নাথিং ইজ ইমপসিবল। ইমপসিবল হলে ঘটনাটা ঘটল কীভাবে?
উই আর অ্যাট এ লস।
সিংঘানিয়াকে তোমরা এই ছবিগুলিই বিক্রি করেছিলে?
হ্যাঁ সাহাব। উই হ্যাভ আওয়ার রেকর্ড। সিংঘানিয়া আপনার ছবিই বেশি কেনে। এ সাউন্ড বায়ার। পেমেন্টও প্রোন্টো।
ছবিগুলো নিয়ে সিংঘানিয়া কী করেন?
উনি ফরেনে বিক্রি করেন। হি হ্যাজ গুড কানেকশনস।
তোমরা ছবিগুলো ফেরত নিতে পারবে না?
উনি নারাজ আছেন। হি ইজ এ রেসপেক্টেবল ম্যান। ওঁর দাদা এমপি।
সেটা জেনে কোনও লাভ নেই। উনি যদি আমার ছবি বলে ওগুলো বেচেন তা হলে আমি ওঁর বিরুদ্ধে কেস করব।
স্যার, প্লিজ অ্যাডভাইস আস। আমরা কী করব? যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। আপনি কেস করলে আমরাও ফেঁসে যাব।
আমি আগে ছবিগুলো দেখতে চাই। ফটোগ্রাফ দেখেছি। কিন্তু ছবিগুলোও দেখা দরকার।
সেটা অ্যারেঞ্জ করা যাবে। তবে সিংঘানিয়া পুলিশের সামনে ছাড়া দেখাবে না।
ওর কি ধারণা আমি ছবিগুলো নষ্ট করার চেষ্টা করব?
মে বি। হি ইজ এ স্টাবোর্ন ম্যান। আপনি কবে প্রেস কনফারেন্স ডাকছেন স্যার?
কাল।
উই উইল বি দেয়ার। মিস্টার সিংঘানিয়াও যাবেন।
আমি আজই ছবিগুলো দেখতে চাই যদি?
মিস্টার সিংঘানিয়া হিন্দুস্তান ইন্টারন্যাশনালে আছেন। আপনি চাইলে ফোন করতে পারেন। ফোন নম্বর আর স্যুইট নম্বরটা নোট করে নিন স্যার।
সর্বজিৎ নোট করে নিয়ে বলল, তোমরা আমার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছ?
হ্যাঁ স্যার। ম্যাডাম তো আমাদের ওপর ভীষণ রেগে আছেন।
থাকারই কথা। তোমরা যে কী কাণ্ড করলে?
অন গড স্যার, দিস ইজ নো ফল্ট অব আওয়ারস। ডোন্ট প্লিজ বি ক্রসড উইথ আস।
সর্বজিৎ ফোন রাখল। তারপর সিংঘানিয়াকে রিং করল।
মিস্টার সিংঘানিয়া?
স্পিকিং।
দিস ইজ সর্বজিৎ সরকার।
গুড ইভনিং স্যার। আপনি আসবেন খবর ছিল। আই ওয়াজ অ্যাকচুয়ালি ওয়েটিং টু সি ইউ।
আপনি কি জানেন যে আপনি নকল ছবি কিনেছেন?
ইন দ্যাট কেস স্যু ইয়োর এজেন্ট।
তার চেয়ে আপনি একটি কাজ করুন। ছবিগুলো ফেরত দিন। টাকা আমরা দিয়ে দিচ্ছি।
স্যার, ছবিগুলো এখন দারুণ কন্ট্রোভারসিয়াল। কলকাতার পেপার্স যা লিখেছে তা লিখেছে। এখন দিল্লি, বোম্বে আর মাদ্রাজের কাগজেও ইট হ্যাজ বিকাম এ হট ইস্যু। অ্যান্ড বিকজ অফ দি কন্ট্রোভার্সি দি প্রাইস হ্যাজ শট আপ আনইউজুয়ালি।
আপনি কী বলতে চাইছেন মিস্টার সিংঘানিয়া?
আই অ্যাম এ বিজনেসম্যান।
ইউ ওয়ান্ট হাই প্রাইস? কত?
ফাইভ লাকস পার পেইন্টিং।
মাই গড!
