেনসের রাজপথে এক বছরে অন্তত এক হাজার লোকের পকেট মেরেছি। ছেলেবেলায়, আর একটা অন্ধকার করিডরে একটা রোবটের পকেট মারতে পারব না?
এই বলে সে তার বাঁ হাতটি আমাদের দিকে তুলে ধরল।
অবাক হয়ে দেখলাম, সেই হাতে একটা বিশাল হিরের আংটি সাতরঙের ছটা বিকীর্ণ করে আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে।
মরা মানুষের হাতের আংটি খুলে নেওয়ার মতো সহজ কাজ আর নেই। বলল নিকোলা পাপাডোপুলস।
সন্দেশ। বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ় ১৩৮৩