ওরা অনেকেই এক সঙ্গে কয়েক হাজার দেখে নি।
আমি কিছু সোনার হার, আংটি, লকেটও কিনে রেখেছি; যারা আমাকে বেশি সুখ দেয়, বেহশতের স্বাদ দেয়ম তাদের খনিতে আমি ধীরেধীরে দামি সোনার হার, আংটি, লকেট ঢুকিয়ে দিই, ফ্র্যাংক হ্যারিস নামে এক অতিশয় মহাপুরুষের অকপট আত্মজীবনী পড়ে আমি এটি শিখেছিলাম, তাদের টেনে বের করতে বলি; তারা টেনে বের ক’রে সুখে তা গলায় আঙুলে পরে।
তাই আমি ঠিক ধর্ষণ, বলাৎকার, বা জেনা করি না, পেয়ার করি, প্ৰেম করি; যেমন দিল্লির বাদশারা, বাগদাতের সুলতানরা, তুরস্কের সুলতানরা করতো; হয়তো তাদের থেকে একটু বেশি রাজকীয়ভাবেই করি, যদিও আমার রাজত্ব ও দিনার নেই, কিন্তু আমি প্ৰেমকলা শিখেছি। বাৎস্যায়নের থেকেও ভালো। আমার সঙ্গে যারাই ঘুমিয়েছে, আমার সাম্যবাদ সর্বাহারার যুগের পর, তারা সবাই তা স্বীকার করেছে, আবার আসতে চেয়েছে।
বিজয়ের পর আমাদেরও উৎসব আছে, প্ৰাপ্য আছে।
আমাদের প্রাপ্য উর্বশী, রম্ভা, আর উর্বশী-রুম্ভার থেকেও যা সুন্দরী ও সেক্সি ও সেক্সাইটিং, মেরেলিন ও সুচিত্রার সংমিশ্রণ, সেই অজর অমর টাকা, যাতে খোজাও দিনরাত রতিতে মত্ত থাকতে পারে, খোজারও সর্বাঙ্গে অজস্র দৃঢ় শিশ্ন বিকশিত হয়, সেই চিরকামবেদনময়ী, অনন্তযৌবনা, কামদেবী, যার আছে অজস্র পীনোন্নত স্তন ও মধুময় যোনি, ও প্রশস্ত নিতম্ব–টাকা, সোনারুপো, যা ৭০ বিলিয়ন ছওয়াবের থেকেও আকর্ষণীয়; একদিন পাবো বাড়িঘর, যাতে আমরা পবিত্ৰ গাৰ্হস্থ্য জীবন যাপন করবো, ধর্মকর্ম করবো, মক্কা-মনোয়ারায় যাবো। টাকার মতো শাহেরজাদি আর হয় না; সে সহস্র একরােত নয়, লক্ষ লক্ষ দিনরাত ভরে চাঞ্চল্যকর গল্প বলে; তার গল্প চলে ঢাকা থেকে ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, দুবাই, লন্ডন, নিউ ইয়র্ক, মুম্বাই, সোনারগাঁও, শেরাটনে।
ঠাণ্ডা আগুন এখনো আমরা থামিয়ে দিই নি, ঠাণ্ডা আগুনের থেকে গরম আগুন আর নেই; এর মাঝে ওরা অনেকেই ওদের আপনি দেশে চলে গেছে, কিন্তু ঠাণ্ডা আগুনে পোড়া দাগ কোনো দিন। সারবে না।
আমার মদিনাতুন্নবি এলাকার অনেককেই খবর দেয়া হয়েছে।
কাশিনাথপুরের শ্ৰীধর দাস এসেছিলো পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে। এক সময় এই টাকা পেলে আমি পাগল হয়ে যেতাম, মজনু হয়ে যেতাম, এখন এগুলোকে মনে হয় ভিক্ষুকের ভাঙা থালের ওপর পড়ে থাকা কয়েকটি কানা পয়সা। তার ওপর থুতু ছিটোতে ইচ্ছে করে, ছিটাই।
শ্রীধর বলেছিলো, ‘এই ট্যাকাডা নেন, হুজুর, আমার মায়াডারে নষ্ট কইরেন না, আমার মাইয়াডা ফুলের মতন।’
