তবে মালাউনদের দু-একদিন সময় দিতে পারি, একটু দয়া করতে পারি।
যদিও আন্দোলন আমাদের আজই করতে হবে, আন্দোলন কাজ করতে আমরা পারি না, দয়া ক’রে ওদের একটু সুযোগ দিতে পারি। কী সুযোগ দেবো? গতকাল রাতে আমার জিহাদিদের সঙ্গে আমি আলাপ করেছি, তখন ভিডিওতে এক্সএক্সএক্স চলছিলো, ডেঞ্জারাস জিনিশ, লাস্ট ফর ডগ্জ্, তারপর ইন্ডিয়ান জিফনিশ–এখন আমরা আর ফ্যাটফ্যাটে শাদা বেহায়া বেলেহাজ মেয়েগুলোর চোষাচুষি, পাছা মারামারি, ডাবল ট্রিপল স্ক্রু মারা দেখে এক্সাইটেড হই না, অনেক দেখেছি, সবই একই রকম, রাবিশ, পানসে, আমাদের পছন্দ মালাউন গুড্স্, সাউথ ইন্ডিয়ান আর মুম্বাইর–ইন্ডিয়ান এক্সএক্সএক্স দেখে আমরা সঙ্গে সঙ্গে খাড়া হই, শাদা মাইয়াগুলো দেখলে হই না, ওইগুলোর দেহে কোনো স্বাদ নেই, ওগুলো ব্লাডার ও পাম্পারের অটোমেটিক মেশিন; ওগুলো দেখতে দেখতে আমাদের মনে পড়ছিলে দুৰ্গা, বকুলমালা, কণকলতা, সরস্বতী, রমা, সীতা, উৰ্মিলা, মাধুরী, শুভঙ্করী, কৃষ্ণকলি, আর কী কী যেনো ওদের নাম, সেই ডবকা মেয়েগুলোকে, যদি ওদের এবং আরো কয়েকটিকে পাই, একা আমি পেলে তো হবে না, তালেবান মোঃ হাফিজুদ্দিন, জিহাদি মোঃ কেরামত আলি, জিহাদি মোঃ মোস্তফা, জিহাদি মোঃ আকবর আলিকেও ভাগ দিতে হবে, তাহলে মালাউনদের কয়েকটি দিন দিতে পারি, কয়েকটি দিন।
জিহাদিদের একটি মহান গুণ হচ্ছে তারা মালাউন মেয়ে পছন্দ করে।
আমিও করি, ওদের একটু খেলাতে পারলে ওরা উর্বশীদের মতো নাচে; আমার জিহাদিরা অবশ্য নাচটাচ পছন্দ করে না, ওরা ঢুকতে বেরোতে পারলেই শুকরিয়া আদায় করে। এতে প্ৰধান প্রতিভা তালেবান মোঃ হাফিজুদ্দিন, ও হয়তো ফেরেশতাদের কাছে থেকে বিশেষ কোনো হালুয়া লাভ করে; তবে মোঃ কেরামত আলি, মোঃ মোস্তফা, মোঃ আকবর আলিও কম যায় না, এটা আমি পছন্দই করি, জিহাদে কোনো কম যাওয়া-যাওয়ি নেই, তাতে জোশ কমে যায়। ওরা যখন একেকটি মালাউন মেয়ের ওপর চড়ে, তখন ওরা মনে করে ওরা একেকটি নাছারা নগর ধ্বংস করছে, যার নির্দেশ রয়েছে। আমি আশ্চর্য হই, ওরা রুহুল্লা খোমেনির কিছুই পড়ে নি, কিন্তু চিন্তা ও কর্মে তাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
মালাউন মেয়েগুলোর গন্ধ আমার ভালো লাগে, ব্ৰাহ্মণ হোক আর চাঁড়াল হোক আর কৈবর্ত, যাই হোক, ওগুলোর গন্ধ ভালো, একটা তীব্ৰ প্ৰচণ্ড দমবন্ধ করা মহাপার্থিব গন্ধ ছুটে আসে। ওদের স্তন থেকে, বগলের পশম থেকে, উরু থেকে, ওদের কুঁচকির ঘামেও অদ্ভুত সুগন্ধ; হয়তো গাদা তুলসি রক্তজবা পদ্ম, বকুল শেফালি গন্ধরাজ ফুলের সঙ্গে ওদের একটা সম্পর্ক আছে বলে, আর ওরা ক্ৰীড়া করেও ভালো, মনে হয় ওদের প্রত্যেকেরই কামসূত্র মুখস্থ; এমনকি কৈবর্ত মেয়েগুলোর গন্ধও আমাকে পাগল করে, আমি কৈ আর গজার মাছের গন্ধ পাই, মনে হয় পুকুরে ডুব দিয়ে কাদার ভেতর থেকে মাছ ধরছি।
