তারা এমন আরো অনেক স্তম্ভ ও সারি করে; এবং করে নিম্নরূপ একটি বিশেষ ছক, যা দেখে আমরা পাগল হয়ে যাই :
প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতা/নেত্রীর যোগ্যতা | হ্যাঁ | না |
অশিক্ষিত হবেন | ১০০% | ০০% |
ফোর ফেল হবেন | ৯৫% | ৫% |
এইট ফেল হবেন | ৯২% | ৮% |
বিএ পাশ হবেন | ১০% | ৯০% |
মাথায় ঘিলু থাকবে | ৫% | ৯৫% |
‘গণতন্ত্র’ বানান করতে পারবেন | ০০% | ১০০% |
যা ইচ্ছে তাই করতে পারবেন | ১০০% | ০০% |
Xআত্মীয়দের মন্ত্রী শিল্পপতি বানাতে পারবেন | ১০০% | ০০% |
সংসদে আসতে হবে | ০০% | ১০০% |
দ্রষ্টব্য :৩৩, ৪২৬ জন ভোটারের মত বিশ্লেষিত। Xচিহ্নিত সারিটি শুধু প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
আমরা তাদের স্তম্ভ ও সারির একটা ছোট্ট টুকরো মাত্র এখানে দিলাম, এতেই বোঝা যায় আমরা কতোখানি পাগল আর কততখানি সুস্থ আছি।
জঙ্গলের গাছপালা শুকনো নদীনালা খাল বিল পাটক্ষেত ভাঙা ব্রিজ আকাশবাতাস ডুমুরফল তেতইল শাদা বাইগন কলমিলতা কচুর লতি শাপলাফুল বিশতলা টাওয়ার সিনেমাহলের কাছে, গরুবলদ নৌকোবৈঠা ধানক্ষেত খালবিল সুপারমার্কেট রুমকুলার বস্তি প্রেসক্লাবের কাছে, ময়মুরুব্বি ক্যাডার ভোটার ডিফল্টার শিল্পপতি স্মাগলার পলিটিশিয়ানদের কাছে মাফ চেয়ে, আর বগা পানি কালা পানি আকাশের মেঘ পুকুরের মরা শোলগজার ইরিধান পাজেরো এনজিও বস্ত্রবালিকা ট্যাক্সফি গাড়ি কাটারাইফেল ককটেল জর্দার কৌটারে সাক্ষী রেখে কিছু কথা বলতে হচ্ছে আমাদের, কিন্তু কারা ওই কথাগুলো বললো, কাদের বললো, তাদের নাম আমরা বলতে পারবো না। আমরা আরো কিছুকাল বেঁচে থেকে বাজারের চায়ের দোকানে বসে ক্যান্ডিডেটগো খরচে চা খেতে চাই, নেতাগো বাক্সে ভোট দিতে চাই, নেতাগো নামে শ্লোগান দিতে চাই, গেইট সাজাতে চাই; এতো তড়াতড়ি ভেস্তে যেতে চাই না, সেইখানে যতোগুলি হুরিই নাচুক আর মিঠাপানির ঝরনাই কলকল করে বহুক আর খাজুরের বাগানে খাজুরই পাকুক। পশ্চিমে আমরা পাঁচবার মাথা ঠুকি, তাতে কোনো কাজ হয় না; আর পশ্চিমারা আমাদের পথ দেখায়, তাতে কাজ হয়–আর কতোকাল যে দেখাইবো; এইখানে আমাদের পশ্চিমাদের দেখানো পথেই চলতে হবে আরো কতোকাল যে চলতে হইবো। এবিসি বিবিসি সিএনএনে মাঝেমাঝেই দেখি খুনি মাফিয়া ধর্ষণকারীর সাক্ষা কার নেয়া হচ্ছে, খুব ভোলামেলা কথাবার্তা, খুনিরা মাফিয়ারা ধর্ষকারীরা মন খুলে একের পর এক সত্য কথা বলছে (আমাগো রাজনীতিবিদেরাও এতোটা মন খুইল্যা কথা বলেন না), কেনো খুন করলো একটার পর একটা ধর্ষণ করলো বলিভিয়া। নিকারাগুয়া থেকে ড্রাগ চালান দিতে গিয়ে