সন্ধেবেলা আমাদের বাড়িটা বড় নিঝুম। আমার তিনতলার ঘর যেন আরও শব্দহীন আজ। শুধু নীরবে বয়ে যাচ্ছে এক বিরহের স্রোত। হু-হু হু-হু…
সিঁড়িতে একটা পায়ের শব্দ উঠে আসছিল। চেনা শব্দ নয়। আমি সচকিত হলাম। এভাবে কেউ উঠে আসে নাকি? এভাবেই কি আসা উচিত? প্রতিরোধ ভেঙে, ভয় ভেঙে, আমার প্রত্যাখ্যান ডিঙিয়ে কেন আসে ও? কে আসছে আমি যে জানি! কি করে জানি তা তো জানি না।
আমি পড়ার টেবিল থেকে তড়িৎ-গতিতে উঠে পড়লাম। আমি দৌড়ে চলে গেলাম ভিতরের ঘরে। অন্ধকারে দাঁড়িয়ে রইলাম চুপ করে। চোখ ভেসে যাচ্ছিল জলে।
পায়ের শব্দটা আমার চৌকাঠে এসে থেমে আছে। সেই নিরন্তর হু-হু শব্দটা ধীরে ধীরে কোথায় মিলিয়ে গেল।
———
Page 29 of 29