বিরহ, এবং
জলের খানিক নীচে রয়েছে শৈবাল,
সামান্য ঝুঁকলেই দেখা যায়;
কিন্তু সে দেখে না, তার দৃষ্টিকে সে লাল
গোলাপের সন্ধানে পাঠায়।
আমি দেখি, উদয়াস্ত আমি দেখি তাকে,
বিরহ-ভাবনার মতো নিরন্তর দুলে যেতে থাকে
জলজ শৈবাল।
।।২।।
মর্মমূলে বিঁধে আছে পঞ্চমুখী তীর,
তার নাম ভালবাসা।
কেটেছে গোক্ষুরে যেন, নীল হয়ে গিয়েছে শরীর,
তার নাম ভালবাসা।
ঠাকুমা বলতেন, ওই সূর্যতাকে ছিঁড়ে
এনে যে লণ্ঠন জ্বালে দুঃখীর কুটিরে
তার নাম ভালবাসা।
মিছুটান
যে যায়, সে যায়
যে থাকে, সে টেনেবুনে পাঁচ-দশ বছর আরও থাকে।
সেও যেত, কিন্তু তার রয়েছে বেজায়
পিছুটান, কেউ-কেউ রহস্য করে যাবে
বলে মিছুটান।
সে বলে, “ও বড়বউ, শেষকালে যে দফতরে গর্দান
কাটা পড়বে, ভাজাভুজি-চচ্চরি যা হয়
তা-ই দিয়েই খেতে দাও, আটটা বাজে, কালকে হয়েছিল
বড্ড দেরি, আজ যেন না হয়।”
কালকে সে সমস্ত রাস্তে ভয়ে-ভয়ে ছিল।
সে খুব দুঃখিত নয়, সে খুব সুখীও নয়। তার একদিকে
বড়বউ, অন্যদিকে বড়বাবু। মধ্যিখানে ক্রমাগত দেরি
করতে-করতে প্রাণ-ভ্রমরা আছে তার টিঁকে।
পাঁচ-দশ বছর আরও মাঝেমধ্যে বলবে সে, “ধেত্তেরি!”