অবজেনারেল করিম ইউসুফ ফোন করেন অবজেনারেল আল হাক্কানিকে, আই অ্যাম পাসিং এ টেরিবল টাইম, ডিসাইড করতে পারছি না হুইচ পার্টি টু জয়েন। অল দি পার্টিজ আর অফারিং মি ইনক্রেডিবল প্রাইজেস।
আল হাক্কানি বলেন, আমার কন্ডিশনও একই, আই অ্যাম এট এ লস, ইটস মোর ডিফিকাল্ট দ্যান ওয়ার স্ট্র্যাটেজি। ভাই, বলেন তো কারা পাওয়ারে আসবো?
করিম ইউসুফ বলেন, অনলি গড নোজ, মে বি ইভেন হি ডাজ নট নো। আমার একবার মনে হয় শক্তির উৎসবাদীরা উইল স্টেজ এ কামব্যাক, আবার মনে হয় জনগণআলাস উইল গো টু পাওয়ার দিইস টাইম।
আল হাক্কানি জিজ্ঞেস করেন, আপনারে কি অফার করছে?
করিম ইউসুফ বলেন, এনি মিনিস্ট্রি আই ওয়ান্ট অ্যাকসেপ্ট দি পোস্ট অফ দি প্রাইম মিনিস্টার।
আল হাক্কানি বলেন, হোয়াই নট দি পোস্ট অফ দি প্রাইম মিনিস্টার, হা হা হা। আমারেও এই রকমই অফার করছে, বাট ক্যান্ট ডিসাইড হুইচ পার্টি টু জয়েন। নাউ আই অ্যাম প্র্যাকটিচিং আটারিং জয় বাংলা অ্যান্ড বাংলাদেশ জিন্ডাবাড, বাংগালি অ্যান্ড বাংলাডেশি; যেইটা আটার করতে আমার ভাল লাগবে আমি ঠিক করছি সেই পার্টিতেই জয়েন করবো।
তা%রা অনেকক্ষণ ধরে হাসাহাসি উপভোগ করেন।
করিম ইউসুফ বলেন, টু বি এ মিনিস্টার ইজ নট সো ব্যাড, ইটস্ এ হাইলি। ইন্টারেস্টিং পোস্ট আই থিংক, বাট দুই পার্টিতেই অনেকগুলি বুড়া হ্যাগার্ড টুথলেস। ককলেস জেনারেল জয়েন করছে, তাদের রেখে শ্যাষ পর্যন্ত আমাদের মিনিস্ট্রি দিবো তো? আই ক্যান্ট ট্রাস্ট দি পলিটিকেল বাস্টার্ডস, দে আর লায়ার্স, ফাদার্ড বাই ডেভিলস্। একবার জয়েন করার পর তো তাদের পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে, তাদের কথায় উঠতে বসতে হবে।
আল হাক্কানি বলেন, যৌল্ড হ্যাঁগার্ডগুলি খালি শোভা, ওইগুলিরে অরা নিচ্ছে, বাট একেবারে পাত্তা দেয় না, তারা পাত্তা দেয় আমাদের মতো ইয়ং এনার্জিটিক জেনারেলদেরই, তারা জানে আমরা হ্যাভ জাস্ট রিটায়ার্ড, উই আর অলমোস্ট ইন। সার্ভিস হুয়িচ ইজ ভেরি ইম্পরটেন্ট, উই আর মাচ মোর অ্যাট্রাকটিভ টু দেম দ্যান দোজ আৌল্ড হ্যাঁগার্ড জেনারেলস। দে আর ডেড বডিজ ইন দি গাইজ অফ রিটায়ার্ড জেনারেলস।
করিম ইউসুফ বলেন, লেটু ওয়েট অ্যান্ড সি ফর এ ফিউ মোর টেরিবল ডেইজ, তারপর একদিন ফুলের তোড়া নিয়ে গিয়ে হাজির হবো। বিয়াও ত এইভাবেই করেছিলাম, ডিফারেন্স হচ্ছে এইবার বিয়া বসতে হবে। হা হা হা। আফটার অল স্লিপিং উইথ এ হোর ইজ মাচ বেটার অ্যান্ড ইন্টারেস্টিং দ্যান সেলিব্যাসি।
আমাদের অপসরপ্রাপ্ত সেক্রেটারিগণও ভুগছেন একই ইনসোমনিয়ায়।
