In view of this situation you may think it desirable to have some permanent contact maintained between the Administration and the goup of physicists working on chain reactions in America. One possible way of achieving this might be for you to entrust with this task a person who has your confidence and who could perhaps serve in a unofficial capacity. His task might comprise the following;
a) To approach Government Departments, keep them informed of the further development, and out forward recommendations for Government action, giving particular attention to the problem of uranium ore for the United States;
b) To speed up the experimental work, which is at present being carried on within the limits of the budgers of University laboratories, by providing funds, if such funds be required, through his contacts with private persons who are willing to make a contribution for this cause, and perhaps also by obtaining the co-operation of industrial laboratories which have the necessary equipment.
I understand that Germany has actually stopped the sale of uranium from teh Czechoslovakian mines, which she has taken over. That she sould have taken such early action might perhaps be understood on the ground that the son of the German Under-Secretary of State, Von Weishlicker (sic), is attached to the Kaiser Wilheim Institure in Berlin where some of the American work on uranium is now being repeated.
Yours very truly,
(Albert Einstein)
[ পারমাণবিক বোমা প্রস্তুতের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্টের কাছে আলবার্ট আইনস্টাইনের চিঠি ]
ওল্ড গ্রোভস রোড,
নাসা পয়েন্ট পিকোনিক,
লং আইল্যান্ড
অগাস্ট ২, ১৯৩১
এফ. ডি. রুজভেল্ট
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
হোয়াইট হাউস,
ওয়াশিংটন, ডি সি,
মহাশয়,
ই. ফার্মি এবং এল, শিলার্ডের কিছু সাম্প্রতিক কাজের পাণ্ডুলিপি আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেগুলো দেখে আমার মনে হয়েছে, ইউরেনিয়ম নামক মৌলটি অদূর ভবিষ্যতে শক্তির নতুন এক গুরুত্বপূর্ণ উৎস রূপে ব্যবহৃত হবে। পরিস্থিতির এমন নির্দিষ্ট কিছু পরিবর্তন হয়েছে, যেগুলো আমাদের নজরদারি এবং প্রয়োজনে প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর হস্তক্ষেপ দাবি করছে।
গত চার মাস ধরে ফ্রান্সের জোলিও (Jolit) এবং আমেরিকার ফার্মি আর শিলার্ড তাদের কাজের মাধ্যমে দেখিয়েছেন বৃহৎ ভরবিশিষ্ট ইউরেনিয়ামের পারমাণবিক শৃঙ্খল-প্রতিক্রিয়া ঘটানো সম্ভব, এবং এতদ্বারা বিশাল পরিমাণ শক্তি (পাওয়ার) এবং প্রচুর পরিমাণে নতুন ‘রেডিয়ম মৌল বেরিয়ে আসবে। প্রায় নিশ্চিত ভাবেই অদুর ভবিষ্যতেই এটা অর্জিত হতে বাধ্য।
এই যে নতুন-ঘটনা, বোমা প্রস্তুতের দিকে ইঙ্গিত করছে, এবং প্রায় কোনো রকম অনিশ্চয়তার প্রশ্নই থাকছে না, আমাদের বুঝে নিতে আদৌ অসুবিধা হচ্ছে না, এই বোমা হবে নতুন ধরনের অত্যন্ত শক্তিশালী। একটি বোমা যদি জাহাজে করে নিয়ে গিয়ে কোনো বন্দরে বিস্ফোরণ ঘটানো যায়, তাহলে সেই বন্দর তো নিশ্চিহ্ন হবে যাবেই, তার সঙ্গে আশপাশের বেশ কিছু অঞ্চলও ধ্বংস হবে। তবে মনে হচ্ছে এই ধরনের বোমা উড়োজাহাজে বয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে হয়তো বেশি ভারী হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যম পরিমাণের খুবই কম ইউরেনিয়াম আছে। কানাডা এবং সাবেক চেকোস্লোভেকিয়াতে উৎকৃষ্ট ইউরেনিয়মের খনি আছে।
অন্যদিকে ইউরেনিয়মের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হল বেলজিয়ম কঙ্গো।
এই পরিস্থিতিতে আপনি হয়তো বা ভাবতে পারেন, প্রশাসন এবং আমেরিকাতে শৃঙ্খল-প্রতিক্রিয়া (চেইন রি-অ্যাকশন) নিয়ে কাজ করছেন ভৌত-বিজ্ঞানীদের যে-দলটি তাদের মধ্যে একটা স্থায়ী যোগাযোগ রাখা উচিত। এই কাজ করার একটা সম্ভাব্য রাস্তা হল, আপনার আস্থাভাজন এমন একজন ব্যক্তির উপর দায়িত্ব দেওয়া যিনি বেসরকারিভাবে ক্ষমতাবলে কাজটি করবেন।
তার কাজের মধ্যে থাকতে পারে :
(ক) সরকারি বিভাগগুলোর কাছে যাবার জন্য, তাদের অনবরত কাজের অগ্রগতির রিপোর্ট সম্পর্কে অবহিত করা এবং সরকারের করণীয় পদক্ষেপের ব্যাপারে সুপারিশ করা। যুক্তরাষ্ট্রের ইউরেনিয়াম খনির সমস্যাগুলোর দিকে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট নজর দেওয়া।
(খ) পরীক্ষামূলক কাজগুলো ত্বরান্বিত করার জন্য বর্তমান বাজেটের সীমার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারগুলোকে এ ব্যাপারে অর্থ বরাদ্দ করা, প্রয়োজনে এই ধরনের বরাদ্দ কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ তার মাধ্যমে এই কাজ করতে চান সেটা সংগ্রহ করা, এবং যে সমস্ত শিল্পে এই কাজের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আছে তাদের সহযোগিতা নেওয়া;
আমি জানতে পেরেছি জার্মানি ইতিমধ্যেই তার দখল করা চেকোস্লোভেকিয়ার ইউরেনিয়ম খনিগুলো থেকে ইউরেনিয়ম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। জার্মান আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেটস-এর সন্তান ফন ওয়েসলিশরের বার্লিনের ওয়াইলহেম ইনস্টিটিউট ইউরেনিয়মের ওপর আমেরিকার কাজের পুনারাবৃত্তি চলছে। সেটার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, এই ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে তারা খুব দ্রুত এই ধরনের কিছু একটা করতে যাচ্ছে।