জেনারেল কেরামতউদ্দিন বলেন, ইটস রিয়েলি এ ভেরি ডিফিকাল্ট টাস্ক, দ্যায়ার আর সো মেনি ব্রাইট ক্যান্ডিডেটস, আমাদের ক্যান্ডিডেট অ্যাবাউট পাঁচ হাজার, তার মইধ্য থেকে ফিফটি ফাইভ ক্যান্ডিডেটকে নমিনেশন দেয়া রিয়েলি ভেরি ডিফিকাল্ট, বাট আই অ্যাম শিউর উই ক্যান ডু দ্যাট, মহাদেশনেত্রী উইল শো আস দি রাইট ওয়ে টু ডু দিস অ্যাজ শি হ্যাঁজ অলোয়েজ শৌন।
মহাদেশনেত্রী মিগ্ধভাবে হাসেন; রাজপুরুষেরা কেউ তা দেখতে পান না, তাঁর হাসি দেখার অধিকার তাদের নেই বইলাই শুনছি। দুনিয়ায় কত সৌন্দর্যই এইভাবে নষ্ট হইয়া যায়, আবর্জনার উপর শেফালি ঝইরা পড়ে, মলের টুকরার উপর আইস পড়ে চান্দের আলো, সুন্দরীরা ঘুমায় কোটিপতি কুষ্ঠরোগীর বিছনায়।
ডঃ কদম রসুল বলেন, এই ডিফিকাল্ট কাজ করনের জইন্যে আমরা আমাগো প্রিন্সিপালগুলি কাজে লাগাইব, তখন ইট উইল বি ইজি টু নমিনেট দি রাইট ক্যান্ডিডেটস্। এইর আগেও আমাগো ক্যান্ডিডেটের অভাব হয় নাই, ফিউচারেও অভাব হইব না, আমরা পাওয়ারে যাওনের পাটি।
অধ্যক্ষ রুস্তম আলি পন্টু বলেন, ডাক্তার রসুল ভাই প্রিন্সিপালগুলির কথা মনে করাই দিয়া কাজ সহজ কইর্যা দিলেন। আমরা ক্যান্ডিডেটগো রিয়েল পাওয়ারগুলি দেখবো, টাকা আছে কি না, চান্দা কত দিবো, ক্যাডারের জোর কেমুন, আর দেখুম তার হিস্টরি, পাকিস্থানের জইন্য দরদ আছে কি না, ইসলামে বিশ্বাস কতখানি, ইন্ডিয়ার শত্রু কি না, আমাগো দলে কত বচ্ছর আছে, আগে কোন কোন দল করতে। এই পয়েন্টগুলা দেখলে ডিফিকাল্টি হইব না।
মহাদেশনেত্রী বলেন, পলিটিক্সে ডিফিকাল্টি বলে কোনো কথা নাই।
অধ্যক্ষ রুস্তম আলি পন্টু বলেন, মহাদেশনেত্রীর কাছে আমি আমার নত কইর্যা কৃতজ্ঞতা জানাই তিনি আমাদের পলিটিক্সের একটা মূল প্রিন্সিপাল মনে করাই দিছেন বইল্যা, তিনি মনে করাই না দিলে আমরা বিষয়টারে ডিফিকাল্ট ভাইব্যা ডরাইতাম, এখন ডরানের কিছু দেখতেছি না।
সোলায়মান হাওলাদার বলেন, আমাদের রাজবংশের যিনি ফাউডার, তারে আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি, তিনিই আমাদের এই মূল প্রিন্সিপালটি দিয়া গেছেন, তার সামনে ডিফিকাল্ট বইল্যা কিছু ছিল না, পাঁচ দশ মাইল হাটন তার কাছে ডিফিকাল্ট ছিল না, যেইখানে আমরা আধমাইল হাটলেই প্যাটের ভারে বইস্যা পরি সেইখানে তিনি এক ঘন্টায় দশ মাইল হাঁটতেন, হেলিকাপ্টারে চরতে আমরা ডরাই তিনি ডরাইতেন না। মাটি কাটতে গাছ কাটতে আমরা ডরাই তিনি ডরাইতেন না, ডর বইল্যা তার কিছু ছিল না।
মোহাম্মদ কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, আমাদের গ্রেট লিডার, গ্রেটেস্ট পলিটিশিয়ান অফ দি কান্ট্রি উইল লিড আস টু ভিক্টরি, হি ইজ উইথ আস, হি ইজ গিভিং আস অর্ডার ফ্রম অ্যাবাভ, তার প্রিন্সিপাল মাইন্যা চললে কিছু ডিফিকাল্ট হবে না।
