আবদুল মোরশেদ বলেন, ওরা সব সেক্রেটারি আর জেনারেলদের মিনিস্টার করার প্রমিজ করছে, কিন্তু এতোজনকে ওরা মিনিস্টার করবে হাউ?
আইউব আলি বলেন, সেটাই তো চিন্তার কথা, পলিটিশিয়ানগুলি বর্ন লায়ার, পিপলকে মিথ্যা বলতে বলতে অভ্যাস হয়ে গেছে, এখন আমরাও অদের ট্র্যাপে পড়ছি কি না বুঝতে পারছি না। বাট আই মাস্ট জয়েন এ পার্টি, খোদা চাইলে মিনিস্টার হইতেও পারি।
আবদুল মোরশেদ বলেন, আমিও তাই ভাবছি। মিনিস্টার হলে টাকাগুলি উঠে আসবে, এমপি হ’লেও উঠবে, টাকা মার খাবে না। এনজিওগুলির চাকর খাটার থেকে এটা খারাপ না।
আইউব আলি বলেন, উই আর আর্নিং এ লট অ্যাজ অ্যাডভাইজারজ টু দি এনজিওস, দে আর আওয়ার গোল্ড মাইনস, ওটা থাকবে, এমপি বা মিনিস্টার হলে ওটা আরো জমবে।
আবদুল মোরশেদ জানতে চান, আপনের কি মনে হয়? কোন পার্টি পাওয়ারে যাবে ব’লে আপনের মনে হয়? আপনে পিপলের মতিগতি কিছুটা বুঝতে পারছেন?
আইউব আলি বলেন, এইবার জনগণআলাজ হ্যাঁজ এ চান্স, দি গার্ল ইজ এ গুড ইন্টেলিজেন্ট কমিটেড পলিটিশিয়ান, শি ব্রট অ্যাবাউট দি ডাউনফল অফ দি উ ৎসআলাজ, পিপল আর ভেরি মাচ সিম্পেথিটিক, শি হ্যাঁজ এ চান্স।
পাওয়ার তারা উইল টিচ দি ব্যুরোক্র্যাটস্ এ গুড সিভিয়ার লেসন; এটা ছোটবড় সব ব্যুরোক্র্যাটই বোঝে, তার ফলও ফলবে ইলেকশনে।
আইউব আলি বলেন, আই হোপ সো।
আমরা জনগণরা দূর থিকা খালি শুনছি, দূর থিকা খালি দেখছি। ভিতরে আমরা জনগণরা আবার কোন দিন ঢুকলাম যে কাছে থিকা শুনবো কাছে থিকা দেখবো? আমরা ব্যালট বাক্সের ছিদ্রিটারেই শুধু কাছে থিকা দেখি। ওই ছিদ্রির ভিতর দিয়া আমাগো কপালরে আমরা নিচে ফেলাই দেই।
অধ্যক্ষ রুস্তম আলি পন্টু খুবই উত্তেজিত আর উদ্বিগ্ন, দেখা যাচ্ছে পার্টির ফান্ডে চান্দা পড়ছে না; ব্যাংক ডিফল্টারগুলি চান্দা দেয়া কমাই দিছে, বন্ধ করে দিছে অনেকে। চার পাঁচ বছর ধরে না চাইতেই দিয়ে আসছিলো, এখন বারবার চাওয়ার পর যা দেয় তাতে পোলাপানদের ক্যাডারদের চাও হবে না। ক্যাডাররা কয়েক বছর ধইর্যাই বেশ বানাইছে, মিছিলে যাওয়ার সময় তারা ছাত্রগো মতন ময়লা কাপড় পরেই যায়, রাতের বেলা পাজেরো হাঁকায়, তিন পিস স্যুট পরে, মিস্ট্রেসগো বাড়ি যায়, টাওয়ারে। টাওয়ারে ফ্ল্যাট কিনছে, বনানী উত্তরায় জায়গা নিয়ে রেখেছে, তবু ত তাদের দিতে হবে। নইলে ভাইগ্যা যেতে পারে, জনগণআলারা ত ধরার জইন্যে খাড়া হয়েই আছে। নমিনেশন দেওনের সময় ফান্ডে ট্যাকা আসবে, কিন্তু ওই ট্যাকা ত কিছুই না; ডিফল্টারগুলি ট্যাকা না দিলে চলবো কেমনে? কয় বছরে তারা হাজার কোটি বানাইল, আর এখন ভাইগ্যা পড়তে চায়? ওইগুলিরে জ্যালে ঢুকানই দরকার আছিল। তিনি কয়েকজন নেতা নিয়ে বসেন, মহাদেশনেত্রীরে এই কথা জানান যাইবো না, তাহলে তিনি ঘুমোতে পারবেন না।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, আপনাদের জানান দরকার যে ডিফল্টাররা চান্দা দিতেছে না, ফান্ড খালি হইয়া যাচ্ছে।
