পবিত্রগৃহটির চারপাশে যারা আছে, তাদের মুখে পবিত্রতা দেখার খুব সাধ হচ্ছে রাশেদের। সে পবিত্র কিছু দেখতে চায়, অনেক দিন পবিত্র কিছু দেখে নি সে, কিছুক্ষণ আগে ট্রাকড্রাইভারদের মুখে, অভিনেত্রীদের স্তনের খাজে এতো অপবিত্রতা দেখে এসেছে যে পবিত্র কিছু না দেখলে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে। তার নিজের মুখটিকেও কি খুব পবিত্র দেখাচ্ছে? হয়তো দেখাচ্ছে না, সে অনেক পাপ করেছে, কিছুক্ষণ আগেই। পবিত্র মানুষকে ঘৃণা করে সে বুক অপবিত্র করে ফেলেছে, তাই তার মুখ পবিত্র দেখাবে না; কিন্তু অন্যদের মুখ পবিত্র দেখাবে না কেনো? রাশেদ যার মুখের দিকেই তাকাচ্ছে, তার মুখই খুব অপবিত্র মনে হচ্ছে, পাপের দাগ লেগে আছে মুখে মুখে, যদিও রাশেদ ঠিক করতে পারছে না কার মুখে লেগে আছে কোন পাপের দাগ। ওই দাগ কি মোছা যায় না? নাকি অনেক মোছার পরও এটুকু রয়ে গেছে? খুব বেচাকেনা চলছে, এ-কাজটিই সবাই করছে পবিত্রভাবে; রাশেদ হাঁটতে পারছে না, প্রত্যেক ঘর থেকে ডাক আসছে, রাশেদ সাড়া দিতে পারছে না বলে নিজেকে অপরাধী বোধ করছে। রাশেদকে নিশ্চয়ই খুব বোকা দেখাচ্ছে, প্রত্যেক দোকানিই ভাবছে সে কিছু কিনবে, যদিও তার কিছু কেনার নেই; পারলে সে আজ সব দোকানের সব কিছু কিনে কোনো ভাগাড়ে সেগুলো জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দিতো। ওই আগুনের ভেতর থেকে হয়তো পবিত্রতা বেরিয়ে আসতো। রাশেদ যা কিছুর দিকে তাকাচ্ছে, তাই মনে হচ্ছে অবৈধ, প্রতিটি পণ্যকে মনে হচ্ছে পাপ। পাপ পণ্য হয়ে দোকানে দোকানে জ্বলছে। ওপরেই পবিত্রগৃহ, রাশেদ দাঁড়িয়ে আছে পবিত্ৰগৃহের তলদেশে, পবিত্রগৃহের তলদেশে এসব কী? একটা টেলিভিশন-ভিসিআরের দোকানের সামনে দাঁড়ালো রাশেদ, দাঁড়াতে বাধ্য হলো, রঙ আর সুরের উন্মাদনা তাকে ঘা মেরে থামিয়ে দিয়েছে; ওপরেই পবিত্ৰগৃহ, একটি বোম্বায়ি নায়িকা পর্দায় মাংসের রঙিন উৎসব শুরু করে দিয়েছে, ওপরেই পবিত্ৰগৃহ, তার শত শত স্তন দুলছে, শত শত উরু দুলছে, শত শত নিতম্ব দুলছে, বাহু দুলছে, কাম। দুলছে, বিশ্ব দুলছে, পবিত্ৰগৃহ দুলছে। রাশেদ আর দাঁড়াতে পারছে না, সে পশ্চিম দিকে হাঁটতে লাগলো, বেরিয়ে যেতে হবে এখান থেকে, কাম থেকে, ক্ষুধা থেকে, পণ্য থেকে, তাড়াতাড়ি বেরিয়ে যেতে হবে। সে বেরোবে উত্তরের পথটিতে; উত্তরের পথের কাছাকাছি আসতেই দেখতে