সর্দিকে সোজাসুজি সর্দি ব’লেই বুঝি
সর্দিকে সোজাসুজি
সর্দি ব’লেই বুঝি
মেডিকেল বিজ্ঞান না শিখে।
ডাক্তার দেয় শিষ,
টাকা নিয়ে পঁয়ত্রিশ
ভাবনায় গেল ঘুম,
ওষুধের লাগে ধুম,
শঙ্কা লাগালো পারিভাষিকে।
আমি পুরাতন পাপী,
শুনেই কাঁপি,
ডরিনেকো সাদাসিধে ফাঁসিকে।
শূন্য তবিল যবে,
বলে “পাঁচনেই হবে’–
চেতাইল এ ভারতবাসীকে।
নর্স্কে ঠেকিয়ে দূরে
যাই বিক্রমপুরে,
সহায় মিলিল খাঁদুমাসিকে।
স্ত্রীর বোন চায়ে তার
স্ত্রীর বোন চায়ে তার
ভুলে ঢেলেছিল কালি,
“শ্যালী’ ব’লে ভর্ৎসনা
করেছিল বনমালী।
এত বড়ো গালি শুনে
জ্ব’লে মরে মনাগুনে,
আফিম সে খাবে কিনা
সাত মাস ভাবে খালি,
অথবা কি গঙ্গায়
পোড়া দেহ দিবে ডালি।
» স্বপ্ন হঠাৎ উঠল রাতে
স্বপ্ন হঠাৎ উঠল রাতে
প্রাণ পেয়ে,
মৌন হতে
ত্রাণ পেয়ে।
ইন্দ্রলোকের পাগ্লাগারদ
খুলল তারই দ্বার,
পাগল ভুবন দুর্দাড়িয়া
ছুটল চারিধার–
দারুণ ভয়ে মানুষগুলোর
চক্ষে বারিধার,
বাঁচল আপন স্বপন হতে
খাটের তলায় স্থান পেয়ে।
স্বপ্নে দেখি নৌকো আমার
স্বপ্নে দেখি নৌকো আমার
নদীর ঘাটে বাঁধা;
নদী কিম্বা আকাশ সেটা
লাগল মনে ধাঁধাঁ।
এমন সময় হঠাৎ দেখি,
দিক্সীমানায় গেছে ঠেকি
একটুখানি ভেসে-ওঠা
ত্রয়োদশীর চাঁদা।
“নৌকোতে তোর পার করে দে’
এই ব’লে তার কাঁদা।
আমি বলি, “ভাবনা কী তায়,
আকাশপারে নেব মিতায়–
কিন্তু আমি ঘুমিয়ে আছি
এই যে বিষম বাধা,
দেখছ আমার চতুর্দিকটা
স্বপ্নজালে ফাঁদা।’
হরপণ্ডিত বলে ব্যঞ্জন সন্ধি এ
হরপণ্ডিত বলে, “ব্যঞ্জন সন্ধি এ,
পড়ো দেখি, মনুবাবা, একটুকু মন নিয়ে।’
মনোযোগহন্ত্রীর
বেড়ি আর খন্তির
ঝংকার মনে পড়ে; হেঁসেলের পন্থার
ব্যঞ্জন-চিন্তায় অস্থির মন তার।
থেকে থেকে জল পড়ে চক্ষুর কোণ দিয়ে।
হাজারিবাগের ঝোপে হাজারটা হাই
হাজারিবাগের ঝোপে হাজারটা হাই
তুলেছিল হাজারটা বাঘে,
ময়মন্সিংহের মাসতুত ভাই
গর্জি উঠিল তাই রাগে।
খেঁকশেয়ালের দল শেয়ালদহর
হাঁচি শুনে হেসে মরে অষ্টপ্রহর,
হাতিবাগানের হাতি ছাড়িয়া শহর
ভাগলপুরের দিকে ভাগে–
গিরিডির গিরগিটি মস্ত-বহর
পথ দেখাইয়া চলে আগে।
মহিশূরে মহিষটা খায় অড়হর–
খামকাই তেড়ে গিয়ে লাগে।
হাত দিয়ে পেতে হবে
হাত দিয়ে পেতে হবে কী তাহে আনন্দ–
হাত পেতে পাওয়া যাবে সেটাই পছন্দ।
আপিসেতে খেটে মরা তার চেয়ে ঝুলি ধরা
ঢের ভালো– এ কথায় নাই কোনো সন্দ।
» হাতে কোনো কাজ নেই
হাতে কোনো কাজ নেই,
নওগাঁর তিনকড়ি
সময় কাটিয়ে দেয়
ঘরে ঘরে ঋণ করি।
ভাঙা খাট কিনেছিল,
ছ পয়সা খরচা–
শোয় না সে হয় পাছে
কুঁড়েমির চর্চা।
বলে, “ঘরে এত ঠাসা
কিঙ্কর কিঙ্করী,
তাই কম খেয়ে খেয়ে
দেহটারে ক্ষীণ করি।’
হাস্যদমনকারী গুরু
হাস্যদমনকারী গুরু–
নাম যে বশীশ্বর,
কোথা থেকে জুটল তাহার
ছাত্র হসীশ্বর।
হাসিটা তার অপর্যাপ্ত,
তরঙ্গে তার বাতাস ব্যাপ্ত,
পরীক্ষাতে মার্কা যে তাই
কাটেন মসীশ্বর।
ডাকি সরস্বতী মাকে,–
“ত্রাণ করো এই ছেলেটাকে,
মাস্টারিতে ভর্তি করো
হাস্যরসীশ্বর।’