জেনারেল কেরামত বলেন, বাস্টার্ডরা চা নিচ্ছে, মে বি দে থিংক দি জনগনালাজ উইল গো টু পাওয়ার। তারা অখন অইদিকে লাইন দিছে, কোটি কোটি টাকায় অগো ভইরা দিছে।
সোলায়মান হাওলাদার বলেন, এই রাঙ্কেল ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্টগুলি বাস্টার্ডের বাস্টার্ড, বাতাস ঘুরতে দেখলেই তারা ঘোরে, কয়েকটা ক্যাডার পাঠান দরকার।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, দরকার হইলে ক্যাডার পাঠাইতে হবে, চান্দা না দিয়া দ্যাশে থাকতে পারবো না।
জেনারেল কেরামত বলেন, দুই চাইরটারে ফোন করে এখনই ধমক দ্যান।
রুস্তম আলি পন্টু অনেকক্ষণ ধরে সেলুলার টেপেন, কাজ হয় না; শেষে এক ডিফল্টারকে পেয়ে যান।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, আছছেলামালাইকুম খাজা সাহেব, ভাল আছেন ত? আশা করছিলাম এইর মইধ্যে একদিন আসবেন, নাইলে কাউরে পাঠাইবেন।
খাজা সাহেব বলেন, আমি খুব সরি, দ্যাশে ছিলাম না, সিংগাপুর ব্যাংকক ওসাকায় একটু কাম ছিল। আপনে ভাল আছেন ত? আপনের কথা আমি ভুলি নাই, আই গট সাম প্রেজেন্টস্ ফর ইউ ফ্রম ওসাকা, ইউ উইল লাইক ইট।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, থ্যাংক ইউ ভেরি মাচ, প্রেজেন্টা পাইলে অইত্যান্ত খুশি হবো, তবে আরেকটা কথা আছিল।
খাজা সাহেব বলেন, বুঝতে পারছি, কিন্তু দিনকাল খুব খারাপ যাচ্ছে, বিজনেস একেবারে নাই, সোনার চালানগুলি বন্ধ রইছে। আপনেরা থাকলে অসুবিধা হইত না, বড় ডিফিকাল্টিতে আছি।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, লাইফে ডিফিকাল্টি মাঝেমইধ্যে আসেই, চিরকাল থাকে না, আমরাও এখন ডিফিকাল্টিতে আছি, দুই তিন মাসের ব্যাপার, ওই জিনিশটা আইজই পাঠাইবেন, ফান্ডে ট্যাকা নাই।
খাজা সাহেব বলেন, আইজই আধা লাখ পাঠাই দিব।
রুস্তম আলি পন্টু হাহাকার করে ওঠেন, বলেন কি খাজা সাহেব, আপনের থিকা পুরা এককোটি পাওনের আশা কইর্যা আছি, আধা লাখে টয়লেটও হবে না। পুরাটাই দিবেন।
খাজা সাহেব বলেন, এইটা পারুম না, ভাই, মাফ করবেন। বড় ডিফিকাল্ট সময় যাইতেছে, ব্যবসা নাই চালান আসে না।
রুস্তম আলি পন্টু বলেন, সব চান্দা কি অই জনগনআলাগোই দিয়া দিছেন, মনে রাইখেন পাওয়ারে আমরাই যাবো।
আমরা তাদের পলিটিকেল ইন্টিমেট আলাপ আর শুনতে চাই না; তারা পলিটিশিয়ান বলে কি তাদের প্রাইভেসি নাই?
চমৎকার খুব ভাল লাগলো