হোসেনপুরে আগে দুর্ধর্ষ শেখ ছিলো আগের মেইন পার্টির কুদরত মোল্লা।
সে চেয়ারম্যান ছিলো, এবং সব ছিলো; আসি তার পা ধরে সালাম করতো, ইউএনও তাকে ‘স্যার’ বলতো, সে থুতু খেতে বললে ইউএনও আর অসি থুতু চাটার জন্যে কামড়াকামড়ি করতো। কিন্তু এখন কোথায় সেই কুদরত মোল্লা? কেউ চিরকাল থাকে না, এটাই ইতিহাসের কৃতঘ্নতা।
খিলজি ছৈয়দ মোঃ ছব্দর আলি বন্টু প্ৰথম তার বাড়িতে আগুন লাগায়, তার গুণ্ডা ছেলে দুটির লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেয়, বউটাকে পুড়ে মারে, কুদরত মোল্লাকে অবশ্য পাওয়া যায় নি, কিন্তু পাওয়া যায় তার একটি কিশোরী ও একটি যুবতী মেয়েকে; তাদের সে একা ছহবত করে নি, একশো জন মিলে ছহবত করে, পরে তাদের বিলে ফেলে দেয়। একটুকু দয়া সে করেছে, বিলে ফেলে দিয়েছে; ছহবতের পর পুড়িয়েও ফেলতে পারতো।
খিলজি ছৈয়দ মোঃ ছব্দর আলি বন্টু মেইন পার্টির, ব্যাটা একটু গাধাও, কোনো ট্যাক্ট জানে না; একদিন বুঝতে পারবে ট্যাক্ট ছাড়া কাজ করলে কী ফল পেতে হয়। আমি ট্যাক্ট শিখেছি ইতিহাস থেকে, ও শেখে নি।
আমার কষ্ট হয় খিলজি ছৈয়দ মোঃ ছব্দর আলি বন্টুর জন্যে; ও হয়তো একদিন অন্য কোনো খিলজির হাতেই শেষ হয়ে যাবে; ও অন্য খিলজিদের কিছু দেয় না, ও জানে না। শুধু যোনিতে পেট ভরে না, টাকাও লাগে। টাকাগুলো সবই ছব্দর আলি ঘরে তুলছিলো, আর তার খিলজিরা ধাতু খরচ করে করে ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলো; টাকা ছাড়া যে ধাতু উৎপন্ন হয় না, এটা সে বুঝতে পারে নি; সে ধর্মের কোনো বই পড়ে নি:–শুনেছি। এর মাঝেই তার একটি চোখ ওপড়ানো হয়ে গেছে, খিলজিরাই উপড়িয়েছে, যদিও নাম দেয়া হচ্ছে শেখদের।
আমার পছন্দের উর্বশীরা কুমারী।
আসলে তারা সেই কাজ করেছে কি না জানি না, মালাউনগুলো কি না করে পারে? এটাই তো ওদের প্ৰিয় খেলা। তবে বিয়ে হয় নি, আর সতীচ্ছদের ও বিছানায় রক্তপাতের প্রতিও আমার মোহ নেই; আমি তো সতীচ্ছদ ভাতে মেখে খাবো না, আর অনেক রক্ত আমি দেখেছি, একটুখানি পর্দা ছেড়া রক্ত দেখার জন্যে আমার কোনো সাধ নেই। দেহখানি, স্তনগুচ্ছ, আর মুখখানি সুন্দর হ’লেই হয়, আমি যোনি নিয়ে সতীচ্ছদ নিয়ে মাথা ঘামাই না; আমার মাথার ঘাম পায়ে ফেলার অজস্র কর্মকাণ্ড রয়েছে।
তাদের পিতারা মাথা নিচু ক’রে থাকে, এটা অভিনব কিছু নয়। নিচু মাথাই আমি পছন্দ করি, এতে আমি আমার মহিমা পরিমাপ করতে পারি। নিজের সামনে অন্যের নিচু মাথা দেখলে আমার মাথাটি আকাশে ঠেকে।
পিতাদের বলি, ‘আপনাদের জানমাল আমার হেফাজতে, আপনাদের একটুও ক্ষতি কেউ করতে পারবে না, আপনাদের টাকা পয়সাও নেবো না।’
তারা এসে পায়ে পড়ে, বলে, ‘হুজুর।’
