তারা বলে, ‘হুজুর, আপনের দয়া।’
আমি বলি, ‘আপনারা কি রকম আগুন পছন্দ করেন? ঠাণ্ডা না গরম?’
খুব ভয় পায় ওরা, এতো ভয় পায় যে ওদের মুখে ভয়ের চিহ্ন দেখাতেও ভয় পায়; কারো মুখে ভয় দেখলে আমি পুলক বোধ করি।
তারা বলে, ‘হুজুর, আপনের কতা বুজতে পারতেছি না, একটু বুজাই বলেন। ঠাণ্ডা আগুন আবার কেমুন?’
আমি বলি, ‘ঠাণ্ডা আগুন শীতল, নিঃশব্দ, কেউ বুঝবে না যে পুড়ে গেছে, পুড়ে যাওয়ার পরও আগের মতোই সুন্দর দেখাবে।’
তারা কথা বলে না, ঠাণ্ডা আগুনে পুড়তে থাকে।
আমি বলি, ‘আমার জিহাদিরা এসেছে একটু বিজয় উৎসব করার জন্যে, বিজয়ের পর উৎসব করার নিয়ম আছে, আপনারা জানেন, তাদের একটু উৎসব করতে দিন।‘
তারা বলে, ‘হা, জয়ের পর ত উৎসব করতেই অয়। তাইলে আমরা বাইদ্যকরগো লইয়া আহি।‘
আমি বলি, বাদ্যকর লাগবে না, জিহাদিরা একটু উৎসব করবে, একটু দোল যাত্রা আর ঝুলন পূর্ণিমা করবে, বাধাটাধা দিয়েন না, তাহলে পাঁচ দশটা লাশ পড়বে, আর আপনাদের মেয়েদের জিহাদিরা ধর্ষণ করেছে, এটা জানাজানি হ’লে আপনারা মুখ দেখাতে পারবেন না।’
তারা বলে, ‘হুজুর, আমাগো মাফ করেন, আমাগো ট্যাকপিয়সা যা আছে লইয়া যান, খালি আমাগো মাইয়াগুলিরে। মাফ করেন।’
আমি বলি, ‘জিহাদিরা ধর্ষণ করবে না, জেনা করা হারাম, তারা বিছমিল্লা বলে একটু ছহবত করবে, তাতে গুনাহ হবে না।’
তারা কাঁদতেও ভুলে যায়, পায়ে পড়তেও ভুলে যায়। তারা তাদের টাকা পয়সা সোনারুপো এনে জড়ো করে আমাদের সামনে, জিহাদিরাও খুঁজে বের করে নানা বিস্ময়কর স্থান থেকে। মালাউনগুলো জিনিশপত্ৰ লুকোতেও দক্ষ, তাই আমরা হই দক্ষতার; হয়তো ওরা মেয়েদের নরম ফাঁকে ফাঁকে আর নিজেদের পাছায়ও জিনিশপত্র লুকিয়ে রেখেছে। তাই প্রতিটি গর্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
আমি তাজ্জব হই জিহাদিদের পিস্তলের শক্তি দেখে।
তারা একের পর এক পিস্তল চালাতে থাকে।
বাপমায়ের সামনেই, কেউ কেউ মেয়ের পর মাকে, মায়ের পর মেয়েকে পরখ করে; আমরা কোনো তাণ্ডব করি না, আমার জিহাদিরা পাড়ায় পাড়ায় ঠাণ্ডাক্স আগুনের মতো জ্বলতে থাকে, ঠাণ্ডা আগুনের মতো আর কোনো আগুন নেই, ওই আগুন ছাই করে, কিন্তু পোড়ে না, তার শিখা দেখা যায় না। পাড়ায় কোনো তাণ্ডবের শব্দ ওঠে না, বরং একটু বেশি নিঃশব্দ হয়। ঠাণ্ডা আগুনে তারা জ’মে যায়, তাই নিঃশব্দ হওয়াই ছিলো স্বাভাবিক।
একটু অসুবিধা হয়ে যায় আমার দশ জিহাদিকে নিয়ে।
