কতক্ষণ কাটিয়েছি আমি জানি না। একসময় বৃদ্ধ ডাক্তার বললেন –আপনার ছেলের ইসিজি নরম্যাল হয়ে গেছে। ও এখন ভাল আছে। ঘুমুচ্ছে। ক্রাইসিস কেটে গেছে। আপনি যান, বিশ্রাম করুন। আর ভয়ের কিছু নেই।
বাইরে এসে দেখি বারান্দায় পা ছড়িয়ে বসে বাবলু কাঁদছে। আমি বললাম –কাঁদিস না। ও ভাল আছে। চল, বাবাকে খবরটা দিয়ে আসি।
আমরা দুই ভাইবোন হাত ধরাধরি করে সিঁড়ি দিয়ে নামছি। মামুন তার স্ত্রীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে সিঁড়ির গোড়ায়। তার সমস্ত আত্মীয়-স্বজনরাও আছে। তারা সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে।
আমি মনে মনে বললাম, হে পৃথিবীর সুখী মানুষরা, তোমরা এই দুই দুঃখী ভাইবোনের দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থেকো না। তোমরা আমাদেরকে আমাদের মত থাকতে দাও।
Page 33 of 33