এটা বেশ অদ্ভুত, মালাউনরা সবাই তাদের মেয়েদের ফুলের সঙ্গে তুলনা করে। ব্যাটারা ধর্ম ও বিজ্ঞান কিছুই জানে না; ফুল যে গাছের যোনি ও শিশ্ন, এটা ওরা জানে না; আমি জানি; তাই ফুলই তো আমি পছন্দ করি। আমি ওকে এসব বোঝাতে যাই নি, কোনো দরকার নেই; আমার যা দরকার, তা পেলেই আমি তৃপ্ত:–কয়েকটি সুন্দর সুগন্ধি রঙিন তীব্ৰ পুষ্প।
আমি বলেছিলাম, ‘দ্যাখ, ফুলই তা আমি পছন্দ করি, ফুলের সুগন্ধ নেয়ার কথা আমাদের ধর্মে আছে, তোমাদের মালাউন কবিই তা অনুবাদ করেছে–যদি জোটে দুইটি পয়সা ফুল কিনো হে অনুরাগী।’
শ্ৰীধর বলেছিলো, ‘আমার মাইয়াডারে আপনে নষ্ট কইরেন না, হুজুর, ট্যাকাডা নেন, আমারে বাঁচান।‘
আমি বলেছি, ‘একরােত থাকলে সে নষ্ট হবে না, ফুল আমি নষ্ট করি না, ফুলের সুগন্ধ নিই, আর মালাউন ফুল আমার পছন্দ, তোমাকে কথা দিচ্ছি। কেউ জানবে না, তোমার মেয়েটা নষ্ট হবে না, পরে হয়তো সেই আমার কাছে বারবার আসতে চাইবে, নইলে সবাই জানবে, তোমার মেয়েটা নষ্ট হয়ে গেছে।‘
শ্ৰীধর বলেছিলো, ‘তাইলে আর পঞ্চাশ হাজার দেই হুজুর, মাইয়াডারে ক্ষেমা কইর্যা দ্যান, অরে ইন্ডিয়া পাডাই দিমুনে।’
আমি বলেছি, ‘তিন লাখ, আর এক রাত লাগবে শ্ৰীধর, তোমার মেয়েকে আমি ধর্ম শিখাবো, বিছমিল্লা ব’লে ছহবত করবো, কোনো ক্ষতি হবে না, চাইলে তোমার মেয়েটাকে মুছলমানও বানিয়ে দিতে পারি; কালই লাগবে, নইলে মেয়েটাকে তুমি বিলে পাবে, তখন আমি একলা করবো না। আর তুমি কি মনে করো ইন্ডিয়ায় আমার থেকে ভালো পুষ্পানুরাগী আছে?’
শ্ৰীধর বলেছিলো, ‘হুজুর, আপনের পায়ে পড়ি।’
কিন্তু শ্ৰীধর ও তার মেয়ে দুৰ্গা আত্মহত্যা করে আমার বেশ ক্ষতি করে, আর থানার অসি আর দারোগাগুলোর উপকার করে যায়।
ওই বাঞ্চতের পুত্রের আর তার পাছাভারি চিকন কোমরের মেয়েটির বিষ ওয়ার কি দরকার ছিলো; বিষ কি আমার খৎনাকরা হুজুরের থেকে উত্তম? মালাউনদের বিশ্বাস করা অসম্ভব, আর করবো না। দুর্গার ওপর অসিটারও চোখ পড়েছিলো, কয়েকবার শ্ৰীধরের বাড়িতেও গেছে; কিন্তু তার গোটা পাঁচেক চাকরানি আছে, আর সপ্তাহে সপ্তাহে নতুন নতুন চাকরানি আসে, সে কচি মেয়েদের থেকে কচি টাকার ওপর চড়তেই বেশি পছন্দ করে; তার কোনো ক্ষতি হয় নি, লাখ দুয়েক সে আদায় ক’রে নিয়েছে, ক্ষতি হয়েছে আমার।
তাই অসিটিকে একটু দেখিয়ে দিতে হয়েছে, জামাঈ জিহাদে ইছলামের হুজুরকে ছেড়ে সে কীভাবে দু-লাখ হজম করে? এখন সে আমার পিছে পিছে ঘুরছে, চাকুরটিও নেই; পঞ্চাশ লাখ ছাড়া ওর কোনো ভবিষ্যৎ নেই।
আজ ও আগামীকাল আমাদের কর্মকাণ্ড
দেশের দশটা জায়গা জুড়ে আজ ও আগামীকাল আমাদের কর্মকাণ্ড; একযোগে আমরা কাজ করবো দিনাজপুর, ঠাকুরগাও, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, বরিশাল, ভোলা, মাইজদি, লালমনিরহাঠ, নারায়ণগঞ্জ, আর আমার মদিনাতুন্নবি অঞ্চলে–এক সঙ্গে আমরা জিহাদ শুরু করবো।