আমরা এখন, আজ পর্যন্ত মানুষের তৈরি যতরকম ধ্বংসাত্মক অস্ত্র আছে তার মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্রটির অধিকারী। আমাদের এই নতুন বোমার বিস্ফোরণ ক্ষমতা। একটি অভিযানে দু’ হাজারটি দৈত্যকার B-29 বোমার সমান। এই ভয়াবহ ঘটনা আপনাদের বিবেচনার জন্য রাখা হল। এবং আমরা বিনয়ের সঙ্গে আপনাদের নিশ্চিতভাবে বলছি এটি ভয়ঙ্কর রকমের নির্দিষ্ট লক্ষভেদী।
সবেমাত্র আপনাদের স্বদেশভূমির ওপর আমরা এটার প্রয়োগ শুরু করেছি। এ ব্যাপারে যদি কারুর কোন সন্দেহ থাকে, মাত্র একটা বোমা ফেলার পর হিরোশিমা শহরের কী অবস্থা হয়েছে অনুসন্ধান করে জেনে নিতে পারেন।
সামরিক শক্তির ঘাঁটি এবং উৎসগুলো, যে গুলোর সাহায্যে আপনাদের সরকার এই অহেতুক যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করছে, সেগুলোর ওপর এই বোমা বর্ষণ করার আগেই আমরা চাইছি আপনারা আপনাদের সম্রাটকে অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য গণ আবেদন করুন! ইতিমধ্যেই আমাদের প্রেসিডেন্ট সম্মানজনক আত্মসমর্পণের তেরো দফা খসড়া প্রস্তাব দিয়েছে। আমরা চাই, আপনারা সেগুলো গ্রহণ করুন এবং নতুন, উন্নততর, শান্তিপ্রিয় জাপান গড়ে তুলুন।
নিজের দেশের সামরিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে আপনাদেরই এগিয়ে এসে পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে এই বোমা সহ আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট সমরাস্ত্র ব্যবহার করে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য হব।
শহরগুলো ফাঁকা করে চলে যান
জাপানি জনগণ সতর্ক হোন! শহরগুলো ফাঁকা করে চলে যান!
যেহেতু আপনাদের সামরিক সরকার তেরো দফা আত্মসমর্পণের সনদ অস্বীকার করেছে, দুটো অত্যন্ত বিশাল গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কয়েকদিনের মধ্যেই ঘটে গেল।
আপনাদের সামরিক সরকারের এই অস্বীকার করার ফলে সোভিয়েত ইউনিয়ন আপনাদের রাষ্ট্রদূত স্যাটো-কে দেশ-থেকে তাড়িয়ে দিয়ে আপনাদের জাতির বিরুদ্ধে-যুদ্ধ-ঘোষণা করেছে। এই রকমভাবে সমগ্র বিশ্বের সব কটা শক্তিশালী দেশই আপনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়েছে। আরও, আপনাদের নেতাদের সম্মানজনক ভাবে আত্মসমর্পণের সনদ অস্বীকার করার ফলে এই নিরর্থক যুদ্ধে, আমরা আমাদের পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করেছি।
এর একটা অভিযানে ব্যবহৃত একটা বোমা আমাদের দৈত্যাকার B-29 দু-হাজার বোমার সমান, রেডিও টোকিও আপনাদের জানিয়েছে সর্বাত্মক-ধ্বংসক্ষমতা সম্পন্ন এই বোমার প্রথম প্রয়োগের ফলে হিরোশিমা শহর কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গেছে।
আমরা চাইছি, যুদ্ধের ঘাঁটি এবং শক্তির উৎসগুলো, যেগুলোর ওপর পুনঃ পুনঃ এই বোমা বর্ষণের আগেই আপনারা আপনাদের সম্রাটকে আমাদের প্রেসিডেন্টের দেওয়া সম্মানজনক আত্মসমর্পণের ১৩ দফা প্রস্তাব নেবার জন্য গণ আবেদন করুন। আপনাদেরও বলছি ওটা মেনে নিয়ে নতুন, আরও ভাল এবং শান্তিপ্রিয় জাপান গড়ে তুলুন।
এখুনিই এটা শুরু করুন! না হলে যুদ্ধ থামানোর জন্য আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে এই বোমা সহ আরও উন্নততর অস্ত্রগুলো ব্যবহার করব। এ যুদ্ধ থামাতেই হবে।
.
Extracts from an U.N. Radio interview, June 16, 1950; recorded in the study of Prof. Einstein’s Princeton, New Jersey, home.
Q. Is it an exaggeration to say that the fate of the world is hanging in the balance?
A. No exaggeration. The fate of human ity is always in the balance…but more truly now than at any known time…
Q. Is it possible to prepare for war and world cominunity at the same time?
A. Striving for peace and preparing for war are incompatible with each other, and in our time more so than ever.
Q. Can we prevent war?
A. There is a very simple answer. If we have the courage to decide our selves for peace, we will have peace…
Q. What is your estimate of the future effect of atomic energy on our civilization in the next ten or twenty years?
A. Not relevant now. The technical possibilities we now have already are satisfactory enough…if the right use would be made of them.
Q. What is your opinion of the profound changes in our living predicted by some scientists…for example, the possibility of our need to work only two hours a day?
A. We are always the same people. There are not really profound changes. It is not so important if we work five hours or two. Our problem is social and economic, at the international level.
Q. United Nations Radio is broadcasting to all the corners of the earth, in twenty-seven languages. Since this is a moment of great danger, what word would you have us broadcast to the peoples of the world?
A. Taken on the whole, I would believe that Gandhi’s views were the most enlightened of all the political men in our time. We should strive to do things in his spirit…not to use violence in fighting for our cause, but by non-participation in what we believe is evil.
অধ্যাপক আইনস্টাইনের প্রিন্সটন আবাসের গবেষণাগারে ইউনাইটেড নেশা এর বেতার সাংবাদিকের সাক্ষাৎকারের অংশবিশেষ [জুন 16, 1950 ]