আমি একেকজনের জন্যে একেকটি দিন ঠিক ক’রে দিই।
কমলাকলি, মৃণাল, মাধুরীলতা, দ্ৰৌপদী, সুবৰ্ণলেখা, রাজলক্ষ্মী, মায়ারাণী, চম্পাবতী, মঞ্জরাণী ধরনের নাম তাদের; তাদের দেখার সময়ই আমি সুগন্ধ পাই, তারা জিনিশ খুবই ভালো, সোভানাল্লা। মঞ্জরাণীটা আবার এমএ পাশ, শুনেছি চাকুরির নামে শহরে খানকিগিরি করে, চাকুরিও করে, এতে আমি দোষ দেখি না একটু বাড়তি আয়ের ব্যবস্থা সবারই থাকা দরকার; একটা এমএ পাশ জিনিশ চাখার ইচ্ছে আমার অনেক দিনের, ওইটিকেই আমি প্ৰথম অপয়েন্টমেন্ট দিই। কিন্তু দেখি পাশ হ’লেই জিনিশ ভালো হয় না।
পিতাদের বলি, ফজরের আগেই একেকজনকে আমার গোলাপ-ই-সাহারায়, পৌঁছে দিতে হবে, কেউ জানবে না। সম্ভবত আরব্যরজনীর অমর কাহিনী আমার মাথায় তখন কাজ করছিলো, তবে ফজরে গর্দান নেয়ার বা রাতে শাহেরজাদির গল্প শোনার কোনা ইচ্ছে আমার ছিলো না; কাজ না করে রাতভর যে গল্প শোনে সে অবশ্যই সন্ট্রপিড, আর এটা গল্প শোনার যুগ নয়, আইয়ামে জাহেলিয়াতের সময় বাদশারা গল্প শুনতো, এখন গল্প সৃষ্টি করে, ভিডিওতে তা অক্ষয় ক’রে রাখে; আমি অবশ্য পর্নোভিনেতা হতে চাই না।
উর্বশীদের পিতা হওয়ার জন্যে তারা আমার কাছে থেকে বিশেষ সুবিধা পায়, দু-একটি গ্রাম তাদের আমি দান করতে পারি না, তবে তাদের টাকা পয়সা নিই না, বাড়িঘর জমি দখল করি না; এটা তাদের প্রাপ্য; এজন্যে তাদের আমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকার কথা।
তবে ইহুদি ও মালাউনরা কবে কৃতজ্ঞ থেকেছে, ওরা মোনাফেক।
ওই মালাউন উর্বশীগুলো আমাকে অপছন্দ করে নি।
আমি তাদের সুখ দিয়েছি, জিহাদিদের মতো আমি পুরোপুরি বর্বর বেদুয়িন হয়ে উঠতে পারি নি, তারাও আমাকে সুখ দিয়েছে; তাদের ঘরবাড়িগুলো আমি বঁচিয়েছি। ঘরবাড়ি বড়ো, না দেহের একটু ছোট্ট জায়গা বড়ো? আমি অবশ্য একটু ছোটো জমিতে, এককাঠা জমিতে, চাষ করতে পছন্দ করি না। আমি চাষ করি। সারা দেহজমি ভ’রে, এটা তারা পছন্দ করে, সোভানাল্লা। ছেলেবেলায় দেখেছি বাবা যখন জমি চাষ করাতো, একবারেই পুরো জমি চাষ করাতো; আমারও সেটা ভালো লাগতো, একপাশ চাষ ক’রে বাকিটা ফেলে রাখা বাবা সহ্য করতে পারতো না, আমিও পারতাম না।
আমার একটি প্রিয় অভ্যাস হচ্ছে ছহবতের পর তাদের কিছু উপহার দেয়া।
আমার মধ্যে একটি আরব্যরজনীর হারুনর রশিদ বাস করে।
যদি এখন সোনার দিনার আশরাফির চল থাকতো, তাহলে আমি ছহবতের পর তাদের অমৃতনির্ঝর সোনার খনিতে কয়েকটি দিনার আশরফি ঢুকিয়ে দিতাম উপহার হিশেবে, যাতে আমাকে তারা চিরকাল মনে রাখে; স্তনে দুটি স্বর্ণমুদ্রা গেঁথে দিতাম, যাতে ওখানে আমি চিরকাল থাকি। এখন যা চলে, তা ঢোকানো যায় না; তাই আমি তাদের কয়েক হাজার করে দিই, তারা খুশি হয়।