বদনা-গাড়ুতে পুন ঠোকাঠুকি,
রোল উঠিল ‘হা হন্ত!’
ঊর্ধ্বে থাকিয়া সিংগি-মাতুল
হাসে ছিরকুটি দন্ত!
মসজিদ পানে ছুটিলেন মিয়াঁ,
মন্দির পানে হিন্দু;
আকাশে উঠিল চির-জিজ্ঞাসা –
করুণ চন্দ্রবিন্দু!
যদি শালের বন হত শালার বোন
যদি
কীর্তন
যদি শালের বন হত শালার বোন
আর কনে বউ হত ওই গৃহেরই কোণ।
ছেড়ে যেতাম না গো,
আমি থাকিতাম পড়ে শুধু, খেতাম না গো!
যদি শালের বন হত শালার বোন –
আমি ওই বনে যে হারিয়ে যেতাম!
ওই বৃন্দাবনে চারিয়ে যেতাম!
ওই মাকুন্দ হত যদি কুন্দ-বালা
হত দাড়িম্ব-সুন্দরী দাড়িওয়ালা!
আমি ঝুলে যে পড়িতাম
তার দাড়ি ধরে –
ওগো দুর্গা বলে –
আমি ঝুলে যে পাড়িতাম!
হত চিমটি শালির যদি বাবলা কাঁটা,
আর শর-বন হত তার খ্যাংরা ঝাঁটা!
দোয়ার্কি :
বিষ ঝেড়ে যে দিত তোর খ্যাংরা মেরে
বিষ ঝেড়ে যে দিত তোর!
যদি একই শালি
দিলে গো মা কালী,
সে যে শালি নয় বিশালী (মা গো)
মাগো বিশাল বপু তার
বিশালী সে – শালি নয়, শালি নয়!