পেলো পথটি বন্ধ। রাশেদ ভয় পেয়ে গেলো। রাস্তার পুব। দিকে মঞ্চ, সেখান থেকে ওয়াজ করে চলছে একজন, হাজার হাজার টুপি আর পাঞ্জাবি আর মাথায় শাদা চাদর জড়ানো মানুষ তা শুনছে, চিৎকার করে উঠছে। ধার্মিকদের মাঝে রাশেদকে মানাচ্ছে না, তার মাথায় চাদর নেই টুপি নেই। ধার্মিকদের অনেকের হাতে লাঠি। দেশ থেকে সামরিক আইন উঠে গেছে হয়তো। না, এটা রাজনীতিক সভা নয়, এটা ইসলামি জলসা; কিন্তু যে-ওয়াজ করে চলছে, সে ধর্ম আর রাজনীতির সীমা মানছে না, ধর্মের সীমার বাইরে আর রাজনীতির সীমার মধ্যেই থাকতে পছন্দ করছে। দেশ থেকে কাফেরদের বিনাশ করে ফেলতে হবে, সে বলছে, মুরতাদদের গলা কাটতে হবে, সে ঘোষণা করে চলছে। সবাই আল্লাহু আকবর, নারায়ে তকবির বলে শ্লোগান। দিচ্ছে। সে বলছে, বাঙলাদেশ আমরা মানি না, একাত্তরে আমরা ভুল করি নাই, ধর্মনিরপেক্ষতার কথা যারা বলব তাগ গলা কাটতে হইব। সমাজতন্ত্রের কথা যারা বলব, তাগ গলা কাটতে হইব। গণতন্ত্রের কথা যারা বলব, তাগ গলা কাটতে হইব। আমরা চাই ইসলামি শাসন। নারায়ে তকবির আল্লাহু আকবর। মঞ্চে তার মতো আরো জনদশেক বসে আছে, তারা হয়তো একই ঘোষণা দিয়েছে এবং দেবে, তাদের কারো। মুখেও কোনো পবিত্রতা নেই। কোনোদিন সম্ভব ছিলো না। একটু আগে দোকানে দোকানে যাদের দেখে এসেছে রাশেদ, এখন তাদের মুখগুলোকে অনেক পবিত্র মনে। হতে লাগলো তার; এ-মুখগুলোতে দেখতে পেলো রক্তের দাগ। ঠোঁটে রক্ত জিভে রক্ত দাতে রক্ত হাতে রক্ত। আরেকজন ওয়াজ করছে এখন; সে বলছে, সামরিক আইনকে। আমরা মোবারকবাদ জানাই। ইসলামের স্যাবা করলে আমরা তাদের সাথে সব সময়ই থাকব। দ্যাশে আমরা কোনো কাফের আর মুরতাদ রাখব না। যতোই শুনছে রাশেদ ততোই ভয় পাচ্ছে; একাত্তরে সে একসাথে এতো রাজাকার দেখে নি, রাজাকারদের এতো সাহসের সাথে ওয়াজ করতে দেখে নি। সামরিক আইনের সাথে চুক্তি করেই ওরা নিশ্চয়ই জলসা করছে, পয়সাটা সেখান থেকেই এসেছে হয়তো, তবে পয়সার। অভাব ওদের নেই, মরুভূমি থেকে পাইপের ভেতর দিয়ে গলগল করে ওদের দিকে পয়সা আসছে। একদিন ওরা দেশ দখল করবে। দেশে তখন মানুষ থাকবে না। দেশে তখন লাশের ওপর লাশ থাকবে। রাশেদ থাকবে না, রাশেদের লাশ থাকবে।