এখন ইন্টারভিউ দিতেছেন মোহাম্মদ ইউসুফ আলি চৌধুরী।
অধ্যক্ষ রুস্তম আলি পন্টু বলেন, ভাই, আপনের সব খবরই আমাগো জানা, আপনের পাওয়ার আর পপুলারিটির কথা দ্যাশের পিপল জানে, তবু কয়টা কথা কই, আপনের থিকা আবার জাইন্যা লই।
ইউসুফ আলি চৌধুরী বলেন, তা জানানের জইন্যেই ত আসছি মাননীয় মহাদেশনেত্রীর সামনে, তার সামনে আসতে পাইরা জীবন ধইন্য হইল, আপনেরা আমার সবই জানেন, আবার জানাইবার সুযোগ পাইলে আমি খুশি হব।
কেরামতউদ্দিন বলেন, মিস্টার চৌধুরী উই ওয়ান্ট টু নো ইউর রিয়েল পাওয়ারস, দ্যাট চান্দা কত দিতে পারবেন, ইউ নো আওয়ার পার্টি ফান্ড ইজ অলমোস্ট এম্পটি, ইলেকশনে খরচ কেমন করতে পারবেন, আর আপনার ক্যাডারদের অবস্থা কি? ক্যাডারস্ আর ভেরি ইম্পরটেন্ট। এইগুলি হচ্ছে একজন সাকসেসফুল পলিটিশয়ানের রিয়েল ফাউন্ডেশন অন হুয়িচ হি স্ট্যান্ডস্ লাইক এ জায়েন্ট। আমরা শিউর যে আপনে একজন পলিটিকেল জায়েন্ট।
ইউসুফ আলি চৌধুরী বলেন, আল্লার রহমতে আর আপনেগো দোয়ায় এইগুলির কোনোটারই আমার অভাব নাই, টাকা, ক্যাডার, পপুলারিটি সবই আমার আছে। পার্টিরে দশ পোনোরো কোটি চান্দা দেওনের জইন্যে আমি রেডি হইয়া রইছি, মানি ইজ নো প্রব্লেম, ইলেকশনে বেশি খরচ এইবার করন যাইবো না শুনছি, তয় দশ পোনোরো কোটির নিচে চলবো না। আমার ক্যাডাররা ট্রেইনিং পাওয়া ক্যাডার, তারা স্যাবা করনে যেমন এক্সপার্ট তেমনই একম্পার্ট আসল কাজে। এই সব দিকে কোনো প্রব্লেম নাই।
অধ্যক্ষ রুস্তম আলি পন্টু বলেন, এই সবই আমি জানি ভাই, বেড়াইতে গিয়াই ত সব দেইখ্যা আসলাম। ভাই চান্দাটা কবে দিতে পারবেন?
ইউসুফ আলি চৌধুরী বলেন, দেশি কারেন্সিতে এইবার দিমু না ডলারে?
অধ্যক্ষ রুস্তম আলি পন্টু বলেন, হাফ হাফ ভাই, দেশিতে হাফ ডলারে হাফ দিয়েন। পাওয়ারে আমরা অল্প দিনের মধ্যেই যাইতেছি, আমাগো ক্যান্ডিডেটগো খরচপাতি তখন উঠাই লওন যাইব। যান ভাই, চিন্তা কইরেন না, আপনে নমিনেশন পাইলেন।
আরেক ক্যান্ডিডেট সাক্ষাৎকার দিতেছেন, যেই সব কথা হইতেছে তার একটু আধটু আমরা শোনতে পাইতেছি।
সোলায়মান হাওলাদার জিজ্ঞেস করেন, আইচ্ছা, আপনের পাকিস্থান আর ইন্ডিয়া সম্পর্কে মত কি?
ক্যান্ডিডেট বলেন, পাকিস্থান আমাগো ফ্রেইন্ড ইন্ডিয়া আমাগো এনিমি। পাকিস্থান মুসলমানের দ্যাশ বাংলাদ্যাশও মুসলমানের দ্যাশ, মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই, ইন্ডিয়া পাকিস্থান ভাঙছে, পাকিস্থান ভাঙ্গনের লিগা ইন্ডিয়া সেভেন্টি ওয়ানে হেল্প করছিল। ইন্ডিয়ারে বিশ্বাস নাই। তবে ইন্ডিয়ার লগে মারামারি করন যাইব না, মোখে মোখে ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে কথা কইতে হবে, ভিতরে ভিতরে খাতির রাখতে হবে, এই পলিটিক্সে আমি বিশ্বাস করি।
চমৎকার খুব ভাল লাগলো