9915 1974 TIP epock 691 e 626€ 69160 ans east, c 6216 clubs; East-49 হাতে পাঁচটা Clubs থাকতে পারে; ধরুন সেগুলো J, 8, 4, 3, 2; J আর 3 কে বাদ দেওয়া গেল, কেন না তাদের জায়গায় e আর c-কে আমরা আগেই কাজে লাগিয়েছি। পড়ে রইল তাহলে 842; মিঃ পেনটিলি এই হল গিয়ে আপনার সাংকেতিক অঙ্ক।
সবিস্ময়ে চেয়ে রইলেন পেনটিলি।
বললেন–মশায়, স্বীকার করছি, এভাবে ভাবিনি কখনও। ডেরায় ফিরেই ব্রিজ নিয়ে বসতে হবে দেখছি। আশ্চর্য! এক্কেবারে নতুন ধরনের একটা সম্ভাবনা।
ঈষৎ রক্তিম মুখে বললেন অ্যাভালন–স্বল্পবুদ্ধিতে যেটুকু কুলিয়েছে, তা-ই বললাম।
তবে কি জানেন, বললেন পেনটিলি–আপনার এই ধারণা খুব যে একটা কাজে লাগবে, তা মনে হয় না। স্টিপান ব্রিজভক্ত ছিলেন না বলেই জানি। তাছাড়া মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একমাত্র বাতুল ছাড়া কেউ ব্রিজের সাহায্য নিয়ে গুপ্ত সংবাদ কৌশলে পাচার করানোর চেষ্টা করবে বলেও মনে হয় না। কৌশল যাই হোক না কেন–তাকে হতে হবে অতিশয় সহজ, সরল। পৃষ্ঠা সঙ্কেত দিলেই ল্যাটা চুকে যেত কিন্তু তিনি মেলে ধরেছেন স্পোর্টস পৃষ্ঠার পুরো পাতাটাই। তাতেও সন্তুষ্ট হয়ে স্ক্র্যাবল সেট থেকে বের করেছেন বড়-বড় হরফ। এর চাইতে সহজ আর কী হতে পারে।
হেনরীর মাথায় সমাধান এসেছে নাকি? বললেন গোনজালো।
যেন লাফিয়ে উঠলেন পেনটিলি–ঘুরেফিরে শেষকালে হেনরীর কাছেই যেতে হল! কী গো হেনরি, হেঁয়ালির মারপ্যাঁচে মাথা ঠান্ডা আছে তো?
কথার ঝড়ে ঘরের মধ্যে যখন তুলকালাম কাণ্ড চলছে, হেনরী তখন ঠায় দাঁড়িয়েছিল সাইডবোর্ডের পাশে শিষ্ট বালকের মতো। এবার বললে–এইটুকু মাথায় কিছু ঢুকলে তো! ২০ সংখ্যাটির কোনও তাৎপর্য আছে কিনা–
কথা আর শেষ করতে পারেনি হেনরী। আচমকা দুই ভুরু পাকিয়ে কটমট করে তার দিকে চেয়েছেন পেনটিলি।
বলছেন কুড়ি! আন্দাজে ঢিল ছুঁড়লে নাকি?
মোটেই না, স্যার। তাৎপর্যটা তাহলে আছে?
তাৎপর্য! মুখ কালো করে বছরের পর বছর শুধু ভেবেই গেছি নিশ্চয় কুড়ি সংখ্যাটা জানাতে চেয়েছিল স্টিপান। সাংকেতিক শব্দের বই অনুসারে, কুড়ি মানে–সরকারের কড়া নিয়ন্ত্রণে সব কিছুই। এতক্ষণ তো অনেক বকলাম–20 সংখ্যাটা নিশ্চয় ভুলেও বলিনি?
সমস্বরে সবাই জানালেন–না, পেনটিলির মুখ দিয়ে এ সংখ্যার আভাসটুকুও বেরোয়নি। পেনটিলি বললেন–যদি প্রমাণ করতে পারতাম, 20 সংখ্যা দিয়ে স্টিপান আমাদের হুঁশিয়ার করতে চেয়েছেন–তাহলে অন্ততঃ শূকর উপসাগরের বিপর্যয় রোধ করতেও পারতাম। চেষ্টাটা অন্তত করতাম। কিন্তু…কিন্তু…হেনরী কী করে চট করে এসে গেল 20-তে?