রাশেদ ভয় পাচ্ছে, হয়তো এখন তাকেই মুরতাদ ঘোষণা করে বসবে মঞ্চের মোষের মতো লোকটি, তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না; তার হাত পা ছিঁড়েফেড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলবে ওরা। পশ্চিমেও যাওয়ার উপায় নেই, রাশেদ দক্ষিণে পা বাড়াতেই বোমা ফাটার শব্দ শুনতে পেলো। রাশেদ দৌড়ে একটি দোকানে ঢুকলো, দোকানদার তাকে ঢুকতে দিলো বলে কৃতজ্ঞ বোধ করলো রাশেদ। ঢুকলো আরো অনেকে। দোকানের দরোজা বন্ধ করে দেয়া হলো, ঝপঝপ করে দরোজা বন্ধ করার আওয়াজ উঠতে লাগলো। একের পর এক বোমা ফাটছে, আল্লাহু আকবর নারায়ে তকবির উঠছে, অসংখ্য লাঠির শব্দ উঠছে। একটি মুরতাদকে তারা ধরে ফেলেছে, চিৎকার শোনা যাচ্ছে মুরতাদ মুরতাদ, আল্লাহু আকবর বলে তারা মুরতাদের চোখ। তুলে ফেলছে, হাত টেনে ছিঁড়ে ফেলছে, পা ছিঁড়ে ফেলছে; মঞ্চ থেকে ঘোষণা হচ্ছে। মুরতাদদের অফিসে আগুন লাগান। রাশেদ দেখতে পাচ্ছে না, হাজার হাজার পায়ের। শব্দ শুনতে পাচ্ছে, বোমার শব্দ শুনতে পাচ্ছে, এরই মাঝে হয়তো মুরতাদদের পার্টির। অফিস দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছে। হাজার হাজার বন্য পশুর পায়ের শব্দে আর হুঙ্কারে কেঁপে উঠছে চারদিক; ওই পশুদের চোখ নেই, ওই পশুদের পূর্বপুরুষদের চোখ ছিলো ওই পশুদের উত্তরপুরুষদেরও চোখ থাকবে না, ওরা মানুষ ছিঁড়েফেড়ে খাবে। যখন হুঙ্কার কমে গেছে, মুরতাদ মুরতাদ আর আল্লাহু আকবর শোনা যাচ্ছে না, তখন শোনা গেলো কয়েকটি গুলির শব্দ, রাশেদ বুঝতে পারলো ওদের কাজ শেষ হয়ে গেছে, পুলিশ এসেছে। এখন দোকান খোলা ঠিক হবে না, দোকানি জানালো, পুলিশ এখন দায়িত্ব পালন করবে; কিছু লোককে পেটাবে, দোকান খোলা দেখলে দোকানে ঢুকে পেটাবে, জিনিশপত্র ভাঙবে, কয়েকজনকে ধরবে। আধঘণ্টা পর দোকান খুললে রাশেদ বেরোলো, আবার সে উত্তর দিকেই এগোলো, সে দেখে যেতে চায় পশুরা কীভাবে কাজ করে। দোকানের পর দোকান ভাঙা, ধ্বংসের চিহ্ন ছড়িয়ে আছে দিকে দিকে, যেনো বর্বররা কিছুক্ষণ আগে এ-পথ দিয়ে চলে গেছে, রাস্তার একপাশে গড়িয়ে যাওয়া রক্ত কালো হয়ে আছে। কারো ভেঁড়া হাত কি পড়ে আছে, পড়ে কি আছে কারো ছেঁড়া পা, মুণ্ডু? ওসব নেই, হয়তো ঘরে নিয়ে গেছে তারা। রাস্তার উত্তর পাশে কাফেরদের অফিসটির দক্ষিণ দিকটা ঝলসে গেছে, ভেতরে পুড়ছে কাগজপত্র চেয়ারটেবিল, ধুয়ো উঠছে, দেয়াল ভেঙে পড়ে আছে। রাশেদ পশ্চিম দিকে হাঁটতে লাগলো। ওই দিকে পুলিশের ট্রাক, দূরে জলপাইরঙের ট্রাক, পথে এলোমেলো মানুষ। হঠাৎ একটু বাতাস এলো, বাতাস জানে না আধঘণ্টা আগের খবর, বাতাস খেলতে শুরু করলো পোড়া আর ছেঁড়া কাগজ নিয়ে। রাশেদ হাঁটছে, হেঁটে হেঁটে অনেক দূর যেতে হবে তাকে, আর তার আগে আগে উড়ে উড়ে গড়িয়ে গড়িয়ে চলছে এক টুকরো পোড়া কাগজ, কাস্তেহাতুড়ির ছেঁড়াফাড়া একটি পোস্টার।
