কখ মোল্লা বলেন, ইনভার্সিটি আর সারাদ্যাশের মধ্যে ফারাক আছে; দ্যাশে গ্যারামে লাশ ফেলনে বিপদ আছে; ইনভার্সিটিতে লাশ ফ্যাল্লে ক্ষতি নাই, ওইটা হইলো আউট অব বাউন্ড, দারোগা পুলিশ জজ ম্যাজিস্ট্রেটের বাইরে, ওইখানে আমাগো ছাত্ররা শহীদ হয় অমর ইয়, মরে না, মামলামকদ্দমা হয় না। ওতে ইলেকশনের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হয় না, ইলেকশনের নিরপেক্ষতা নষ্ট হয় না।
ঙচ মিয়া বলেন, মালাউনগুলিরে ডরের মইধ্যে রাকতে হইবো, অইগুলিই আমাদের পার্মানেন্ট এনিমি; এমন করব যাতে ভোটের দিনে তারা খুশি হইয়া নিজেগো বাড়িতে বইস্যা থাকে, ভোট দিতে না যায়। জানই ত মালাউনগুলিরে বিশ্বাস নাই। অইগুলি ট্যাকাপয়সা ইন্ডিয়া পাঠাইয়া দ্যায়, দ্যাশটারে ইন্ডিয়া বানাইতে চায়। পাকিস্থান অরাই ভাঙছে, এই দ্যাশটারেও ভাঙতে চায়।
কখ মোল্লা বলেন, তাগো বাড়িতে বসাই রাখনের জইন্যে একটা বাজেট করবা, বিনা পয়সায় বাড়িতে বসাই রাখন যাইব না, যদি কিছু মালপানি হাতে পড়ে তয় খুশি হইয়াই বাড়িতে বইস্যা থাকবো।
এক ক্যাডার বলে, অইগুলি খুব ঠ্যাডা, মালপানি নিতে চায় না।
গঘ চাকলাদার বলেন, দুই একটা মালাউনরে দলে টাইন্যা আনবা, তাগো ন্যাতা বানাইয়া ফেলবা, আমাগো পক্ষে বকতিতা দেওয়াইবা। দ্যাশে নিশ্চই দুই চাইরটা ছাগেশ্বর পাঠেশ্বর কালিপদ খালিপদ পাইবা।
এক ক্যাডার বলে, মালপানি ছাড়াও তাগো বাড়িতে বসাই রাখন যায়; অইগুলিরে মালপানি দেওন ট্যাকাকড়ি গাঙে ফেলন।
ঙচ মিয়া জিজ্ঞেস করেন, সেইটা কিভাবে?
ওই ক্যাডার বলে, পাঁচ বিভাগ থিকা পাঁচ দশটা মাইয়ারে ধইর্যা নিয়া রেপ কইর্যা ছাইরা দিলেই হয়, তাইলে ডরেও তারা ঘর থিকা বাইর হইবো না।
কখ মোল্লা বলেন, না, না, এখন রেপটেপে যাইবা না, বাবারা; আমাগো দারোগা পুলিশ বাবারাই সেই কাম কইর্যা চলছে, তোমাগো করনের কাম নাই।
কখ মোল্লা একটু উত্তেজনা বোধ করেন।
এক ক্যাডার বলে, কিন্তু ছার, ক্যাডাররা সব সময় টেনশনে থাকে, টেনশন রিলিজ করনের লিগা যেমুন মাঝেমইদ্যে কাটারাইফেল খালাশ করতে হয়, তেমুনই মাঝেমইদ্যে রেপ করনের দরকার হয়।
গুচ মিয়া বলেন, ক্যান বাবারা, আইজকাইল হোটেলে পার্কে এতো হাই ক্লাশ কলগার্ল সিনেমার অ্যাকস্ট্রা পাওয়া যায়, ইনভার্সিটি কলেজের এডুকেটেড মাইয়াও পাওয়া যায় শুনি, রেপ করনের কি দরকার।
আরেক ক্যাডার বলে, রেপ ছারা, ছার, টেনশন রিলিজ হয় না, এই বয়সে আপনে তা বোঝাতে পারবেন না।
তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে তাদের কর্মপদ্ধতি বিস্তৃতভাবে আলোচনা করেন, এবং সমগ্র কর্মপ্রণালি গ্রহণ করেন।