কতোজনকে সরিয়ে দিতে হলো, সব বলছে; কিন্তু টিভির পর্দায় তাদের মুখ দেখানো হচ্ছে না, মুখের ওপরে একটা শাদা বা কালো। চলন্ত ঢাকনা সব সময় ছড়িয়ে রাখা হচ্ছে–এটা সাংবাদিক নৈতিকতা, তারা সত্য বের করবেন, কিন্তু সত্যবাদীদের ধরিয়ে দেবেন না, সত্য বের করা তাদের কাজ, ধরিয়ে দেয়া তাদের কাজ না। এইসব বুদ্ধি পশ্চিমা ইহুদি কাফেরদের মগজেই আসে; আমরা এতে সত্যটা জানতে পারি, সত্যগুলো যারা ঘটায় শুধু তাদের মুখ দেখতে পাই না। মুখ দেখার দরকার নেই; মুখ দেখা আসল কথা না, আসল কথা হচ্ছে সত্য; সত্য দেখা, সত্য জানা।
এই পদ্ধতিতে কিছু সত্য আমরা প্রকাশ করতে চাই।
এক রাজবংশের কখ (এটা হচ্ছে নামের ওপর শাদা ঢাকনা, এর পরেও এমন ঢাকনা আরো ব্যবহার করা হবে) মোল্লা (এই বংশপরিচয়ও ঢাকনা, এর পরেও এমন ঢাকনা আরো ব্যবহার করা হবে), গঘ চাকলাদার, গুচ মিয়া ও আরো কয়েক নেতা তাঁদের প্রধান ক্যাডারদের সাথে বসেছেন, দেশের পাঁচ বিভাগের পাঁচতারা ক্যাডাররা তাতে যোগ দিয়েছে, তারা তাদের কর্মপদ্ধতি বুঝিয়ে দিচ্ছেন।
কখ মোল্লা বলেন, এইবার কি স্ট্র্যাটেজি নিতে হইবো, তা তোমরা নিচ্চয়ই বুঝতে পারতেছে; উইপন থাকবো, কিন্তু উইপনের ইউজ হইবো না।
এক ক্যাডার জিজ্ঞেস করে, কিন্তু যদি ফেইল্লা দেওনের একশো পার্ঘেন্ট দরকার হইয়া পড়ে, তখন কি করুম, স্যার?
গঘ চাকলাদার বলেন, তখন বুইজ্যাশুইন্যা কারবার করবা; তবে মনে রাখবা এইবার ফেইল্লা দিলে ইমেজ নষ্ট হইয়া যাইবো।
এক ক্যাডার বলে, আমার জামার তলে যখন কাটারাইফেল থাকে, তখন আমার বুইজ্যাশুইন্যা করনের কিছু থাকে না; ওই রাইফেল নিজেই বুইজ্যাশুইন্যা কাম করে।
কখ মোল্লা বলেন, মাথাডাও একটু খাটাইতে হইবো, খালি উইপন দিয়া ত পলিটিক্স হয় না, মাথাডাই হইলো আসল উইপন।
ঙচ মিয়া বলেন, তোমরা হইলা আর্মির মতোন, আর্মি যেমুন ডিসিপ্লিন মাইন্যা চলে তোমরাও তেমুন ডিসিপ্লিন মাইন্যা চলবা; যখন তোমাগো ফেইল্লা দিতে বলা হইবো। তখন ফেইল্লা দিবা, আবার যখন জনগণরে স্যাবা করতে বলা হইবো, জনগণের পায়ে হাত দিয়া তাগো মন জয় করতে বলা হইবো, তখন পায়ে হাত দিয়া মন জয় করবা। এইবার হাতেপায়ে ধরতে হইবো, দেখতে পাইতেছে না আমরা দিনরাইত হাতে পায়ে ধরতেছি।
এক ক্যাডার জানতে চায়, ইনভার্সিটির হলগুলিতেও কি আমরা হাতেপায়ে ধইর্যা চলুম, ছাইড়া দিতে বললে ছাইড়া দিমু?
গঘ চাকলাদার শিউরে ওঠেন, থরথর করে কেঁপে চিৎকার করে ওঠেন, না, না,; তা করবা না; ইনভার্সিটি হইলো আসল বাঙলাদ্যাশ, ওইটা দখলে থাকলে বাঙলাদ্যাশও দখলে থাকবো। হলের একটা কোণাও ছাড়বা না।
চমৎকার খুব ভাল লাগলো