জেনারেল উদ্দিন মোহাম্মদ
বড়ো ভাঁড়টি বেশ নায়ক হয়ে উঠছে, দিন দিন ঘটছে তার নানা রঙের বিকাশ, এভাবে চালাতে পারলে, পারবে বলেই মনে হচ্ছে, সে মহানায়ক হয়ে উঠবে কোনো এক। ভোরবেলা। দশকে দশকে এখানে একেকটা উৎকট পরিহাস নায়ক হয়ে দেখা দেয়, এর আগেও একটিকে দেখেছে রাশেদ, তার আগেও দেখেছে একটিকে, তারও আগে। একটিকে দেখেছে, বেঁচে থাকলে পরেও একটিকে দেখবে, তার পরেও একটিকে দেখবে। প্রথম একটা খুব জরুরি কাজ সে করেছে, ঠিকঠাক করে নিয়েছে নিজের নামটা; মোহাম্মদ ছলিমউদ্দিন নাম মানায় না প্রধান সামরিক আইন প্রশাসককে, যে একটার পর একটা রাষ্ট্রপতি রাখতে পারে, যেগুলোর নাক ঘষতে পারে বুটের গোড়ালি দিয়ে, যে একটার পর একটা উপদেষ্টা রাখছে, যেগুলো করছে তার চাকরের কাজ, কোনোটিকে দিয়ে রাস্তা ঝাড় দেয়াচ্ছে কোনোটিকে দিয়ে মুজো ঘোয়াচ্ছে কোনোটিকে দিয়ে পা টেপাচ্ছে; নিজের নামটা ভেঙে পেছনের দিকটা আগে এনে, আর ছলিমের বানান আধুনিক রীতিতে সংস্কার করে সে হয়েছে জেনারেল উদ্দিন মোহাম্মদ সালিম। ভাঁড়টার প্রতিভায় রাশেদ মজা পাচ্ছে যেমন পাচ্ছে অনেকে, রাশেদ ভাবছে ওকে একটা পিএইচডি বা পিউবিক হেয়ার ড্রেসার উপাধি দেয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, হয়তো এ সম্পর্কে কোনো উপাশ্বার্য চিন্তাভাবনাও করছেন। উপাশ্চার্য শব্দটি চমৎকার, জিন্ধুদের বেশ মানায়। পত্রিকায় তার নতুন নাম ছাপা হচ্ছে বড়ো বড়ো অক্ষরে, আরো বড়ো অক্ষরে ছাপা হতো যদি কম্পিউটারগুলো আরো বড়ো অক্ষর প্রসব করতে পারতো; টেলিভিশনের বালিকাগুলো ওই নাম চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে ঠোঁট বাঁকা করে ফেলছে, আধ বছরের মধ্যে তারা আর ওই ঠোঁট দিয়ে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো কাজকামই করতে পারবে না। ক্ষমতায় এসেই প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকেরা নিজেদের একটা পদোন্নতি দেয়, তাতে দেশের ও জনগণের মর্যাদা বাড়ে; উদ্দিন। মোহাম্মদও নিজেকে দিয়েছে আরেকটি