কিন্তু তারা জিহাদি, পাক বিজয়োৎসব করতে এসেছে, আমি বাধা দিই না; আমার ইতিহাসের নানা অধ্যায় মনে পড়ে, একে আমি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ব’লেই গণ্য করি; এবং এক্সএক্সএক্স দেখতে দেখতে ইতিহাসকে রিওয়াইন্ড ও রিপ্লে করতে আমার বেশ লাগে। আমার দশ জিহাদি ইতিহাস রিপ্লে করতে চায়, আমি বাধা দিয়ে ওদের বিজয়ের আনন্দ মাটি করতে পারি না।
ওদের দশজনেরই পছন্দ হয় দশ বছরের একটি বালিকাকে, ঠিক ছোটো এক সুচিত্রা সেনকে; ওরা একসঙ্গে তার ওপরে বাঁপিয়ে পড়তে চায়। ওরা অবশ্য সুচিত্রা সেনকে দেখে নি, দেখেছে মাধুরী দিকষিতকে, তাই একটু বেশি উত্তেজিত হয়; আমি দেখি এক বালিকা সুচিত্রাকে, বালিকাটি তরুণী সুচিত্রা সেন হ’লে ‘অগ্নিপরীক্ষা’র শেষ দৃশ্যের উত্তমের মতো আমিই জড়িয়ে ধরতাম। সুচিত্রা সেনকে বাল্যকাল থেকেই আমি পছন্দ করি, তবে তার ওপর চড়ার স্বপ্ন আমি কখনো দেখি নি, শুধু বুকে লেণ্টে জড়িয়ে ধরে গালে গাল ঘষার গ্ৰীবায় একটু ঠোঁট রাখার স্বপ্ন দেখেছি।
মেয়েটির বাবা আর মা আমার পায়ে এসে পড়ে; বলে, ‘হুজুর, দশজন জিহাদি মাইয়াডার উপুর একলগে ঝাপাই পরছে।’
আমি বলি, কীভাবে ওরা করলে আপনারা খুশি হন?’
মেয়েটির মা বলে, ‘হুজুর, আমার মাইয়াডার মাত্র দশ বছর, আর অহনও রক্ত দেহা দেয় নাই, ও নাবালিকা, হুজুর।’
আমি বলি,’ রক্তের দরকার নেই, রক্ত আমরা অনেক দেখেছি।‘
মেয়েটির মা পায়ে পড়ে বলে, ‘মাইয়াডা মইর্যা যাইব, হুজুর।’
আমি বলি, ‘তাহলে জিহাদিরা কীভাবে উৎসব করবো?’
মেয়েটির মা বলে, ‘হুজুর, আমার মাইয়াডা কচি, আপনেরা একজন একজন কইর্যা যান, একলগে যাইয়েন না, হুজুর।‘
আমি জিহাদিদের লাইন করে দাঁড় করাই, বলি, জিহাদিরা, তোমরা একজন একজন করে যাও, বেশি সময় নিও না।’
লাইনের প্রথম জিহাদি মোঃ আল জমিরুদিনের বাড়িতে দুটি বিবি আছে, সে এক প্ৰচণ্ড শক্ত পুরুষ, তার পুরুষাঙ্গ হয়তো পিস্তলের থেকেও প্ৰচণ্ড। সে নিজেই মাথা থেকে পা পর্যন্ত একটি দণ্ডায়মান পুরুষাঙ্গ। তার ভাগ্য ভালো, লাইনে সে প্ৰথম, সেই প্রথম ঢোকে। ঢোকার কিছুক্ষণ পর মেয়েটির একটি চিৎকার শুনতে পাই, মনে হয় মেয়েটির ভেতরে হয়তো একটি কামান ঢুকেছে।
সে অভিজ্ঞ পুরুষ, তার বের হতে একটু সময় লাগে।
হয়তো সে সুযোগ বুঝে দুটি চান্স নেয়, কিন্তু আমি কী করতে পারি? তিনটি চান্স নিলেও আমার করার কিছু ছিলো না; জিহাদকে আমি বাধা দিতে পারি না।
তারপর একের পর এক জিহাদিরা ঢুকতে ও বেরোতে থাকে, বুঝতে পারি আগে থেকেই তারা টানটান ছিলো, ক্ষরণে সময় লাগে নি। মেয়েটির আর কোনো চিৎকার শুনি নি। মেয়েটি খুবই লক্ষ্মী।
শুধু আমার পায়ের নিচে বসে কাদছিলো মেয়েটির মা আর বাবা।