আমি অলরেডি চার লাখের অফার পেয়ে গেছি। আই অ্যাম ওয়েটিং ফর এ হায়ার প্রাইস।
সিংঘানিয়া, আপনি সাবস্টিটিউট ছবির কারবার করলে যে মুশকিলে পড়বেন।
স্যার, আমার ওদিকটা কভার করা আছে। আই অ্যাম নট অ্যাফ্রেড অফ ল। আই অ্যাম ডুয়িং নাথিং ইল্লিগ্যাল।
আপনি কি জানেন যে, এর ফলে আমার পরিবারের মুখ দেখানোর উপায় নেই।
জানি স্যার। রিগ্রেট ফর দ্যাট। কিন্তু আমার কী করার আছে বলুন?
কিছু করার নেই? অ্যাজ এ হিউম্যান বিয়িং?
সেন্টিমেন্ট ইজ অ্যানাদার থিং স্যার। বাট দি ড্যামেজ ডান ওয়াজ নট ইন্টেনশনাল। ছবিগুলো আপনি কিনতে চান, ভাল। আপনার সেন্টিমেন্টকে অনার দিতে আই শ্যাল সেল। বাট প্রাইস উইল বি ফাইভ।
ঠিক আছে, এরপর যা করার পুলিশ করবে।
রাগ করলেন মিস্টার সরকার? আমি আপনার সবচেয়ে বড় বায়ার। আমার স্টকে এখনও আপনার ত্রিশটা ছবি আছে। ইট ইজ এ বিগ নাম্বার।
আপনার মতো বায়ার আমার দরকার নেই।
রাগ করছেন কেন স্যার? ভাল করে কুল ব্রেনে ভেবে দেখুন। আই অ্যাম নট রেসপনসিবল। সাবস্টিটিউশন তো আমি করিনি। আপনি আজকের পেপার দেখেছেন?
না।
দেখুন। দুটো পেপারে ইন্টারেস্টিং ইন্টারভিউ আছে।
কার ইন্টারভিউ?
বান্টু সিং; আর ডেভিড।
তারা কারা?
পড়ে দেখুন স্যার। কাল আপনার প্রেস কনফারেন্সে আমি যাব। দেয়ার উইল বি হিটেড এক্সচেঞ্জেস।
আপনি কী করে জানলেন?
ক্রিটিকরা মানছেন না যে ছবিগুলো সাবস্টিটিউশন। ইউ হ্যাভ টু ফেস সাম ভেরি আনকমফোর্টেবল কোশ্চেনস।
ঠিক আছে। সেটা আমি বুঝব।
বাই দেন স্যার।
সর্বজিৎ ঠাস করে ফোন নামিয়ে রাখল।
সর্বজিৎ বেরিয়ে গড়িয়াহাট থেকে বেছে বেছে কাগজ দুটো কিনে আনল।
বাড়িতে এসে কাগজ দুটো খুলে যা পড়ল এবং দেখল তাতে তার মাথা আরও গরম হল। বান্টু সিং একজন শিখ। দাড়ি গোঁফ পাগড়ি আছে। ডেভিড দেখতে বেশ সুন্দর। দু’জনেই খুবই কম বয়সি।
বান্টুকে একজন আর্ট ক্রিটিক নিনার সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করেছে। অত্যন্ত অশ্লীলতা ঘেঁষা প্রশ্ন। বান্টু তার জবাবে বলেছে, ইয়েস। ইট হ্যাপেনস সামটাইমস।
বিয়ে করবে কিনা প্রশ্ন করা হলে বান্টু বলেছে, বিয়ে ইজ এ মিউঁচুয়াল ডিসিশন। নিনা অ্যান্ড আই আর নট ইন লাভ। বাট উই এনজয় লাইফ টুগেদার।
ডেভিডের জবাবও তাই। একটু হেরফের আছে মাত্র।
একটা পরিবারকে কতখানি নিষ্ঠুরতার সঙ্গে এমন বে-আবরু করে দেওয়া যায় তা দেখে অবাক হল সর্বজিৎ। মনটা বিরক্তি ও রাগে ভরে গেল।
ছবিগুলো দেখতে যাওয়ার আর প্রবৃত্তি রইল না তার। সে শুয়ে রইল।
শবর ফোন করল রাতে।
এসে গেছেন তা হলে?
হ্যাঁ শবর।
কাল প্রেস ক্লাবে আপনার প্রেস কনফারেন্স অ্যারেঞ্জ করা হয়েছে। খুব ভিড় হবে কিন্তু।
জানি। তুমি কাগজ দুটো দেখেছ?
ওঃ হ্যাঁ। বান্টু আর ডেভিড তো?