ওই নীচে অন্ধকার ভূখণ্ডে আরও কত কাহিনি রচিত হচ্ছে, যার সবটুকু শেষ হওয়ার নয়। জীবনের অনেকটা বাকি থাকতে থাকতেই অনেকে খেলার মাঠ ছেড়ে চলে যাবে। দেনা-পাওনার হিসেব মিলবে না। এই খেলার একজন খেলুড়ি তো সেও। কারও জন্যই তার দুঃখ করার কিছু নেই।
তবু বুকের মধ্যে মৃদু ঢেউ। দোল দিচ্ছে। ঘা মারছে। বলছে, কপাট খোলো।
উত্তরে এই অন্ধকারে কিছুই দেখা যায় না। পাহাড়ও বহু বহু দূর। তবু দীপনাথ টের পায়, স্বদেশ নয়, শেষ পর্যন্ত এক মহা পূর্বতই কোল পেতে বসে থাকবে তার জন্য। যেদিন তার কোলে যাবে দীপনাথ, সেই দিন পরম পিতার মতো সেই পাহাড় নিজের তুষারপের পরতে পরতে দীপনাথকে মিশিয়ে নেবে। আদরে সোহগে। দুঃখ, দৈন্য, দুর্দশা, অপমান, স্মৃতিভার থেকে শীতল মুক্তি।
কাগজের ন্যাপকিনটা হাতে ধরা ছিল দীপনাথের। সন্তর্পণে সেইটে তুলে দু’চোখের কোল মুছে নিল।