ফণা
মেয়ে তুমি আগুন জ্বালাও,
মেয়ে তুমি ফণা তোলো, ফোঁসো,
মেয়ে তুমি পোড়াও চারদিক,
মেয়ে তুমি নাচো, হাসো।
মেয়ে তুমি বাঁচো।
তোমাকে তো ভয় পায় ওরা
ওরা তোমাকে ভয় পায় খুব
ভীষণ ভয় ওরা পায়।
তোমার বিষ নামিয়ে নেয় ফণা তুলবে ভয়ে।
মেয়ে তোমার বিষ রাখো,
বিষ জমিয়ে রাখো,
প্রতিদিন একটু একটু করে বিষ জমাও।
আর কিছু যদি না পারো,
হাট করে খুলতে না পারো বন্ধ জানালা, সাঁটা দরজা
যদি ছিঁড়তে না পারো গায়ে পায়ের শেকল,
ভুলেও যেন ভুলে যেও না তুমি ফণা তুলতে পারো,
ভুলো না বিষদাঁতে কাটতে পারো
তোমার পিঠে কথায় কিছু কি হয়েছে কোনওকালে?
যা কিছুই হয় বা হয়েছে, ফনা তুলেই।
বিয়ে
বিয়ে আর দিন পাঁচেক বাদে,
বলি ও মেয়ে তুমি পড়েছো ফাঁদে,
চারদিকের লোক জানে পড়েছিলে প্রেমে।
আসলে এ তোমার মরণ বরণ। গানগুলি যাবে থেমে!
জীবনের ছবিটি টাঙিয়ে রাখবে দেয়ালের কোনও ফ্রেমে !
নতুন জীবন! কে বলেছে নতুন?
এ তোমার মা দিদিমার চেখে দেখা নুন
নিজে তুমি খাওনি বলে খাবে।
যখন পস্তাবে
ফ্রেমের জীবন থেকে মুঠো মুঠো স্বপ্ন পেড়ে
মাঝরাত্তিরে বেহুঁশের মতো গোগ্রাসে খাবে।
দেখে গায়ের জোরে যে তোমার স্বপ্ন নেবে কেড়ে
সে তোমার স্বামী, যাকে ভালোবেসে ঝাঁপিয়ে পড়েছো খাদে,
যেহেতু সবাই পা দেয়, জেনে বুঝেই পা দিয়েছো ফাঁদে।
ভালোবাসা মানুষুকে খুব একা করে দেয়
ভালোবাসার কথা তাকে ছিল না, কিন্তু না বেসে আবার উপায়ও ছিল না।
আমাকে সে বাসেনি, কিন্তু ভেবে নিতাম বাসে,
তার অঙ্গভঙ্গির ভুল অনুবাদ করতাম, ইচ্ছে করেই করতাম কি না কে
জানে।
আসলে, বাসে ভাবলে সুখ হত খুব। নিজেকে সুখ দিতেই কি না কে
জানে।
ভালোবাসেনি বলে হেসে খেলে খেয়েছে ঘুরেছে,
লুটেপুটে কোনও একদিন চলেও গেছে নিঃশব্দে
বাসেনি বলে তার চলে যাওয়ায় তার কোনও দুঃখ নেই।
একা তো বরাবরই ছিলাম, তবু এত একা আমার কখনও লাগেনি।
তার সঙ্গটুকু, তার ওই মিথ্যেটুকুই
আমাকে সত্যিকার গ্রাস করে ফেলেছিল বলে একা লাগে।
কতবার ভাবি ভুলে যাবো, তারপরও দরজায়
শব্দ হলেই মনে হয় সে এলো। কোথাও কারও পায়ের আওয়াজ পেলে
চমকে উঠি।
কতবার ভাবি বাসবো না, তারপরও ভুলভাল মানুষকে ভালোবেসে
নিজের সর্বনাশ করি।
যাকে বিদেয় দেব, সে যদি নিজেই
বিদেয় হয়, সে যদি পেছন না ফেরে, কষ্ট হতে থাকে।
কষ্টের কারণগুলো আমি আজও ঠিক বুঝতে পারি না।
মাটি