হারিয়ে পাওয়া
ঠাকুরদাদার চশমা কোথা?
ওরে গন্শা হাবুল ভোঁতা,
দেখ্না হেথা, দেখ্না হোথা- খোঁজ্ না নিচে গিয়ে।
কই কই কই? কোথায় গেলে?
টেবিল টানো ডেস্কো ঠেল,
ঘরদোর সব উল্টে ফেলে – খোঁচাও লাঠি দিয়ে।
খুজছে মিছে কুজোর পিছে,
জুতোর ফাঁকে, খাটের নিচে,
কেউ বা জোরে পর্দা খিচে – বিছানা দেখে ঝেড়ে-
লাফিয়ে ঘুরে হাফিয়ে ঘেমে
ক্লান্ত সবে পড়ল থেমে,
ঠাকুরদাদা আপনি নেমে আসেন তেড়েমেড়ে।
বলেন রেগে, “চশমাটা কি
ঠ্যাং গজিয়ে ভাগ্ল নাকি
খোঁজার নামে কেবল ফাঁকি – দেখছি আমি এসে!”
যেমন বলা দারুন রোষে
কপাল থেকে অম্নি খসে
চশমা পড়ে তক্তপোশে – সবাই ওঠে হেসে!
হিংসুটিদের গান
আমরা ভালো লক্ষী সবাই, তোমরা ভারি বিশ্রী,
তোমরা খাবে নিমের পাচন, আমরা খাব মিশ্রী।
আমরা পাব খেলনা পুতুল ,আমরা পাব চম্চম্,
তোমরা ত তা পাচ্ছ না কেউ, পেলে ও পাবে কম কম
আমরা শোব খাট পালঙে মায়ের কাছে ঘেঁষ্টে,
তোমরা শোবে অন্ধকারে একলা ভয়ে ভেস্তে।
আমরা যাব জাম্তাড়াতে চড়ব কেমন ট্রেইনে,
চেঁচাও যদি “সঙ্গে নে যাও” বল্ব “কলা এইনে”!
আমরা ফিরি বুক ফুলিয়ে রঙিন্ জুতোয় মচ্মচ্,
তোমরা হাঁদা নোংরা ছিছি হ্যাংলা নাকে ফচ্ফচ্।
আমরা পরি রেশ্মি জরি, আমরা পরি গয়না,
তোমরা সেসব পাও না ব’লে তাও তোমাদের সয় না।
আমরা হব লাট মেজাজী, তোমরা হবে কিপ্টে,
চাইবে যদি কিচ্ছু তখন ধরব গলা চিপ্টে।
হিতে-বিপরীত
ওরে ছাগল, বল্ত আগে
সুড় সুড়িটা কেমন লাগে?
কই গেল তোর জারিজুরি
লম্ফঝম্ফ বাহাদুরি।
নিত্যি যে তুই আসতি তেড়ে
শিং নেড়ে আর দাড়ি নেড়ে,
ওরে ছাগল করবি রে কি?
গুঁতোবি তো আয়না দেখি।
হাঁ হাঁ হাঁ, এ কেমন কথা ?
এমন ধারা অভদ্রতা!
শান্ত যারা ইতরপ্রাণী,
তাদের পরে চোখরাঙানি!
ঠান্ডা মেজাজ কয় না কিছু,
লাগতে গেছে তারই পিছু?
শিক্ষার তোদের এম্নিতর
ছি-ছি-ছি! লজ্জা বড়।
ছাগল ভাবে সামনে একি!
একটুখানি গুতিয়ে দেখি।
গুতোর চোটে ধড়াধ্বড়
হুড়মুড়িয়ে ধুলোয় পড়।
তবে রে পাজি লক্ষ্মীছাড়া,
আমার পরেই বিদ্যেঝড়া,
পাত্রাপাত্র নাই কিরে হুঁশ্
দে দমাদম্ ধুপুস্ ধাপুস্।