“একটু দাঁড়াও অমৃতা—why are you breaking down now when you were so brave for so many years—এতদিন এত সাহস দেখিয়ে এখন তুমি ভেঙে পড়লে কেন? আমি বলছি আমি যাব তোমার কাছে, এখানে নয়, সেখানে গঙ্গার তীরে আমার সত্যস্বরূপ তোমাকে দেখাব, I will show you my real self on the shores of the Ganges…”
আমি নৈরাশ্যবাদী নই তাই এতক্ষণ আমার ভাঙ্গা বুকের মধ্যে আশার একটা টুনটুনি পাখি ডানা ভেঙে পড়ে ধুকধুক করছিল। মির্চার কথাটা কানে আসা মাত্র একটা কাণ্ড হল। সেই ছোট্ট পাখিটা হঠাৎ ফিনিক্স হয়ে গেল—ফিনিক্স পাখি কেউ দেখেছ? ঠিক এ্যালবাট্রস-এর মতো দেখতে—সেই বিরাট খগেন্দ্র তার শুভ্র বিপুল পক্ষ দুটি বিধৃনিত করে আমাকে নিয়ে ঊর্ধ্বগামী হল, আর তখন ওর পড়ার ঘরের ছাদটা প্যাণ্ডোরার বাক্সর মতো খুলে গেল—দেওয়ালের বাধা চলে গেল, আর বইয়ের পাথরগুলো জলের ঢেউ হয়ে গেল, আমি জলকল্লোল শুনতে পেলাম।
আশার মায়ায় গড়া সেই ব্যাবৃতপক্ষ মহাপক্ষী লেক মিশিগান পার হয়ে অজ্ঞাত মহাদেশের দিকে যেতে যেতে আমায় বললে—“কোনো ভয় নেই অমৃতা, তুমিই ওর চোখে আলো জ্বালবে।”
আমি ব্যাকুল হয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, “কবে? কবে?”
সে বললে,“যে দিন ছায়াপথে তোমাদের দেখা হবে, তার তো আর বেশি দেরী নেই–”