কেরামতউদ্দিন বলেন, দিস ইজ দি বেস্ট প্রিন্সিপাল ইন নমিনেটিং আওয়ার ক্যান্ডিডেট্র, আমাদের লিডারদের পপুলারিটি পিপলকে শো করা দরকার। ফরেন অ্যাজেন্টরাও বোঝতে পারবে আমাদের দল কত স্ট্রং।
মহাদেশনেত্রী বলেন, আপনারা বেস্ট প্রিন্সিপালই নিবেন, পাওয়ারে আমাদের যাইতেই হবে, অরা দ্যাশটারে সেল করবে, তা হইতে দিব না।
মোহাম্মদ কুদ্দুস চৌধুরী বলেন, পিপল অদের চায় না, দে আর ইন অ্যান ইলিউশন, পিপল লাভ আস, পিপল আমাদের ভোট দিবে।
মোহাম্মদ সোলায়মান হাওলাদার বলেন, ওমরা করার সময় এসে গেছে। আমাদের মাননীয় মহাদেশনেত্রীর পক্ষে কখন সময় হবে? ওমরার উপর ইলেকশন অনেকখানি ডিপেন্ড করে।
মহাদেশনেত্রী বলেন, ওমরা ত করতেই হবে। মহামান্য কিংয়ের সঙ্গেও মিট করার দরকার। সময়টা আপনেরা ঠিক করেন।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, জনগনআলারা কবে ওমরা করতে যাইতেছে, সেইটা দেখন দরকার। অগো পরে গেলেই পলিটিকেলি বেটার, আর অরা যতজন যাবে আমরা তার চাইতে বেশি যাব।
ব্যারিস্টার কুদরতে খুদা বলেন, ওমরায় যাওয়ার আগে পার্টি অফিসে একটা বড় মিলাদ মহফিল হওয়া নেসেসারি, পেপারগুলিতে তার ছবিও ছাপান দরকার। মিলাদের খুবই ইমপ্যাক্ট পিপলের উপর।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, খুব ভাল কথা, পরশুই অফিসে মিলাদ হবে। আল্লা রসুলের নাম নেয়া সব সময়ই ভাল, অন্যরাও ভাল চোখে দেখে।
ডঃ কদম রসুল বলেন, আমার মনে একটা চিন্তা আসছে, সেইটা করন যায় কি না একটু ভাইব্যা দেখনের জইন্যে রিকুয়েস্ট করতেছি। আমার মনে হয় এইতে আমাগো আরো ভাল হইব।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, ভাই, চিন্তাটা বইল্যা ফ্যালেন।
ডঃ কদম রসুল বলেন, অগো বান মারন যায় কি না একটু ভাইব্যা দেখন দরকার। একটা দোয়া আছে সেইটা দিয়া অগো আর পিপলের মইধ্যে চিরকালের জইন্যে শত্রুতা সৃষ্টি করনের তদবিরটা আমরা কইর্যা দেকতে পারি, আমি দোয়াটা আর ডিজাইনটা বই থিকা ফটোকপি কইর্যা রাখছি।
কথাটি শুনে সবাই বিব্রত হয়, মহাদেশনেত্রী তাঁর নখ দেখতে থাকেন।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, ইলেকশনে উইন করার জইন্যে সব কিছুই আমাগো করন দরকার, সব রকমের বানই আমাগো মারন দরকার; তবে কথাটা হইল এইটা বড় কঠিন কাজ। এইটা করনের লিগা বারো কোটি মাইনষের কেইশ ছিইর্যা আনতে হইব আর জনগনআলাগো মরা আর
সব লিডারের কেইশ ছিইর্যা আনতে হইব। এইটা করতে গেলে কয়েক বছর লাগবো।
কেরামতউদ্দিন বলেন, উই ক্যান ডু দ্যাট আফটার উই গো টু পাওয়ার। উই ক্যান ইস্টাবলিশ এ ন্যাশনাল হ্যাঁয়ার ব্যাংক, অ্যান্ড কালেক্ট পিপলস্ হ্যাঁয়ার। ইট উইল বি অ্যান অ্যাচিভমেন্ট।