ওই সময়টায় সবাই আমাদের অসামান্য কর্মকাণ্ড সবাই দেখেছে, কিন্তু কেউ একটু টু শব্দ করার সাহস পায় নি; তখন অবশ্য আমরা একসঙ্গে কাজ করেছি।
আমাকে ছুটে চলতে হয়েছে আমার মদিনাদুন্নবি থেকে, রিয়াদ, কান্দাহার, বাগদাদ, তিকরিত, বসরা প্রভৃতি অঞ্চলে–এই অঞ্চলগুলো আমাদের সাংকেতিক নাম, সব মহান কাজেই প্ৰথম সাংকেতিক নাম লাগে, সিম্বল লাগে। তখন একটা অসামান্য মজার সময় এসেছিলো, তখনই আমরা আমাদের শক্তিটাকে পাথরের মতো করে তুলি, যে পাথর আমাদের দিল ছাড়া আর কোথাও পাওয়া যাবে না। নির্বাচনটিাৰ্বাচনে, ইলেকশনটিলেকশনে, আমরা বিশ্বাস করি না, ওটা আমাদের পাক ধর্মে নেই, তবু আমরা অংশ নিয়েছি মেইন পার্টির সঙ্গে; মেইন পার্টির কর্মী আর আমাদের ওপর দুটি নির্দেশ ছিলো, ভোটের দিন মালাউনদের বাড়ি থেকে বের হতে দেয়া হবে না; আর জানতামই যে আমরা জিতবো–আমাদের নেতারা ওপরের দিকে সব কাজ চমৎকারভাবে ক’রে রেখেছিলেন, তত্ত্বাবধায়কদের তারা তত্ত্বাবধান করছিলেন; আমরা জানতাম জিতবোই; জেতার পর আমাদের কাজ ছিলো একদিন চুপ করে থাকা, তার পরের দিন থেকে মালাউন আর তাদের দালালদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়া। ঝাঁপিয়ে পড়া শব্দটি ঠিক হলো না, আমাদের কাজ ছিলো শান্তির ঠাণ্ডা আগুন জ্বালানো, যা জ্বলে না, দহন করে।
আমার ভাগে পড়েছিলো মালাউনরা; আমিই বেছে নিয়েছিলাম।
আমি আমার জিহাদিদের আর মেইন পাটির জোয়ান খিলজিদের নিয়ে প্রথম ১৮টি মালাউনপল্লী চিহ্নিত করি–সীতারামপুর, হরিরামপুর, মদনগঞ্জ, মদনপুর, ব্ৰাহ্মণভিটা, কালীগঞ্জ, আর কী কী যেনো নাম–ওই নামগুলোকেও বদলে দিতে হবে; এবং বেশ আগে থেকেই কাজ শুরু করি। আমরা ভালো ক’রেই জানি ওরা কাফের, ওরা কাফেরদের বাক্সে ভোট দেবে; ওদের ভোট দেয়া চিরকালের জন্যে বন্ধ করে দিতে হবে। ওরা ভোট দেবে কেনো; ওরা দেবে জিজিয়া কর, ওরা আমাদের জিম্মি, আমরা ওদের রক্ষা করবো, তার জন্যে। ওরা কর দেবে।
আমি এ-ব্যাপারে সম্রাট আওরঙ্গজেবকে আদর্শ মনে করি।
আমরা তাদের পাড়ায় পাড়ায় যাই, আমাদের দেখেই তারা কেঁপে ওঠে। সালাম দিয়ে আমরা তাদের বাড়ি উঠি, তারা নমস্কার’, ‘আদাব’ বলে ব’লে মুখে ফেনা তুলে ফেলে, সবচেয়ে উৎকৃষ্টভাবে বলে, ‘আচ্ছালামুয়ালাইকুম’।