আরেক রাজবংশের চছ শিকদার, জঝ আহমদ, ঞট শেখ, ঠড খা ও কয়েক প্রধান নেতা কর্মসূচি গ্রহণের জন্যে বসেন তাদের পাঁচ বিভাগের পাঁচতারা ক্যাডারদের নিয়ে।
চছ শিকদার বলেন, বাবারা তোমরা জানই যে এইবারের ইলেকশন আমাগো মরনবাচনের ইলেকশন, আমরা মইরা আছি এইবার বাঁচতে হইবো, উইন আমাগো করতে হইবোই; এইবার কোনো ভুল করন চলবো না।
এক ক্যাডার বলে, আমাগো যেই কাম দিবেন, আমরা জান দিয়াও তা কইরা দিমু জানের আর কোনো দাম নাই। পাওয়ারে যাইতে চাই, পাওয়ারের বাইরে থাকতে থাকতে ঘুম ভুইল্যা গেছি।
ঠড খাঁ বলেন, প্রথম দরকার হইলো তোমাগো মইধ্যে ঐক্য, ইউনিটি; তোমরা নিজেরা খুনাখুনি করলে আমাগো সব শ্যাষ হইয়া যাইবো। তোমাগো ইউনিটি ছাড়া দলের ভবিষ্যৎ নাই।
প্রধান ক্যাডার বলে, আমরা ইউনিটি ইস্টাবলিশ করছি, আর নিজেগো মইধ্যে ফাইটিং হইবো না। ইলেকশনই এখন আমাগো আসল কাম।
জঝ আহমদ বলেন, পাওয়ারে না থাকলে কিছুই করন যায় না দ্যাখতেই পাইতেছ; অরা রাইফেল দিয়া দ্যাশ দখল কইর্যা পাওয়ারে বসলো, ভোটের বাক্স চুরি কইর্যা পাওয়ারে রইলো; ন্যাতারা লাল হইয়া গেলো, ক্যাডাররা লাল হইয়া গেলো। অগো ন্যাতাগো ইস্পেইন ফ্রান্স সুইজারল্যান্ডে ওয়াশিংটনে প্যালেস আছে, ক্যাডাররা লম্বা লম্বা নিশান পাজেরো চালায়, বনানীতে দুই বিঘার উপর প্যালেস বানায়, টাওয়ারে টাওয়ারে তিন চাইরটা কইর্যা ফ্ল্যাট কিনে দুই তিনটা বউ আর মিস্ট্রেস রাখে, চাইয়া দেখ তোমাগো কি আছে আমাগো কি আছে? কিছু নাই।
এক ক্যাডার বলে, পাওয়ারই আসল কথা; কাটা রাইফেল দেখাইয়া আর কতটা করন যায়, পাওয়ার হইল হাজারটা কাটা রাইফেলের সমান। চাইর দিক থিকা ট্যাকা আসতে থাকে।
আরেক ক্যাডার বলে, যতজনরে ফালাই দিতে কইবেন ফালাই দিমু।
হাহাকার করে ওঠেন গ্রুট শেখ, বলল কি বলো কি, এমন কথা বলার সময় এইটা না; গেরিলা ফ্রিডম ফাঁইটারের স্পিরিট তোমাগো এখনো গ্যালো না; যাইবো কেমনে, তোমরা হইলা ফ্রিডম ফাঁইটার, তবে তোমাগো মনে রাকতে হইবো এইটা নাইন্টিন সেভেনটি ওয়ান না, এইবারের যুদ্ধ অন্যরকম। না মাইর্যা যুদ্ধু করতে হইবো, বাঁচাইয়া যুদ্ধু করতে হইবো, হাতেপায়ে ধইর্যা যুদ্ধ করতে হইবো। এইটা ভোটের যুদ্ধু।
চছ শিকদার বলেন, এইবারের পলিটিকেল ক্লাইমেটটা দেখতে পাইতেছ, বাতাস আমাগো দিকে। অনেক হাতেপায়ে ধইর্যা কাইন্দা কাইট্যা বাতাসরে আমাগো দিকে আনছি, তোমাগো দেকতে হইবো যাতে বাতাস অন্য দিকে না যায়, বাতাসরে গার্ড দিয়া রাখতে হইবো।
ঠড খাঁ বলেন, ইনভার্সিটির হলগুলিরে দখলে রাকতেই হইবো, একটুও ছারন যাইবো না, ইনভার্সিটিই হইলো দ্যাশের পাওয়ার সেন্টার, সারাদ্যাশ এই দিকে তাকাইয়া থাকে, যাগো ইনভার্সিটি তাগোই দ্যাশ।
চমৎকার খুব ভাল লাগলো