তাঁরা আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পলিটিকেল আলোচনা ও ডিসিশন গ্রহণ করেন।
মহাজননেত্রী চল্লিশজনের একটি দল নিয়ে ওমরা করতে চলে গেলেন। যাওয়ার সময় আমরা দেখতে পাই তার চেহারাই বদলে গেছে, বাঙালি বলে চিনুন যাচ্ছে না; আমরা ভয় পাইতে থাকি যখন তিনি ফিরবেন তখন তাঁকে আমরা একেবারেই চিনতে পারবো কি না। তিনি হয়তো খাঁটি মরুভূমি খাঁটি মুসলমান হয়ে ফিরবেন। জনগণ পছন্দ করবে। আমরা পিপলরা চিরকালই বিদেশি দেখলেই পাগল হই, মরুভূমি দেখলে মুগ্ধ হই।
ওমরাটা থাকায় খুব সুবিধা হইছে পলিটিশিয়ানগো, তাগো আর আরবি বছরের বারো নম্বর মাস আলহিজার জইন্যে বসে থাকতে হয় না। বসে থাকতে হইলে। ড্যামোক্রেসির পলিটিক্সে প্রাণ আসতো না, চামও থাকতো না। শুনতে পাই সত্য মিথ্যা আমরা গরিবরা জানি না, আমাগো অত ট্যাকা নাই যে হজও করবো আবার সোনাও। কিইন্যা নিয়া আসবো, আমরা শোনতে পাই পলিটিকেল ওমরার নিয়মকানুনও পলিটিকেলি আলাদা।
মহাজননেত্রী যেদিন ওমরা করনের জইন্যে গেলেন সেই দিন আমাগো সুফিয়া রিয়াদ থিকা ফিইর্যা আসলো। সে জীবিত আসে নাই, সুফিয়া ফিরে আসতে পারে নাই, সুফিয়ার লাশ ফিরে আসছে।
সুফিয়া ওমরা বা হজ করতে সেইখানে যায় নাই, সুফিয়া সেইখানে গেছিল চাকরানি হইয়া, বান্দি খাটতে। ফিরে আসলো লাশ হইয়া।
অমন মাইয়া লাশ হইব না ত কি হইব, অর জন্মই হইছিল লাশ হওনের জইন্যে। অর ভাইগ্য ভাল পবিত্র দ্যাশে গিয়া লাশ হইছে, ভেস্তে যাইব।
মাইয়ামানুষ কি আর মানুষ, যেই ভাইগ্য নিয়া আসছিল তা মানলে সুফিয়া দ্যাশেই থাকতে পারত, বাইচ্যাও থাকতে পারতো হয়তো।
তয় মাইয়ামানুষের বাচন মরনের মইধ্যে তফাৎ কি।
সুফিয়ার বাবা আমাগো মতই গরিব ছিলো, তবু অই মেয়েটাকে লেখাপড়া শিখাইতে সে চ্যাষ্টা করছিলো। আরেকটা খারাপ জিনিশ হইল মাইয়াটা সুন্দরও ছিলো, লোকটা মাইয়ার জইন্যে জান দিত। এইটে ওঠনের পর মাইয়াটা দেখতে এত সোন্দর হয় যে গ্রামের ড্যাকরাগুলি ইস্কুলে যাওয়া আসার পথে অর হাত ধইরা টানাটানি করত। কয়টারে ও চড়চাপড়ও দিছে। কিন্তু বাপটা কিছু না রেখে মইরা যায়। ড্যাকরাগো টানাটানি সইজ্য করতে না পেরে সুফিয়া ঢাকা চইল্যা আসে। সুফিয়া বুঝতে পারে তার লেখাপড়া আর হইব না, তার রুজি করতে হবে। নিজে খাইতে হবে, মারে আর দুইটা ভাইবোনরে খাওয়াইতে হবে।
ঢাকায় সুফিয়া গার্মেন্টসে একটা কাজ নেয়; কিন্তু সেইখানে অর যা বেতন তার চেয়ে প্রেমিক অনেক বেশি দেখা দেয়। সুফিয়া দেখতে পায় রাস্তাঘাট কল কারখানা মেশিন চেয়ার টেবিল সবই প্রেমিক, প্রেমে চাইরপাশ ভাইস্যা যাচ্ছে। সুফিয়া প্রেমিকদের প্রেমনিবেদন, টানাটানি, চিঠিপত্র, টিপন, জড়াই ধরন, বেড়ানের দাওৎ আর আর জিনিশে পাগল হয়ে উঠতে থাকে।
চমৎকার খুব ভাল লাগলো