সেইদিনই হয়তো আপনি ধরা পড়তেন, যদি না নির্বোধ ক্ষিতীন্দ্রবাবু প্রাণের ভয়ে পালিয়ে আত্মগোপন করে থাকতেন। অবিশ্যি আপনাকে পরোক্ষভাবে ক্ষিতীন্দ্রবাবুর অতি চালাক ও বুদ্ধিমতী স্ত্রী মালতী দেবীও কিছুটা সাহায্য করেছিলেন। তার নিজের স্বামী বলে জীমূতবাহনের দেহটা identify করে। যাক গে সেকথা, সে রাত্রে জীমূতবাহনের মুখ বন্ধ করবার জন্য তাকে কি ভাবে হত্যা করেছিলেন তা আমরা জানতে চাই না, জানবার আর প্রয়োজনও নেই, যে দুটি হত্যার প্রমাণ আমাদের হাতে আছে তাই যথেষ্ট। কিন্তু আমার প্রশ্ন : আপনি তো ভাল করেই জানতেন, অনুরাধা দেবীকে ডঃ সেন ভালোবাসেন। তা জানা সত্ত্বেও ভদ্রলোকের কাছ থেকে অনুরাধাকে অমন করে ছিনিয়ে এনেছিলেন কেন?
হঠাৎ ঐ সময় সলিল দত্ত মজুমদার হাঃহাঃহাঃ করে উচ্চকণ্ঠে হেসে উঠলেন।
মিঃ দত্ত মজুমদার–কিরীটী ডাকল।
কিন্তু দত্ত মজুমদার তখনও হাসছে হাঃ হাঃহাঃ! থানার ঘরের দেওয়ালগুলোতে যেন সেই হাসির শব্দ প্রতিহত হয়ে ঠিকরে ঠিকরে যেতে লাগল।