আমার অজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে, সবিনয়ে জানাল হেনরী–আপনি তো বললেন, বেসবলের মোটামুটি খবর রাখত স্টিপান–আমিও রাখি মোটামুটি খবর। সেই জন্যেই দেখি বক্সের মধ্যে স্কোরগুলো। খেলার ফল কী হল–তাই জানলেই চলে যায় আমার মতো উজবুক লোকের স্কোর মানেই তো কুড়ি।
হারতে রাজি নন অ্যাভালন–তা কী করে হয়, হেনরী। স্কোর তো সেকেলে শব্দ। স্টিপান সেকেলে ইংরেজিতে মা-গঙ্গা ছিল বললেই চলে।
মিঃ পেনটিলি কিন্তু বলেছেন, আমেরিকান ইতিহাস গোগ্রাসে গিলত স্টিপান। ইতিহাসের একটা কথা তো প্রবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে, ফোর স্কোর অ্যান্ড সেভেন ইয়ার্স এগো…
ঈষৎ মুষড়ে পড়ে পেনটিলি বললেন–তবুও বলব খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না—
বিশ্বাসযোগ্য হতেই হবে মিঃ পেনটিলি। স্ক্র্যাবল হরফগুলোর মানেও তো কুড়ি।
কীভাবে?
মিঃ গোনজালো যখন Blain শব্দটা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, পরিষ্কার জিগ্যেস করেছিলেন, শব্দটা ইংরেজি কিনা। Epock শব্দটাকেও যে ইংরেজি হতেই হবে–এমন কথাও কি কেউ বলেছিলেন?–বলেননি।
সহর্ষে বললেন গোনজালো–Epock কি তাহলে রাশিয়ান শব্দ? যার মানে কুড়ি?
জবাবটা দিলেন পেনটিলি–না। Kopec/Kopek সম্ভাবনার কথা আগেই বলেছি কিন্তু তার সঙ্গে কুড়ি-র কোনও সম্পর্ক নেই।
রাশিয়ান শব্দের কথা আমি ভাবিনি, বললে হেনরী–আপনিই তো বললেন, মরবার সময়েও মানুষ তার অভ্যেস ছাড়তে পারে না। মিঃ স্টিপানও অভ্যেসের বশে নিশ্চয় রাশিয়ান হরফ তুলে নিয়েছিল।
Cyrillic অ্যালফাবেট, বললেন রুবিন।
ইয়েস স্যার। USSR-কে রাশিয়ান হরফে দেখেছি এইভাবে–CCCP; আঁচ করেছিলাম রাশিয়ান C আমাদের S-এর সমান, আর রাশিয়ান P আমাদের R-এর সমান।
হতভম্ব মুখে বললেন পেনটিলি–ঠিক! ঠিক! ঠিক! ঠিক!
রাশিয়ান k যদি আমাদের–এর সমান হয়, তাহলে epock শব্দটা হয়ে যাচ্ছে erosc; ঘুরিয়েফিরিয়ে সাজালেই পাচ্ছি Score।
আবার ভয়ানক মুষড়ে পড়েন পেনটিলি–হেনরী! হেনরী! একথা তুমি ১৯৬০ সালে কেন বললে না আমাকে?
জানলে তো বলব, হেনরীর মুচকি জবাব।
(আইজাক আসিমভের স্পোর্টস পেজ অনুসরণে)
*ফ্যানট্যাসটিক পত্রিকায় প্রকাশিত। শারদীয় সংখ্যা।
হীরক বন্দরের হিরের কলম
সিনথিয়া উল্কাবেগে ঘরে ঢুকে বললে, আপনিই তো ইন্দ্রনাথ রুদ্র? একটু আগে আপনিই তো টেলিফোন ধরেছিলেন? হাঁ করে তাকিয়ে দেখছেন কী?
দেখছি স্টার অ্যাকট্রেস-কে। হ্যাঁ, আমিই ফোন ধরেছিলাম। আপনার কলম চুরি গেছে– আমাকে উদ্ধার করে দিতে হবে, এই তো? আমার সময় নেই।
ইন্দ্রনাথের গা-ঘেঁষে সোফায় বসে পড়ল বিখ্যাত চিত্রতারকা সিনথিয়া। নামটা ইংরেজি হলেও মেয়েটা খাঁটি বাঙালি। চেহারায়, পোশাকে, কথায়।