পদোন্নতি, আরেকটি তারা ঝুলিয়েছে উর্দিতে; বিশপঁচিশটি পদোন্নতি দিলেও কেউ আপত্তি করতো না, অতোগুলো পদোন্নতি দেয়ার সুযোগ নেই বলেই দেয় নি, আর একবারেই ফিল্ড মার্শাল হওয়া হাস্যকর হবে, তা সে নিজেও বুঝতে পারে। যত্নের সাথে সে গোঁফ ছাঁটছে, নতুন নাপিত রেখেছে গোঁফের। জন্যে, ক’টি রেখেছে সে-ই জানে; আগে গোঁফে এতো ঝিলিমিলি ছিলো না, এখন খুব ঝিলিক দিচ্ছে, টেলিভিশন তা ছড়িয়ে দিচ্ছে দেশ জুড়ে; মুখের এপাশ ওপাশ ছড়িয়ে হাসার কৌশলও সে আয়ত্ত করছে। কখনো হাসছে প্রতিভাবানের মতো, কখনো মেধাবী ফার্স্ট বয়ের মতো, কখনো লাহোরি সিনেমার নায়কের মতো, শেষে বিধাতার মতো সে লৌহমানব হতে চায় না, হতে চায় সম্ভবত হৃৎকম্প; তার উপদেষ্টা-দাসেরা গবেষণা করে তাকে শিখিয়েছে লৌহমানবদের আর আবেদন নেই জনগণের কাছে, জনগণ। অনেক লৌহমানব দেখেছে, বাঙলা ভাষায় লৌহমানব কথাটি ভালোও শোনায় না, জংধরা লোহ লোহা মনে হয়। শ্রেষ্ঠ আবেদন এখন যৌনাবেদনের, ওই আবেদন ছাড়া এখন কিছু কাটে না, ভিখিরি ভাতের থালা দেখে সাড়া না দিতে পারে, পিপাসার্ত জল দেখে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারে, কিন্তু যৌনাবেদনে সাড়া দেবে না এমন হতে পারে না; তাই হতে হবে তাকে মদনমোহন, মোহনমানব, হৃদয়বল্লভ, যাকে দেখে কাঁপবে ভিখিরি থেকে যুবতী। তার উপদেষ্টারা তাকে শিখিয়েছে মধ্যবিত্ত বাঙালির দুটি রোগ বাঙলা। ভাষা ও কবিতা, সে যদি ও-দুটি দখল করতে পারে, তাহলে মধ্যবিত্তের মন সে সহজে দখল করতে পারবে। গুছিয়ে বাঙলা বলছে সে, যা দেশের নেতাগুলো কখনো পারে নি, পারবে বলেও মনে হয় না; কবিতাও লিখতে শুরু করেছে, তার কবিতা ছাপা হচ্ছে দৈনিক পত্রিকার প্রথম পাতায়;-কবিতা মুদ্রণে সে সৃষ্টি করেছে ইতিহাস। নানা উপলক্ষে সে কবিতা লিখে চলেছে, ঝড় হলে লিখছে ঝড়ের কবিতা, বন্যা হলে বন্যার, উমরা করতে গেলে উমরার কবিতা। এমন গুজবও রটছে যে তার কবিতাগুলো লিখে দেয়ার জন্যে সে পুষছে একদল দাসকবি, সংখ্যায় যারা নগণ্য নয়, যাদের সে বকশিশ দিচ্ছে নানা রকম। তার কবিতা সাড়া জাগিয়েছে, সমালোচকেরা সে-সব সম্পর্কে প্রবন্ধ লিখছেন; এক ছান্দসিক তার কবিতার ছন্দোবিশ্লেষ করে দেখিয়েছেন ওই কবিতায় ছন্দের অভাবিত বিকাশ ঘটেছে, যা গত ষাট বছরে ঘটে নি। প্রবন্ধটির জন্যে ছান্দসিক বনানী গোরস্থানে বিনামূল্যে কবরের জমি পেয়েছেন।