পরহিতার্থে দধীচির আত্মত্যাগের গল্প বলতে বলতে স্বামী অখণ্ডানন্দ একবার স্বামীজির কথা টেনে এনেছিলেন। “কাজের জন্যই স্বামীজি এসে মঠ মিশন করে গেলেন, তা যদি না হবে তো যাবার দিনেও স্বামীজি এত কাজ করে গেলেন কেন? অনেকদিন থেকেই চিঠিতে লিখেছেন, ‘মা আমায় ডাকছেন, আমার কাজ ফুরিয়ে এসেছে’। কিন্তু কই, হাত পা গুটিয়ে তো বসে রইলেন না। বহুমূত্র অসুখ, পরিশ্রান্ত, কিন্তু সেদিনও দেড় মাইল বেড়িয়ে এলেন, ব্যাকরণের ক্লাশ করলেন, সাধুদের বকলেন কাজ-কর্ম না করার দরুন।…শেষে ধ্যানে বসলেন। যাওয়ার দিনেও যেন কাজের জোয়ার এসেছিল।”
দু’বছর ধরে মৃত্যু উপত্যকার উপর দিয়ে শারীরিক ও মানসিক যাত্রা করে স্বামী বিবেকানন্দ যেন শেষ পর্যন্ত উত্তীর্ণ হলেন। একমাত্র তিনিই লিখতে পারেন “অসীম একাকী আমি, কারণ মুক্ত আমি–ছিলাম মুক্ত, চিরদিন থাকব মুক্ত।…আঃ কি আনন্দ প্রতিদিন তাকে উপলব্ধি করছি! হাঁ, হাঁ, আমি মুক্ত, মুক্ত! আমি একা একা অদ্বিতীয়…হাঁ, এখন আমি খাঁটি বিবেকানন্দ হতে চলেছি।”