তাঁদের ঘুম আসছে না, স্থির করতে পারছেন না, জীবনে এমন জটিল ফাইলের মুখোমুখি কখনো বসেন নি, আগে অন্যের লেখা ফাইলে না দেখে মাল গুণে সই করেছেন, এইবার মনে হচ্ছে সাইন করছেন নিজের ফাইলে; বারবার জায়নামাজে বসে আল্লারে ডেকে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হচ্ছে, হে সর্বশক্তিমান, হে দয়াময়, হে অতীত ভবিষ্যতের দ্রষ্টা, হে গণতান্ত্রিক ইলেকশন সম্পর্কে সদাসচেতন, আপনার নামেই সবাই ইলেকশন করতেছে, ইউ নো এভরিথিং, আপনার ইঙ্গিতেই সব হয়ে থাকে, স্বৈরাচার বিদায় নিয়া পিপলের ড্যামোক্রেসি দেখা দেয়, আপনে দয়া করে বলে দিন এইবার কোন বংশ পাওয়ারে যাবে, রাজা হবে, পিপল এইবার কোন বংশরে পাওয়ারে বসাইয়া খুশি হয়ে প্রতারিত হবে, আমি কোন বংশের কাছে, মহাদেশনেত্রী না মহাজননেত্রীর কাছে, ফুলের তোড়া নিয়া উপস্থিত হবো?
তাঁরা দুই বংশের টানাটানিতে ছিঁড়েফেড়ে যাচ্ছেন, কথা দিতে গিয়ে কথা দিতে পারছেন না; যদি ভুল হয়ে যায়? পার্টি পাওয়ারে না গেলে তো মন্ত্রী হওয়া হবে না। কিন্তু মন্ত্রী হতে ইচ্ছা করছে, গাড়িতে নিশান উড়াইতে ইচ্ছা করছে। কতো গরু গাধা নিশান উড়ইিয়া পচাইয়া ফেললো, নিশানের দিক করে গাড়িতে বসলো, আমি নিশানের গাড়িতে চড়তে চাই, ওইভাবে বসতে চাই। বছরের পর বছর গরু গাধা খচ্চর মূর্খগুলিরে ‘স্যার, স্যার’ করতে করতে ঘেন্না ধরে গেছে, এইবার মূর্খগুলির মতো ‘স্যার’ হ’তে ইচ্ছে করছে।
প্রাক্তন সেক্রেটারি আবদুল মোরশেদ সেলুলার করেছেন প্রাক্তন সেক্রেটারি আইউব আলিকে, ভাই, আপনে কোন দলে যোগ দিতেছেন? ডিসিশন নিতে পারছেন? আমি ত পাগল হয়ে যাচ্ছি, পাসিং এ টেরিবল টাইম।
আইউব আলি বলেন, ধরাধরির মধ্যে আছি। সকালে এই দল ধরছে বিকালে ওই দল ধরছে, আমিও সকালে এই দল ধরছি বিকালে ওই দল ধরছি। বুঝতে পারছি না কারা পাওয়ারে যাবে।
আবদুল মোরশেদ বলেন, আপনে তো ধার্মিক মানুষ, রোজা নামাজ করেন, হজও করছেন চাইর পাঁচবার, শক্ত একটি পিরও আছে, ইসলামটা ভালো করে জানেন, পাকিস্থানেরও আপনে অ্যাডমায়রার, আপনে তো উৎসবাদীদের সঙ্গেই যাবেন মনে হয়। আপনের জন্যে ডিসিশন নেয়া সহজ।
আইউব আলি বলেন, আরে ভাই ধর্ম আছে ধর্মের জায়গায়, পলিটিক্স আছে পলিটিক্সের জায়গায়। ধর্ম না, আসল কথা হচ্ছে হুয়িচ পার্টি উইল গো টু পাওয়ার, ধর্ম ত আমি জায়নামাজেই করতে পারি, বাট আই ক্যান্ট বি এ মিনিস্টার আনলেস আই জয়েন দি পার্টি হুয়িচ উইল গো টু পাওয়ার। ধর্মের মিনিস্টার করার পাওয়ার থাকলে মসজিদের মোল্লাগুলিই মিনিস্টার হইত।
চমৎকার খুব ভাল লাগলো